মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

খেজুরের পুষ্টিমান ও উপকারিতা




খেজুর  ফল গোলাকার কিংবা সিলিন্ডারকৃতির মত হয়। ৩-৭ সেমি লম্বা, প্রস্থ ২-৩ সেমি এবং জাতভেদে পাকা অবস্থায় উজ্জ্বল লাল থেকে উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়ে থাকে। ফলের অভ্যন্তরে ২-৫ সেমি লম্বা এবং ৬-৮ মিমি পুরত্বের একটি বিচি থাকে। খেজুর গাছের পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতি আলাদা।
কচি খেজুর পাতা সব্জী হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়াও, খেজুরের ফুলও খাবার উপযোগী। সনাতনী ধাঁচে স্ত্রী ফুল ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনে বিক্রয় করা হয়। 

খেজুরের ফুলের কুঁড়ি দিয়ে সালাদ কিংবা শুকনো মাছ বা শুঁটকী দিয়ে চাটনী তৈরী করে রুটির সাহায্যে খাওয়া হয়। খেজুরে বিশাল পরিমাণে পুষ্টিমান রয়েছে। 
পটাসিয়াম উপাদান রোগীর পথ্যের জন্যে বিশাল উপযোগী ও এর ক্ষেত্র হিসেবে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে । বাদ বাকী অংশে খনিজ সমৃদ্ধ বোরন, কোবাল্ট, ফ্লুরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে ।

বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থেও খেজুরের কথা এসেছে বহুবার। যেমন পবিত্র বাইবেলে ৫০ বার এবং পবিত্র কুরআন শরীফে ২০ বারের মত খেজুরের বিভিন্ন উপকারিতার কথা এসেছে।

খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন, B1, B2, B3 এবং B5এছাড়াও ভিটামিন A1 এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর।
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফসফরাস, থায়ামিন, নাইয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বিটা-ক্যারোটিন সহ নানারকম স্বাস্থ্যউপকারি উপাদান। তবে শুকনো খেজুরে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।




প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে পাওয়া যায়ঃ

উপাদান
পরিমান
এনার্জি
২২৭ কিলো ক্যালোরি
শর্করা
৭৪.৯৭ গ্রাম
প্রোটিন
১.৮১ গ্রাম
ফ্যাট
০.১৫ গ্রাম
কোলেস্টরল
০.০০ গ্রাম
ফাইবার
৬.৭০ গ্রাম






খেজুরের  উপকারিতাঃ

১. ডায়েটারি ফাইবারঃ ডায়েটারি ফাইবার আসে দ্রবীভূত ও অদ্রবীভূত আঁশ থেকে। খেজুর উভয়টারই বিপুল উৎস। এটা আমাদের হজমশক্তি ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়। আর এর মাধ্যমে আমাদের কলেস্টরল মাত্রা কমিয়ে দেয়।
২. পলিফেনলঃ গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে এই পলিফেনল। গবেষকরা মনে করেন, আমাদের খাবারের বেশির ভাগই হওয়া উচিত শুকনো খাবার। কারণ তাতে করে ফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিউট্রিয়েন্ট থাকে। রোগ প্রতিরোধে এগুলো খুবই কার্যকর।
৩. কার্বোহাইড্রেটঃ খেজুরের ৭৫ ভাগই কার্বোহাইড্রেট। সারা দিন ইফতারের পর খেজুর খুব তাড়াতাড়ি আমাদের শক্তি ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
৪. পটাশিয়ামঃ  আমাদের হৃদযন্ত্রের সহ পেশিগুলোর সংরক্ষণে পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। দেহের নার্ভ সিস্টেম মেটাবলিজম ঠিক রাখতে এর প্রয়োজন অনিস্বীকার্য। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এটা সোডিয়ামেরও ভালো উৎস। কিডনি ও স্ট্রোক জটিলতা এড়াতে এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে অনেকেই প্রতিদিন একটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫. বি-কমপ্লেজ ভিটামিনঃ  খেজুরে বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন- থিয়ামিন, বিরোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬ এবং প্যান্টোথেনিক এসিড রয়েছে। দেহকে স্বাস্থ্যবান রাখতে এসব ভিটামিনের জুড়ি নেই।
৬. ম্যাগনেশিয়ামঃ  এর ঘাটতিতে মাইগ্রেন, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, হাঁপানি ইত্যাদির রোগ হয়ে থাকে। কিন্তু খেজুর খেলে এসব রোগ নিয়ে আপনার চিন্তা করার কিছু থাকবে না। কারণ খেজুরে বিপুল ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
৭. আয়রনঃ  খেজুর আয়রন বা লোহার সমৃদ্ধ যোগানদাতা। আমাদের রক্তের লোহিত কনিকা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। লোহিত কনিকা সারা দেহে পুষ্টি বয়ে নিয়ে যায। এই আয়রন রক্তে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
৮. আলকালিন লবণঃ  খেজুরে থাকা আলকালিন লবণ রক্তের অ্যাসিডিটি সমন্বয় করতে সহায়তা করে। মাত্রাতিরিক্ত গোশত ও কার্বোহাইড্রেট খেলে ডায়াবেটিস, বাত, পিত্তথলের পাথর, গল ব্লাডারে সমস্যা দেখা দেয়। এমন অবস্থায় খালি পেটে প্রথম আদর্খাশ বার হতে পারে খেজুর।
৯।  স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
১০।  রোজায় অনেকক্ষন খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়।  খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয়
১১।   হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী
১২।  খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে
১৩।   খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী
১৪।   হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
১৫।  খেজুর রুচি বাড়ায়


১৬।  খেজুর ত্বক ভালো রাখে
১৭।  খেজুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
১৮।  খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
১৯।  পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী
২০।  খেজুর ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
২১।  অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে
২২।  প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
২৩।   খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
২৪।  খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
২৫।  নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত।
২৬।  তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।
২৭।  খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
২৮।  ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২৯।  খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
৩০।  আজওয়া খেজুর বিষের মহৌষধ।
৩১।  মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী।খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৩২।  খেজুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করে।
৩৩।  এর চুর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।
৩৪।  খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী।
৩৫।  সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।
৩৬।  তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৩৭।  পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।
৩৮।  মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম দূর হয় হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ উপকারী।
৩৯।  উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ,  গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
৪০।  নেশাগ্রস্তদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধ করে খেজুর। স্বাস্থ্য ভালো করতে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৪১।  খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে খেজুর।
৪২।  ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির যোগান দেয় খেজুর।
৪৩। সুস্থ হৃদপিন্ডে দেহযন্ত্রে স্বাচ্ছন্দ এবং সতেজ বিধান করে এমন শক্তিদায়ক বা বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে খেজুরের জুড়ি নেই।
৪৪।  যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
৪৫।  প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর ব্লেন্ড করা জুস খেলে হার্টের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাল সমাধান পাবেন।


৪৬।   খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় যারা একটু দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যায় তাদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট পথ্য।
৪৭।  ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের এই (৪২) দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৪৮।  দেহকে সচল ও কার্যক্ষম রাখতে শক্তির প্রয়োজন। এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়,শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষেত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।আর এই শর্করা জাতীয় খাদ্য হিসেবে খেজুর খাদ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।
৪৯।  খনিজ পদার্থ দৈহিক পুষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। খেজুর দেহে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
৫০।   খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।



৫১।   খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সচল রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।
৫২।  খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।
৫৩। খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
৫৪।  প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৩২৪ মিলিগ্রাম ক্যালরি থাকে। ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই খেজুর শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী একটি ফল।
৫৫।  খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।
৫৬।  ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।
৫৭।  খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ
যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়তা করে।
৫৮।  আয়রনের পরিমাণও রয়েছে খেজুরে। তাই রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।
৫৯।  খেজুর অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
৬০।  শিশুদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে।






1 টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

অসাধারণ সুন্দর পোস্ট. খেজুর গাছের চাষ পদ্ধতি এবং ব্যবসা সম্ভাবনা সম্পর্কে আরো লেখা চাই.