মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৩

ঘটনা ঘটলো বিপরীত





জামাতের যা করার ছিল তা তারা করে ফেলেছে । 

জামাতের কাজ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টির নজর ঘুরিয়ে দেওয়া । তারা তা পেরেছে । গত কয়েকদিন যাবত হেফাজত নিয়ে মাঠ গরম ।

অথচ এই মাসেই ২ টি রায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে । জনগণকে যদি অন্যদিকে ব্যাস্ত রাখা যায় , তা হলে ফাকা মাঠে তাণ্ডব চালাতে তাদের খুব সহজ হবে । 

এদিকে সরকার সহ সকল রাজনীতিবিদরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি নিয়ে যত না মাথা ঘামাচ্ছে , তার চেয়ে বেশি চিন্তিত দেখাচ্ছে হেফাজতকে নিয়ে । যদিও সকলেই জানে বা বুঝে গেছে হেফাজত জামাতের দ্বারা পরিচালিত বা জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই মাঠে নেমেছে , তার পরেও হেফাজত এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু । জামাত নিজেদের দিক থেকে চোখ ফিরানোর জন্য হেফাজতকে তাদের মত করে জঙ্গি আচরন করতে উস্কানি বা বাধ্য করছে । 

জামাত-হেফাজত কোরআন শরিফ পুড়িয়ে এর দায় আওয়ামীলীগের উপর চাপিয়ে মুসলমানদের উস্কে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছিল । কিন্তূ ঘটনা ঘটলো বিপরীত । জামাত-হেফাজত আশা করেছিল ছাত্রলীগ মাঠে নামবে , আর এই ফাকে কোরআন শরিফে আগুন দিয়ে তা চাপিয়ে দিবে তাদের উপর । 

কোরআন শরিফ পুড়ানোর দায় কারো উপর চাপাতে পারছে না বিধায় তারা এখন চুপ মেরে আছে । চেষ্টা করছে নতুন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে ।



উনারা শুনলেন না





হেফাজতে ইসলামকে আগেই বলেছিলাম , বাধ্য করবেন না আঙ্গুল বাঁকা করতে ।

উনারা শুনলেন না । জামাতের টাকা ও ক্ষমতার লিপ্সায় উনারা দিশেহারা হয়ে মাদ্রাসার ছোট ছোট বাচ্চাদের এনে দাড় করিয়ে দিলেন বন্দুকের নলের মুখে । আর উনারা অবস্থান নিলেন মাদ্রাসার ভিতরের হেফাজত রুমে । 

হেফাজতের মওলানারা রাজপথের রাজনীতি করেননি , এমন কি উনারা জানেন না রাজনীতির দাবার চাল । জামাত উনাদের কিছু টাকা দিয়ে ও কয়েকটি এজেন্ডা দিয়ে ছেড়ে দিলেন । কিন্তূ রাজপথের দুর্গম যাত্রার সঙ্গী হল কিছু অবুঝ শিশু ও গরীব মাদ্রাসার ছেলে । হেফাজতকে উস্কে দিয়েছিল বিএনপি । এখন আবার এই বিএনপি তাদের বুল পাল্টে ফেলেছে । 

রাজপথের রাজনীতি না জানা হেফাজত ধংস লীলা চালায় দেশের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় । দোকান, ব্যাংক , মসজিদ, রাস্তার গাছ , এমন কি রাস্তার পাশের বিল্ডিং এর গ্লাস পর্যন্ত কোন কিছুই বাদ যায় নি । 

পুড়িয়ে দিয়েছে মুসলমানদের আত্মা অসংখ্য পবিত্র কোরআন শরিফ ও হাদিস বই, অসংখ্য গাড়ি । ১০ / ১২ ঘণ্টার তাণ্ডবে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে , তারা জঙ্গি । ইসলামের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই ।

যা বলছিলাম , হেফাজতকে আহ্বান করেছিলাম সহিংস না হতে । বলেছিলাম , অপ্রীতিকর কিছু করলে বাধ্য হব আঙ্গুল বাঁকা করতে । বলেছিলাম, আপনাদের চাওয়া দাবি দেশের বর্তমান অবস্থায় অসম্ভব ।

আপনারা আমাদের কথা শুনলেন না । বাধ্য হলাম আঙ্গুল বাঁকা করতে । আপনারা আপনাদের জনমত হারালেন আপনাদের কার্যকলাপে । কোরআন পুড়িয়ে জনমত হারালেন দেশ ও বিশ্বের সকল মুসলমানদের কাছ থেকে । এখন হারাবেন আপনাদের আয়ের উৎস । অনেক দাতা মুখ ফিরিয়ে নিবে আপনাদের দিক থেকে ।
  
কারন একটাই , আপনারা এখন পরিচিত হয়ে গেছেন জামাতে হেফাজত জঙ্গি হিসাবে । আপনারা পরিচিত হয়ে গেছেন জামাতের এজেন্ট হিসাবে ।  

http://www.amarblog.com/azad0269/posts/162432   

ফেইসবুক ও ব্লগে মোমিন মুসলমানে লাফালাফি


ফেইসবুক ও ব্লগে মোমিন মুসলমানদের লাফালাফি দেখলে মনে হয় এরা ইসলাম ধর্মকে জুড় করে সকল মানব জাতির মাথায় চাপিয়ে দিবে । তাদের নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে অশালীন ভাষায় গালাগালি সহ মৃত্যুর হুমকি দিতে থাকে, মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ও বাস্তবায়ন করে । 

হেফাজত-জামাতের বিরুদ্ধে কথা বললে কিছু জনের গায়ে আগুন লাগে । নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাদের বিপক্ষের জনদের নাস্তিক- কাফের তকমা দিয়ে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ।

ব্লগে কে কি লিখেছে তা নিয়ে নাস্তিকদের ফাঁসির দাবিতে জামাত, হেফাজতে ইসলাম সহ কিছু উগ্রবাদী  যেভাবে দেশে একের পর এক নাশকতা করে যাচ্ছে তা শুধু দেশের জন্যই নয় ইসলামের জন্য এক হতাশার দিক ।

তুমি মুসলিম তুমি কোরআন পড়, হাদিস পড় । তুমি কেন পাছা চুলকাইয়া  facebook বা blog পড়তে আসছ । এগুলো তোমাদের জন্য নয় । এখানে যেহেতু ইসলামের বিপক্ষে লিখে লেখুক তুমি পড় না এইসব, ঘৃণা কর এইসব । তুমি নামাজে ব্যস্ত থাক , নিজের কাজ কর । অহেতুক চুলকাইয়া নিজের, দেশের ও তোমার ধর্মের সন্মান নষ্ট করো না । তোমার ধর্মের আদর্শের দ্বারা সকল মানবের কল্যান কর । তোমার উগ্রতার জন্য দেশ ও ধর্ম কুলসিত হচ্ছে ।
এইসব উগ্র ইসলাম পন্থীদের কারনেই প্রতিটি ইসলামিক দেশ সহ অন্যান্য দেশগুলিতে অশান্তি বিরাজ করছে । যখন মানুষ শান্তির পথে হাঁটছে শুধু এই মুসলিম জঙ্গিদের জন্য ইসলামকে ভয়ের কারন মনে করছে ।  

  যখন এই হেফাজত-জামাত চক্র আমাদের অসংখ পবিত্র কোরআন শরিফ ও হাদিস বই আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলল , তখন এই চক্রটি একদম চুপ হয়ে গেল ।

এই চুপ হওয়ার কারন , এই জামাত-হেফাজত চক্র মুনাফেক । যারা পবিত্র কোরআন শরিফ আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলতে পারে , তারা আর যাই হোক মুসলমান না । এরা মুনাফেক , নাস্তিক । কোন মুসলমান কখনই কোরআন শরিফে আগুন দিবে না ।

গত ১৪০০ বৎসরে যত না কোরআন শরিফ যুদ্ধ বা অন্য কারনে আগুনে পুড়েছে , তার চেয়ে অনেক বেশি কোরআন শরিফ পুড়িয়ে ফেলেছে এই হেফাজত-জামাত চক্র ।
একটা বিষয় খেয়াল করে দেখেন ।

শুক্রবারদিন দুপুরে মসজিদে গেলে ৫ তলা মসজিদের ছাদেও জায়গা পাওয়া যায় না । কিন্তূ আছর, মাগরিব, এশা ওয়াক্তে নীচতলার ৫ লাইন পূর্ণ হয় না । সপ্তাহের অন্যদিনগুলোরও একই অবস্থা ।
ফেইসবুকে ও ব্লগে যারা ইসলাম নিয়া বেগতিক ভাষায় কথা বলেন , তাদের বলছি । এই জামাত-হেফাজত চক্র থেকে বের হয়ে কোরআন শরিফে আগুন দেওয়ার জন্য এদের ফাঁসি চান ও এই জামাত- শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি তুলেন ।

মনে রাখবেন Facebook বানাইছে নাস্তিক । Blogger.com বানাইছে নাস্তিক ।
হেফাজত-জামাত মুনাফেক । এখন আপনি কার দলে থাকবেন । বিবেচনা আপনার । আমরা যারা শান্তি প্রিয় , আমাদের বিরক্ত করবেন না ।

আপনাদের মত কিছু ফাসেক , মুনাফেক মুসলমানের জন্য মুসলিম বিশ্ব অস্থিতিশীল ।

শনিবার, ৪ মে, ২০১৩

অশিক্ষিত ও ধর্মান্ধ মানসিকতাকেই কাজে লাগাচ্ছে জামাত




হেফাজতকে নিয়ে বিএনপির আজকাল খুব মাখামাখি ।

৫ তারিখের ঢাকা অবরোধে সরকার বাধা দিবে কি দিবে না এই ব্যাপারে মাথা ব্যাথা থাকার কথা হেফাজতের । এই ব্যাপারে হেফাজত বলবে তাদের কর্মসূচী কি হবে । কিন্তূ , কথা বলছে বিএনপি । 

খালেদা জিয়া বললেন , হেফাজতের ঢাকা অবরোধে বাধা দিলে তার ফল ভাল হবে না । ব্যাপারটা আমার কাছে ঠিক বোধগম্য নয় । হেফাজতকে জানতাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন । কিন্তু আজকের খালেদা জিয়ার কথায় মনে হচ্ছে তা ঠিক না । হেফাজত নিবন্ধন বিহীন একটি রাজনৈতিক দল । হেফাজতের এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অর্থের যোগান দিচ্ছে জামাত । জামাতের এই অর্থ যোগানের পেছনে রয়েছে তাদের বিশাল স্বার্থ । জামাতকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে , যদি জামাত- শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় , তাহলে তারা এই হেফাজতের ব্যানারে নিজেদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশকে একটা জঙ্গী রাষ্ট্রে রুপান্তর করার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাবে । তাতে দেশে সৃষ্টি হবে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ । ব্যাপারটা , ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত ।

আমাদের দেশের একটা বিশাল অংশ অশিক্ষিত ও ধর্মান্ধ । আর এই অংশের সস্তা মানসিকতাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছে জামাত । এ জন্য যত টাকার প্রয়োজন জামাত তা ব্যায় করবে তাদের হীন স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য । এর সঙ্গে জড়িত আছে অনেক ভোট , যা বিএনপির মূল লক্ষ্য ।
  
এই বাজে স্বার্থের রাজনৈতিক কারনে খালেদা ও জামাতের নেতারা  প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না যে হেফাজত তাদের দাবার গুটি । বিএনপি হেফাজত ও জামাতের কাঁদে ভর দিয়ে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে । এতে করে প্রমানিত হয় বিএনপি তাদের রাজনৈতিক আদর্শের কাছে পরাজিত ও তাদের জনমত কমে গেছে । আমার ভয় অন্য জায়গায় , এই জামাত-হেফাজত না আবার বিএনপির রাজনীতিকে গ্রাস করে ফেলে । কারন হিসাবে হেফাজত-জামাতের ১ টি শর্তই যথেষ্ট । তা হল, নারী নেতৃত্ব হারাম ।

বাংলার জনগন বর্বরতাকে ঘৃণা করে । জামাত-বিএনপি-হেফাজত কথায় কথায় নৈরাজ্যের হুমকি দিচ্ছে । এ হুমকি জনগনের বিরুদ্ধে । যে জনগন তাদের ক্ষমতায় নিবে তাদের মুহুর্মুহু হুমকি দিয়ে কি আর নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে !
  
হেফাজতের দাবিগুলো আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই অসম্ভব । শুধু কোরআন , হাদিস মুখস্থ করে বর্তমানের অর্থনৈতিক ক্রমবর্ধমান বিশ্বে টিকে থাকা অসম্ভব । কিন্তূ বিএনপি-জামাত চক্র দেশের সরল সাধারন জনগণকে বুঝাতে চাচ্ছে তারাই একমাত্র মুক্তির পথ । 

যদি বিএনপিকে প্রশ্ন করা যায় আপনারা যে  ইসলামের আদর্শে দেশ চালাতে চান , আপনারা নিজেরা কি ইসলামের আদর্শে জীবনযাপন করেন ? প্রশ্ন আমার কোটি বিবেকের কাছে , এদের ভণ্ডামি থেকে নিজেকে ও দেশকে বাচান ।