বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৩

Fantail কবুতর পরিপালন ও ব্যাবসায়িক দিক



Fantail   কবুতর দেখতে সাদা, লাল, হলুদ,খয়েরি, কালো ছাড়াও বিভিন্ন রঙের ও লেজটি ময়ূরের মত দেখতে হয় । এই কবুতর সৌখীন লোকেরা তাদের বাসায় সৌন্দর্য  বৃদ্ধির জন্য লালন পালন করে ।   


বর্তমানে কবুতর পালন পরিবারের সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উস হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ। এদের সুষ্ট পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।  
বানিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে অনেকেই অল্প সময়ে লাভবান হয়েছেন । কবুতর ১২ থেকে ১৫ বৎসর বাচে । প্রতি মাসে জোড়ায় দিম পারে ও ১২ মাসে ১২ জোড়া বাচ্চা দেয় । 




হাঁস-মুরগির মতো যে কোনো মর্দা কবুতর মাদী কবুতরের সাথে সহজে জোড়া বাঁধে না। এদেরকে এক সাথে এক সপ্তাহ রাখলে জোড়া বাঁধে। মুরগীর ন্যায় কবুতরের জননতন্ত্রে ডিম উপন্ন হয়। তবে ডিম্বাশয়ে একসাথে সাধারণত মাত্র দু'টি ফলিকুল তৈরি হয়।
এ কারণে প্রতিটি মাদী কবুতর দু'টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ৪০-৪৪ ঘন্টা পূর্বে ডিম্ব স্খলন হয় এবং ডিম পাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পূর্বে তা নিষিক্ত হয়। অর্থা যে ১৬-২০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিম ডিম্বনালীতে থাকে সে সময়ে তা নিষিক্ত হয়ে থাকে।
ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী উভয় কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। মাদী কবুতর প্রায় বিকেল থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ডিমে তা দেয় এবং বাকী সময়টুকু অর্থা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মর্দা কবুতর তা দিয়ে থাকে। তা দেয়ার পঞ্চম দিনেই ডিম পরীক্ষা করে উর্বর বা অনুর্বর ডিম চেনা যায়। বাতির সামনে ধরলে উর্বর ডিমের ভিতর রক্তনালী দেখা যায়। কিন্তু অনুর্বর ডিমের ক্ষেত্রে ডিমের ভিতর স্বচ্ছ দেখাবে। সাধারণত ডিম পাড়ার ১৭-১৮ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে একটি মাদী কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উপাদন করতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দ্বারা আবৃত থাকে।

এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। পনের দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু'টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে।



বাচ্চা ফুটার পর কবুতরের খাদ্যথলিতে পিজিয়ন মিল্ক উপাদিত হয়। এই খাদ্য থলিতে দু'টি অংশ বা লোব (ষড়নব) থাকে। ডিমে তা দিতে বসার প্রায় অষ্টমদিন থেকে "পিজিয়ন মিল্ক" পাদনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এন্টিরিত্তর পিটুইটারী গ্রন্থির প্রোল্যাকটিন (Prolactin) হরমোনের প্রভাবে এই ' পিজিয়ন মিল্ক' পন্ন হয়। এ কারণে কবুতর ছানার জন্য কোনো বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত ছানা তার মাতা-পিতার কাছ থেকে প্রকৃতি প্রদত্ত খাবার পেয়ে থাকে। এটিকে পিজিয়ন মিল্ক বা কবুতরের দুধ বলা হয়। পিজিয়ন মিল্ক হলো পৌষ্টিক স্তরের কোষের মধ্যে চর্বির গুটিকা (globules of fat) যা পিতা মাতা উভয়ের খাদ্য থলিতে যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ হয়। পিজিয়ন মিল্ক কবুতর ছানার জন্য একটি আদর্শ খাবার। এতে ৭০% পানি, ১৭.৫% আমিষ, ১০% চর্বি এবং ২.৫% বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। মাতাপিতা উভয় কবুতরের খাদ্য থলির অভ্যন্তরীণ আবরণ থেকে পিজিয়ন মিল্ক উপন্ন হয়। কবুতরের জিহ্বা লম্বা ও সরু। মুখ গহ্বরের নীচের অংশ বেশ প্রশস্ত হয় যা ছানাকে খাওয়ানোর উপযোগী। মাতা ও পিতা কবুতর ছানার মুখের মধ্যে মুখ প্রবেশ করিয়ে খাবার সরাসরি অন্ননালীতে পৌছে দেয়।



প্রাপ্ত বয়ষ্ক কবুতরের দৈহিক ওজন (জাতভেদে) ২৫০-৮০০ গ্রাম, প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার সময়কাল ৫-৬ মাস, কবুতর প্রতিবার ১ জোড়া ডিম দেয় (প্রথম ডিম দেয়ার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় ডিম দেয়), বাচ্চা উপাদনের বয়সকাল ৫-৬ বসর, ৪-৫ দিনে বাচ্চার চোখ ফোটে, ১৭-১৯ দিন বাচ্চা ফোটার জন্য ডিমে তা দেয়, ১০-১২ দিনে পালক গজায়, ২৮-৩০ দিন বাজারজাতকরণের বয়স, জীবনকাল ১৫-২০ বসর। কবুতরের ক্ষেত্রে ডিম ফোটার হার ৯৮%
পৃথিবীতে প্রায় ২০০ জাতের কবুতর রয়েছে আমাদের দেশে ২০ টিও অধিক জাতের কবুতর আছে বলে জানা যায়।
১। গোলা, ২। গোলী, ৩। টাম্বলার, ৪। লোটান, ৫। লাহোরী, ৬। কিং, ৭। ফ্যানটেল, ৮। জ্যাকোবিন, ৯। মুকি, ১০। বোখারা  ইত্যাদি । 
এরকম একটি জাত হল “ফ্যানটেল” । 




এই জাতের কবুতর পালনের জন্য খুব বেশী জায়গার প্রয়োজন হয় না । প্রয়োজন শুধু সঠিক পরিচর্যার । মাত্র ২.৫ফুট / ২.৫ ফুট / ২.৫ মাপের একটি খাচায় পালন করা যায় ।
 মাত্র  ১০ ফুট/২.৫ ফুট/৭.৫ ফুট মাপের একটি খাচায়  ১২ জোড়া Fantail  কবুতর পালন করা যাবে  খুব সহজেই । 
  



এখন আসা যাক ব্যয় এবং লাভের দিক :


ব্যায়ঃ

১ ঃ  ১২ জোড়া Fantail  কবুতর পালনের জন্য ১০/২.৫/৭.৫ ফুট মাপের 
        একটি ভালো লোহার খাচা বানাতে খরচ পরবে আনুমানিক ১০,০০০/ টাকা ।  
২ ঃ  এক জোড়া  কবুতর ( ২ মাস বয়সী ) এর দাম  = ২৫০০ টাকা ।
        ১২ জোড়া কবুতরের দাম পরবে = ৩০,০০০/ টাকা
৩ ঃ  ১২ জোড়া কবুতরের খাবার বাবদ প্রতি মাসে আনুমানিক = ৩,০০০/ টাকা ।
         ৬ মাস খাবার বাবদ খরচ পরবে আনুমানিক = ১৮,০০০ টাকা ।
৪ ঃ  ৬ মাসে ভেক্সিন বাবদ খরচ পরবে আনুমানিক = ২,০০০/ টাকা ।

৬ মাস পর্যন্ত আনুমানিক খরচ = ( ১+২+৩+৪ ) = ৬০,০০০/ টাকা ।
( উল্লেখ্য যে, এই ব্যায় শুধু নিজের বসত বা ফ্লাটের  একটি রুমে করলে,
  একটি ১২/১০ ফুট রুমে উপরের মাপের ৩ টি খাচা রাখা যাবে । )


 লাভের দিকঃ

Fantail কবুতরের বয়স যখন ৬ মাস হবে তখন থেকেই ডিম দেয়া শুরু করবে । অর্থা কবুতর কিনে এনে খাচায় পরিপালনের বয়স যখন ৬ মাস হবে তখন ১২ জোড়া কবুতর থেকে ১২ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যাবে । 
২ মাস বয়সী প্রতি জোড়া বাচ্চা বিক্রি করা যাবে = ২০০০/ টাকা করে ।
১২ জোড়া বাচ্চা বিক্রি করা যাবে =  ২৪,০০০/ টাকা ।

এই হিসাবে মোট ব্যায় তোলে আনতে সময় লাগবে আনুমানিক ৪+৪ = ৮  মাস ।
প্রতি মাসে খাবার ব্যায় বাদ দিয়ে মাসে ২০,০০০/ আয় করা যায় খুব সহজেই । 



যদি একটি রুমে ৩ টি খাচায় ৩৬ জোড়া কবুতর পরিপালন করা যায় ____
ব্যায় হবে ( ৬ মাসের খাবার ও ভ্যাক্সিন সহ ) আনুমানিক ১,৮০,০০০/ টাকা ।
মোট প্রাক্কলিত ব্যায় উঠে আসতে সময় লাগবে মাত্র ৪+৪ = ৮ মাস ।
এর পর থেকে প্রতি মাসে খাবার ও ভ্যাক্সিন বাবদ ব্যায় হবে = ৯০০০/ টাকা ।
লাভ হবে প্রতি মাসে নীট = ৬০,০০০/ টাকা  । 




খাদ্যঃ  
  •  ছোট আকারের কবুতরের জন্য ২০-৩০ গ্রাম, মাঝারী আকারের জন্য ৩৫-৫০ গ্রাম এবং বড় আকারের জন্য ৫০-৬০ গ্রাম খাদ্য প্রতিদিন দিতে হবে। দানাদার জাতীয় খাদ্যের মধ্যে গম, ধান, ভূট্টা, সরগম, ওট শতকরা ৬০ ভাগ এবং লেগুমিনাস বা ডাল জাতীয় খাদ্যের মধ্যে সরিষা, খেসারী, মাটিকলাই শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ সরবরাহ করতে হবে।
  • কবুতরের ভিটামিন সররাহের জন্য বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন ছাড়া সবুজ শাকসবজি, কচি ঘাস সরবরাহ করা প্রয়োজন।
  • প্রতিদিন ২ বার খাদ্য সরবরাহ করা ভাল। মাঝে মাঝে পাথর, ইটের কণা (গ্রিট) এবং কাঁচা হলুদের টুকরা দেয়া উচি কারণ এ গ্রিট পাকস্থলীতে খাবার ভাঙতে এবং হলুদ পাকস্থলী পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
  • কবুতরের ডিম দেয়ার সময় গ্রিট মিশ্রণ বা খনিজ মিশ্রণ, ডিম এবং ডিমের খোসা তৈরী এবং ভাল হ্যাচাবিলিটির জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এই খনিজ  মিশ্রণ বোন মিল (সিদ্ধ) ৫%, ঝিনুক ৪০%, লাইম স্টোন ৩৫%, গ্রাউন্ড লাইম স্টোন ৫%, লবণ ৪%, চারকোল ১০% এবং শিয়ান রেড ১% তৈরী করতে হবে 
পানিঃ প্রতিদিন পানির পাত্র ভালভাবে পরিষ্কার করে ৩ বার পরিষ্কার পরিচছন্ন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা উচিত। দুই সপ্তাহ পর পর পটাশ মিশ্রিত পানি সরবরাহ করলে পাকস্থলী বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।



রোগ প্রতিরোধঃ 
১। কবুতর উঠানোর আগে খামারসহ ব্যবহার্য্য সকল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রথমে পানি দিয়ে পানির সাথে কার্যকরী জীবানুনাশক (  সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড বা আয়োডিন দ্রবণ) মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

২। সুস্থ্য সবল কবুতর সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে বাহ্যিক পরজীবি নিধনের জন্য ০.৫% ম্যালাথিয়ন দ্রবণে কবুতরকে গোসল করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কবুতরের মুখ এই দ্রবণে ডুবানো যাবে না। হাত দিয়ে মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে। অন্তঃপরজীবি প্রতিরোধের জন্য কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে।

৩। কবুতরের খোপ, দানাদার খাদ্য ও খনিজ মিশ্রণ সরবরাহের পাত্র, পানির পাত্র ও গোসল করার পাত্র এবং কবুতর বসার স্ট্যান্ড নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।

রোগবালাই 

কবুতরের একটি অতিপরিচিত রোগ হলো রানিক্ষেত। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে কবুতরকে তিন দিন বয়সে একবার, ২১ দিন বয়সে একবার, এরপর প্রতি দুই মাস অন্তর প্রতিষেধক টিকা দিতে হয়। বসন্ত একটি পরিচিত রোগ। এ রোগের জন্য ডিম পাড়ার আগে মা কবুতরকে এবং বাচ্চাকে ২১ দিন বয়সে টিকা দিতে হয়। কলেরা রোগের জন্য জন্মের দুই মাস বয়সে টিকা দিতে হয়। এ ছাড়া কবুতরের ঠাণ্ডা-জ্বর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রেনামাইসিন ট্যাবলেটের সঙ্গে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। কবুতরের আরেকটি পরিচিত অসুখ হলো বদহজম। বদহজম হলে কবুতরকে এজাইম ট্যাবলেট বা  বিট লবণের পানি খাওয়াতে হয়।


 
টিকা প্রদানঃ
খামারে রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কবুতরের প্রজননকালীন সময়ে প্যারেন্ট কবুতর গুলোকে রাণীক্ষেত রোগের মৃত টিকা প্রয়োগ করা উত্তম। টিকা প্রয়োগের কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ পর বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করতে হবে। তবে বাচ্চা কবুতর উড়তে শেখার সাথে সাথেও টিকা প্রয়োগ করা যায়জীবিত বা মৃত উভয় টিকাই প্রয়োগ করা যায়। জীবিত টিকা চোখে এবং মৃত টিকা চামড়ার নীচে বা মাংসপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম টিকা (জীবিত) প্রয়োগের কমপক্ষে ১৪ দিন পর দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ দিতে হবে।
রানীক্ষেত টিকা দেওয়ার ১০/১৫ দিন পর পিজিয়ন পক্স টিকা দেওয়া জরুরী ।
পিজিয়ন পক্স টিকা দেওয়ার ১০/১৫ দিন পর সালমোনেলোসিস টিকা দেওয়া জরুরী ।
প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এই টিকা দিলে খামার নিরাপদ থাকবে ।
প্রতি ২ মাস অন্তর অন্তর কৃমির টেবলেট খাওয়াতে হবে ।
এই ৩ টি টিকা যে কোন পশু সম্পদ হাসপাতালে নাম মাত্র মুল্যে পাওয়া যাবে । 
 যে সব রোগের কারনে খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার নাম ও লক্ষন । 

রাণীক্ষেতঃ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কবুতর থেকে সুস্থ কবুতরে এ রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটে। এ রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৬০ ভাগসবুজ ডায়রিয়া এবং প্যারালাইসিস ইত্যাদি এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। কবুতরকে জীবিত বা মৃত টিকা প্রয়োগ এবং খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

বসন্তঃ সাধারণত শরীরের পালকবিহীন অংশ যেমন- চোখ বা মুখের চারিদিক, পা ইত্যাদি জায়গায় এ রোগের ফোষ্কা বা গুটি দেখা যায়। আক্রান্ত কবুতরের চোখের পাতা ও চোখ ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, (conjunctivitis) এবং পানি পড়ে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে উপনড়ব হওয়া ফোষ্কা বা গুটিগুলোকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার করে আয়োডিন যৌগ যেমনপভিতে সপ বা আয়োসান দিয়ে মুছে দিতে হবে।
টিকা প্রয়োগ এবং খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
  
সালমোনেলোসিসঃ আক্রান্ত পিতামাতা থেকে ডিমের মাধ্যমে এবং খাবার, পানি, খামারে ব্যবহৃত বিভিনড়ব যন্ত্রপাতি, কর্মরত শ্রমিক ও আগত অন্যান্য লোকজন, খাদ্য সরবরাহের গাড়ি, বন্যপ্রাণী যেমন ইদুঁর ইত্যাদির মাধ্যমে খামারে এ সংক্রমক রোগের প্রাদূর্ভাব ঘটে। শতকরা ৫-৫০ বা তারও বেশী কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতরের ডায়রিয়া, শুকিয়ে যাওয়া, পা এবং পাখায় প্যারালাইসিস এবং ডিম পাড়ার সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
টিকা প্রয়োগ এবং খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

রক্ত আমাশয়ঃ বিভিন্ন প্রজাতির প্রটোজোয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। সংক্রামিত খাবার, পানি বা লিটার থেকে মুখের মাধ্যমে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। রক্ত মিশ্রিত ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্ধা এবং ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি এ রোগের প্রধান লক্ষণ। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতর কার্যকরী জীবাণুনাশক দিয়ে শেড ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং কঠোর জৈবনিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।

ক্যাঙ্কারঃ আক্রান্ত বয়ষ্ক পিতামাতা কবুতর থেকে দুধের মাধ্যমে বাচ্চায় প্রটোজোয়া এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্ত জীবিত কবুতর সারাজীবন এ রোগের জীবাণু বহন করে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। আক্রান্ত  কবুতর অস্থির থাকে, পাখা উশকু-খুশকু হয়ে যায়, খাদ্য গ্রহণ কমে যায় এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়। আক্রান্ত কবুতরের মুখের চারিদিকে সবুজাভ বা হলুদ লালা লেগে থাকে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।   

( মাত্র ২,০০,০০০/ টাকা ব্যায় করে , প্রতিদিন মাত্র ২/৩ ঘণ্টা সময় ব্যায় করে ,
   ৪+৪ = ৮  মাসের মধ্যে মূল প্রাক্কলিত ব্যায় ফেরত সহ , প্রতি মাসে ৬০,০০০/ টাকা  
   আয় করা আর অন্য কোন ব্যাবসায় আছে কিনা আমার জানা নাই । )  


Please visite  https://selfjudge.wordpress.com/