ব্রকলি ক্রসিফেরী গোত্রের
অন্তর্ভুক্ত শীতকালিন সব্জি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, আঁশ আছে। এতে phytonutrients থাকায় হৃদরোগ, বহুমূত্র এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ব্রকলি জারণরোধী (antioxident) ভিটামিন
এ এবং সি সরবরাহ করে কোষের ক্ষতি রোধ করে।
ব্রকলি
দেখতে ফুলকপির মতো। রঙ হয় গাঢ় সবুজ ফুলকপির মতো দুধ সাদা নয়। ব্রকলী হচ্ছে অনেকটা ফুলকপির মতো দেখতে
বেগুনি, হলুদ, পিংক ও সবুজ বর্ণের উদ্ভিদ; যার কুঁড়ি ও কাণ্ড সবজি হিসাবে খাওয়া
হয়। পুষ্টি উপাদানের বিবেচনায় ব্রকলি উচ্চমানের সবজি। এটা
ভিটামিন, খনিজ এবং
এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। মানুষের শরীরের জন্য ব্রকলি একটি আদর্শ খাবার। এটা
হার্টের অসুখ দুর করতে এবং ডায়াবেটিকস রোগ প্রশমনে খুবই সহায়ক।
প্রতি শতক জায়গায় ২৫-৩০
দিন বয়সের ২০০টি চারা রোপণ করে মাত্র ৫০-৬০ দিন পরই ৪০ মণ ব্রকলী উত্পাদন করা
সম্ভব। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা দামে বিক্রি করে ৭ হাজার
টাকা আয় করা যায়। অথচ শতক প্রতি জমি তৈরি,
বীজ, সার ও অন্যান্যসহ সর্বোচ্চ মোট
খরচ ১ হাজার টাকা। যা অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায় লাভজনক। ব্রকলী সাধারণত দো-আঁশ ও
এঁটেল দো-আঁশ মাটিতে ভাল হয়। মাটি ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে
হয়। মধ্য ভাদ্র-মধ্য পৌষ এর মধ্য বীজ বপন ও চারা রোপণ করতে হয়। ২৫-৩০ দিন বয়সের
চারা ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপণ করতে হয়। এরপর একর প্রতি গোবর ৬ টন, ইউরিয়া ১০০ কেজি, টি এস পি ৭০ কেজি ও পটাশ ৫৫
কেজি প্রয়োগ করতে হবে ।
ব্রকলির পুষ্টিমানঃ
ব্রকলি, কাঁচা (ভোজনযোগ্য)
|
|
শক্তি
|
১৪১ কিজু
(৩৪ kcal)
|
ভিটামিন সমূহ
|
|
ভিটামিন “এ” সমতুল্য
|
(4%)
31 μg
|
বেটা ক্যারোটিন
|
(3%)
361 μg
|
লুটিন জিজানথেন
|
1403 μg
|
থায়ামিন (বি১)
|
(6%)
0.071 mg
|
(10%)
0.117 mg
|
|
ন্যায়েসেন (বি৪)
|
(4%)
0.639 mg
|
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫)
|
(11%)
0.573 mg
|
ভিটামিন বি৬
|
(13%)
0.175 mg
|
ফোলেট (বি৯)
|
(16%)
63 μg
|
ভিটামিন সি
|
(107%)
89.2 mg
|
ভিটামিন ই
|
(5%)
0.78 mg
|
ভিটামিন কে
|
(97%)
101.6 μg
|
চিহ্ন ধাতুসমুহ
|
|
(10%)
0.21 mg
|
মাটি ও জলবায়ুঃ ফুলকপি ও ব্রোকলির জলবায়ু প্রায় একই রকম। তবে
ব্রোকলির পারিপার্শ্বিক উপযোগিতার সীমা একটু বেশি বিস্তৃত। তবে ফুলকপির তুলনায় এটি
উচ্চতাপমাত্রা ও খরা বেশি সহ্য করতে পারে। ব্রোকলি ১৫-২৫
ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো জন্মে। ব্রোকলি এপ্রিল মাসের পরেও ভালো ফলন
দিতে পারে। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ উর্বর দো-আঁশ উঁচু জমি
এবং মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হওয়া ব্রোকলি চাষের জন্য সর্বোত্তম।
জাতঃ আমাদের
দেশে ব্রোকলির কোনো মুক্তায়িত জাত নেই। তবে বিভিন্ন বীজ কোম্পানি বিদেশ থেকে
ব্রোকলির সাধারণ ও শঙ্কর উভয় প্রকার জাত আমদানি করে বাজারজাত করছে। উল্লেখযোগ্য
জাতগুলো হচ্ছে- প্রিমিয়াম ক্রপ, গ্রিন কমেট, গ্রিন ডিউক, ক্রুসেডার, ডিসিক্কো, টপার-৪৩, ডান্ডি,
ইতালিয়ান গ্রিন, সপ্রডিটিং টেক্সাস ১০৭,
ওয়ালথাম ২৯, গ্রিন মাউন্টেইল, গ্রীন বাড।
বীজ বপনের সময়ঃ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষার পর পরই আগাম জমি
প্রস্তুত করতে হয়। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে (ভাদ্র থেকে কার্তিক) পর্যন্ত
বীজতলায় ব্রোকলির বীজ বুনতে হয়।
বীজের পরিমাণঃ প্রতি হেক্টর আবাদের জন্য ১৫০ গ্রাম বীজ লাগে।
চারা উৎপাদনঃ পাতা পচা সার বা গোবর সার ১ ভাগ, বালু ১
ভাগ ও মাটি ২ ভাগ মিশিয়ে ব্রোকলির বীজতলা তৈরি
করতে হয়। বীতলার মাপ হচ্ছে ১ মিটার প্রস্থ, ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৫ সেমি. উচ্চতা। ১ হেক্টর
জমিতে রোপণের জন্য এরূপ ২০টি বীজতলায় চারা তৈরির প্রয়োজন হবে। বীজতলার উপরিভাগে ৫
সেমি. দূরে দূরে সারি করে ১-২ সেমি. দূরে বীজ বপন করা হয়। বীজতলায় চারাকে রোদ
বৃষ্টি হতে রক্ষার জন্য আচ্ছাদন বা চাটাইয়ের ব্যবস্থা রাখা উচিত। সকালে-বিকেলে সেচ
দেয়ার পর একটি শক্ত কাঠি দ্বারা বীজতলা সাবধানে খুঁচিয়ে নিড়িয়ে দিতে হয়।
জমি তৈরিঃ সারাদিন রোদ পায় এমন জমি ব্রোকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে। আবাদের জন্য গভীর চাষ দিয়ে জমি তৈরি
করতে হবে। এরপর ২ সারিতে চারা রোপণের জন্য ১ মিটার চওড়া ও ১৫-২০ সেমি. উঁচু মিড়ি
বা বেড তৈরি করতে হবে। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের
সুবিধার জন্য মিড়িতে চারা রোপণ করাই ভালো। মিড়ির দৈর্ঘ্য
জমির সাইজ এবং কাজের সুবিধা বিবেচনা করে যত ইচ্ছা করা যেতে পারে। পাশাপাশি দুই
মিড়ির মাঝখানে ৩০ সেমি. চওড়া এবং ১৫-২০ সেমি. গভীর নালা থাকবে। নালার মাটি তুলেই
মিড়ি তৈরি করা হয়। সেচ দেয়া এবং পানি
নিষ্কাশনের জন্য নালা অত্যন্ত জরুরি।
সার প্রয়োগঃ প্রতি হেক্টরে গোবর ১৫ হাজার কেজি, ইউরিয়া
২৫০ কেজি, এমপি ২০০ কেজি, টিএসপি
১৫০ কেজি এবং প্রতি চারায় পচা খৈল ৫০ গ্রাম হারে প্রয়োগ
করতে হয়।
চারা রোপণঃ বীজতলায় চারা ৫-৬টি পাতা হলে প্রধান জমিতে রোপণ
করতে হয়। সে সময় চারার উচ্চতা ৮-১০ সেমি. হয়। তবে ৪-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা রোপণ
সবচেয়ে উত্তম। ৬০ সেমি. ব্যবধানে সারি করে সারিতে ৫০ সেমি. দূরত্বে চারা লাগানো
হয়। ভালা ফলনের জন্য চারার বয়স কম হওয়া বাঞ্ছনীয়।
পরবর্তী পরিচর্যাঃ রোপণের পর প্রথম ৪-৫ দিন পর্যন্ত এক দিন পর পর
সেচ দিতে হবে। পরবর্তীতে ৮-১০ দিন অন্তর বা প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিলেই চলবে। সেচ
পরবর্তী জমিতে ‘জো’ আসলে ব্রোকলির বৃদ্ধির
জন্য মাটির চটা ভেঙে দিতে হবে এবং জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। সারের উপরি প্রয়োগ
যথাসময়ে করতে হবে। উলেখ্য, সারের উপরি প্রয়োগের পর অবশ্যই
জমিতে সেচ দিতে হবে। এ ছাড়া পানি সেচ ও নিষ্কাশনের জন্য বেড সর্বদা পরিষ্কার রাখতে
হবে।
ফসল সংগ্রহ ও ফলনঃ ব্রোকলি রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে অগ্রীম
পুষ্পমঞ্জরি সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। ধারালো ছুরি দ্বারা তিন ইঞ্চি কাণ্ডসহ
পুষ্পমঞ্জরি কেটে সংগ্রহ করতে হয়। এভাবে একই জমি থেকে ১ মাসব্যাপী কয়েকবার
ব্রোকলির উৎপাদন পাওয়া যায়। পুষ্পমঞ্জরির রঙ ফ্যাকাশে বা ঢিলা হওয়ার আগে মোটামুটি
জমাটবাঁধা অবস্থায় সংগ্রহ করা উচিত। এর বর্ণ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় বিধায়
পর্যায়ক্রমে সংগ্রহ করে খাওয়া বা দ্রুত বাজারজাত করা উচিত। এজন্য অনেক দেশে পলিথিনের প্যাকেটে একে বাজারজাত করা হয়।
ব্রোকলির ফলন প্রতি হেক্টরে ১০-১৫ টন।
পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনাঃ সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ : এ পোকার
আক্রমণে কচি পাতা, ডগা ও কপি খেয়ে নষ্ট করে। পাতার ওপরের ত্বক
বা সবুজ অংশ কুরে কুরে খাওয়ার ফলে সেসব অংশ ঝাঁঝরা হয়ে যায়। আক্রান্ত পাতা সবুজ
রঙবিহীন জালের মতো দেখায়। ব্যাপক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। কচি গাছের বর্ধনশীল
অংশে এ পোকার আক্রমণ বেশি পরিলক্ষিত হয। আক্রান্ত ব্রোকলি খাওয়ার
অনুপযুক্ত হয়ে যায়। এদের ব্যাপক আক্রমণে ব্রকলি উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে
পারে।
দমন ব্যবস্থাঃ ফসল সংগ্রহের পর
ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়য়ে ফেলা এবং পরে জমি ভালো করে চাষ করা। আক্রান্ত পাতার পোকা
২-৩ বার হাতে ধরে মেরে ফেললে এ পোকা অনেকাংশে দমন করা যায়। পিঁপড়া এবং মাকড়সা এ
পোকার কীড়া খায়। বহু রকমের বোলতা যেমন ট্রাইকোগ্রামা, কোটেসিস
ইত্যাদি এ পোকার ডিম কীড়াকে ধ্বংস করে ফেলে। ব্যাসিলাস ফুরিনাজিয়েনসিস (বিটি)
প্রয়োগ করে এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জমি জরিপ করে যদি প্রয়োজন হয় তখন সঠিক নিয়মে
অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
জাব পোকাঃ জাব পোকা একটি অন্যতম
প্রধান ক্ষতিকারক পোকা। অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয় অবস্থাতেই দলবদ্ধভাবে
গাছের নতুন ডগা, পাতা, ফুল,
ফল ইত্যাদির রস চুষে খায়। ফলে পাতা বিকৃত হয়ে যায়, বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও প্রায়শ নিচের দিকে কুঁকড়ানো দেখায়। জাব পোকা শরীরের
পেছন দিকে অবস্থিত দুটি নল দিয়ে মধুর মতো এক প্রকার রস নিঃসৃত করে। এ রসে পাতা ও
কাণ্ডে সুটিমোল্ড নামক এক প্রকার কলো রঙের ছত্রাক জন্মায়। এর ফলে গাছের সবুজ অংশ
ঢেকে যায় এবং সালোকসংশে ষণ ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। মেঘলা, কুয়াশাচ্ছন্ন
এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় জাব পোকার বংশ বৃদ্ধি বেশি হয়। তবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলে
এদের সংখ্যা কমে যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত
পাতা ও ডগার জাব পোকা হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলা যায়। নিম বীজের দ্রবণ (১ কেজি
পরিমাণ অর্ধভাঙা নিমবীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে) বা সাবানঘোলা
পানি (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২ চা চামচ গুঁড়া সাবান মেশাতে হবে) সেপ্র করেও এ
পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমানো যায়। লেডিবার্ড
বিটলের পূর্ণাঙ্গ পোকা ও কীড়া এবং সিরফিড ফ্লাইয়ের কীড়া জাব পেকা খেয়ে
প্রাকৃতিকভাবে দমন করে। সুতরাং উপরোক্ত বন্ধু পোকাগুলো সংরক্ষণ করলে এ পোকার
আক্রমণ অনেকাংশে কম হয়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে শুধু আক্রান্ত স্থানগুলো কীটনাশক
প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিষক্রিয়াসম্পন্ন কীটনাশক, যেমন-
ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে সেপ্র করতে হবে।
কাটুই পোকাঃ চারা অবস্থায়
কাটুই পোকার আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে। এ পোকা সাধারণত চারা গাছের ক্ষতি
করে থাকে। দিনের বেলা কাটুই পোকার কীড়া মাটির ফাটলে, মাটির
ঢেলায় এবং আবর্জনার মধ্যে লুকিয়ে থাকে। পোকা রাতের বেলা বের হয়ে ব্রোকলির চারা গাছ
কেটে ফেলে। ভোর বেলা ক্ষেতে কাটা গাছের কাছে মাটি খুঁড়লে কাটুই পোকার কীড়া দেখতে
পাওয়া যায়। কাটুই পোকার ব্যাপক আক্রমণে জমিতে ব্রোকলির গাছের সংখ্যা কমে যায় বলে
ফলনও কম হয়।
দমন ব্যবস্থাঃ পোকা দমনের জন্য
ভোরে কাটা চারার গোড়ার মাটি খুঁড়ে কীড়াগুলো মেরে ফেলা উচিত। টর্চ বা হারিকেন নিয়ে
রাতে কাটুইপোকার কীড়া সংগ্রহ করে মেরে ফেলা যায়। ক্ষেতে সেচ দিলে মাটির নিচে
লুকিয়ে থাকা কীড়া মাটির ওপরে উঠে আসে। ফলে সহজে পাখি এদের ধরে খায় এবং হাত দিয়ে
মেরে ফেলা যায়। বিষটোপ দিয়ে এ পোকা দমন করা যায়। বিষটোপ হিসেবে শতাংশ প্রতি ২
গ্রাম সেভিন/কার্বোরিল ৮৫ ডবলিউপি অথবা পাদান ৫০ এসপি, ৪০০
গ্রাম গম বা ধানের কুঁড়ার সাথে পরিমাণমতো পানিতে মিশিয়ে এমন একটি বিষটোপ তৈরি করতে হবে যা হাত দিয়ে ছিটানো যায়। এ
বিষটোপ সন্ধ্যায় আক্রান্ত ক্ষেতে চারা গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করলে কাটুই পোকার
কীড়া দমন সহজ হয়। আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ
করতে হবে।
রোগবালাই
দাগ রোগঃ এ রোগ হলে পাতায় বাদামি রঙের চক্রাকার দাগ পড়ে। দাগগুলো অসম আকারের হয়ে থাকে। দাগ অনেকটা চাক চাক আকারে পর পর সাজানো কতগুলো বলয়ের মতো দেখা যায়। অধিক আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে যায়। ফলে অসংখ্য ছোট ছোট কালচে দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত ফসলের বীজ পরিপুষ্ট না হয়ে চিটা হয় এবং ফলন কমে যায়।
দাগ রোগঃ এ রোগ হলে পাতায় বাদামি রঙের চক্রাকার দাগ পড়ে। দাগগুলো অসম আকারের হয়ে থাকে। দাগ অনেকটা চাক চাক আকারে পর পর সাজানো কতগুলো বলয়ের মতো দেখা যায়। অধিক আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে যায়। ফলে অসংখ্য ছোট ছোট কালচে দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত ফসলের বীজ পরিপুষ্ট না হয়ে চিটা হয় এবং ফলন কমে যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ রোগ দমনের জন্য সুষম সার ও
নিয়মিত সেচের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। উপযুক্ত শস্য পর্যায়
করা। সঠিক দূরত্বে চারা রোপণ করতে হবে। অনুমোদিত ছত্রাকনাশক যেমন- ১০ লিটার পানিতে
২০ গ্রাম রোভরাল মিশিয়ে গাছের ১০-১২ দিন অন্তর সেপ্র করা উচিত।
1 টি মন্তব্য:
ভালো
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন