শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৩

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেও জামাত-হেফাজত




আজ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন । 

স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারার আওয়ামী পন্থী ও বিএনপি পন্থীর দুইজনের মধ্যেই হবে জয় পরাজয়ের ফলাফল । এর আগের চারটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি পন্থী ধর্মকে সহজ বিক্রির মাধ্যমে জয় পেয়েছে । একই কায়দায় তারা গাজিপুরেও ধর্মকে টেনে এনেছে নির্বাচনে জয় পেতে ।

আমরা কতটাই নির্বোধ , সাধারন একটি নির্বাচনে জয় লাভ করতে ধর্মকে বিকিয়ে দিচ্ছি কিছু লোভী , চোর ও ধর্ম ব্যাবসায়ির কাছে । একবার চিন্তা করে দেখি না ধর্ম আর দেশীয় রাজনীতি এক নয় । আর যারা ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হছে , তারা ইসলাম ধর্মকে কতটুকু অবজ্ঞা বা অপমান করছেন সে হিসাব কি করেন । 

উনারা বারবার ইসলামকে ব্যাবহার করে ইসলামের সর্ব শ্রেষ্ঠ আয়োজন হজ্বের  টাকা অবলীলায় চুরি করেন । চুরি করেন মসজিদ মাদ্রাসার জন্য দেয় অনুদান । এদের কাছে ইসলাম কখনই নিরাপদ ছিল না , নিরাপদ থাকবেও না । 

আমরা হয়তো দেখব গাজিপুরেও এইসব ধর্ম ব্যাবসায়িদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে  জনগনের উন্নয়নের গতিপথ । একজন ধর্ম ব্যাবসায়ি কখনই জনগনের প্রত্যাশা পুরন তো দূরে থাক ধর্মের ক্ষতিই বেশি করে । এরা ধর্মের নামে অধর্মের কাজে নিয়োজিত হয়ে হজ্বের টাকা চুরি সহ মসজিদ-মাদ্রাসার নামে টাকা এনে ভাগ বাটোয়ারা করে নিজেদের ভোগ বিলাসে ব্যাস্ত থাকে ।  

এই সব লোভীদের  নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে জামাত-বিএনপি বরাবরই পটু  সেই ৭৫ এর পর থেকেই ।  এখন আবার নতুন করে যোগ হয়েছে জামাতের অন্য একটি হাত হেফাজত । 

এই জামাত-হেফাজত মানুষের রগ কাটা , খুন করা , রাষ্ট্রের সম্পত্তি নষ্ট করা সহ আমাদের পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ানো পর্যন্ত সকল কাজই ইতিমধ্যে করেছে , যা দেশবাসী সকলেই দেখেছে । শুধু তাই নয় , এই ধর্মান্ধতাকে কাজে কাজে লাগিয়ে কোন একজনকে চাঁদে দেখা গেছে বলে খুন করে ফেলেছে ৭ জন পুলিস সহ অনেক সাধারন মানুষ । 

তার পরেও কেন যে এই জামাত-হেফাজতের কথায় আমাদের ধর্মকে ওদের কাছে বিক্রি করে দিয়ে একটি নির্বাচনে অসৎ ব্যাক্তিকে ভোট দেয় তা দেশের সকল জনতার কাছে আমার প্রশ্ন ।

কোন মন্তব্য নেই: