আদা মসলা হিসেবে ব্যবহৃত Zingiberaceae গোত্রের সুগন্ধি ঔষধি Zingier officinale। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
স্থানীয় এক প্রজাতি। রাইজোম (rhizome) বাইরের দিকে
হলুদাভ, ভেতরে হালকা সবুজ-হলুদ।
সাধারনত আদা মসলা হিসেবে বেশি ব্যবহৃত
হয়। কিন্তু এছাড়াও আদার রয়েছে, অনেক ভেষজ গুন। এই ভেষজ গুনের মাধ্যমে, আদা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যরক্ষার সাথে সাথে ত্বকের কাজে লাগে।
আদার বোটানিক্যাল নাম হল “জিঞ্জার অকিসেনেল
রকস।কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া
আদায় রয়েছে- ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও
জিঙ্ক, লবন,পটাশিয়াম,ভোলাটাইল,
অয়েল ইত্যাদি ।
আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এটি ভেষজ ঔষধ।
আদা শুকনো অথবা ভেজা দুভাবেই খাওয়া
যায়। কেউ কেউ আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন।
১০০ গ্রাম আদায় রয়েছেঃ
এনার্জি: ৮০ ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট: ১৭ গ্রাম
ফ্যাট: ০.৭৫ গ্রাম
পটাশিয়াম: ৪১৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস: ৩৪ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ১৭ গ্রাম
ফ্যাট: ০.৭৫ গ্রাম
পটাশিয়াম: ৪১৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস: ৩৪ মিলিগ্রাম
আমিষ ২·৩%,
শ্বেতসার ১২·৩% ,
আঁশ ২·৪% ,
খনিজ পদার্থ, ১·২%
পানি ৮০·৮%
আদার
গুনাগুণঃ
১। আদা আপনাকে পেটের অস্বস্তিদায়ক যন্ত্রনা থেকে
বাচিঁয়ে রাখবে।গ্যাস্ট্রিক সমস্যাতেও আদা বেশ কার্যকর।
২। আদা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর হয়।
৩। আদাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪। হাজার বছর ধরে আদা এশিয়া মহাদেশে ঠান্ডা এবং কফ জনিত অসুখের নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৫। বিদেশে কিছু গবেষনায় দেখা গেছে আদা খেলে কোলন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুকি কমে।
৬। আদা হচ্ছে প্রাকৃতিক পেইন কিলার যা ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। বাতজনীত গাটে ব্যথা,মাথাব্যথা হলে আদা বেশ কার্যকর।
৭। আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে।
৮। আদা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষন ক্ষমতা বাড়ায়।
৯। যারা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর অসুস্থ বোধ করেন আদা খেয়ে দেখতে পারেন,এই সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন।
১০। খাওয়ার আগে একটু আদা খেলে ক্ষুধামন্দা হলে তা কমে যায় এছাড়া আদা বমিভাবও কমায়।
২। আদা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর হয়।
৩। আদাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪। হাজার বছর ধরে আদা এশিয়া মহাদেশে ঠান্ডা এবং কফ জনিত অসুখের নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৫। বিদেশে কিছু গবেষনায় দেখা গেছে আদা খেলে কোলন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুকি কমে।
৬। আদা হচ্ছে প্রাকৃতিক পেইন কিলার যা ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। বাতজনীত গাটে ব্যথা,মাথাব্যথা হলে আদা বেশ কার্যকর।
৭। আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে।
৮। আদা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষন ক্ষমতা বাড়ায়।
৯। যারা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর অসুস্থ বোধ করেন আদা খেয়ে দেখতে পারেন,এই সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন।
১০। খাওয়ার আগে একটু আদা খেলে ক্ষুধামন্দা হলে তা কমে যায় এছাড়া আদা বমিভাবও কমায়।
১১। সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দূর করে আদা
১২। আদা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ডায়াবেটিস রোগের উপশম হয়। আদার নির্যাস শরীরের
কোষে গ্লুকোজের শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিস রোগীর
রক্তে দীর্ঘমেয়াদে সুগারের স্তর ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এবং কোষগুলোতে নির্বিঘ্নে
ইনসুলিনের চলাচল ঠিক রাখে।
১৩। রক্তের
অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর।
১৪। গর্ভধারণের
প্রথম দিকে সকালবেলা গর্ভবতী মায়ের শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে।
এই খারাপ লাগে দূর হয়।
১৫। আমাশয়, জন্ডিস,
পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১৬। আদার
রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে
থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।
১৭। দেহের
কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি
ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।
১৮। আদা
সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, রক্তনালী
প্রসারিত করে। ফলে শীতকালে শরীর গরম থাকে দীর্ঘক্ষণ।
১৯। আদার
রস রক্তশূন্যতা দূর করে।
২০। ভিটামিন -ই, এ,
বি ও সি থাকার কারনে আদা, চুল পড়া
রোধ করে। প্রতিদিন কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে, চুলের গোঁড়া
মজবুত হয়।
২১। আদা পেট পরিষ্কার
রাখতে সহায়তা করায়, এটি ত্বকের জন্যও উপকারী।
২২। নিয়মিত আদা খেলে
ত্বকের ব্রন উঠা বন্ধ হয় এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে।
২৩। যারা গলার চর্চা করেন
তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণ খুবই উপকারী।
২৪। বাত একটি কমন সমস্যা বিশেষ করে আমবাত- ১ চামচ আদার
রস ও ১০ গ্রাম পুরনো আখের গুড়
মিশিয়ে খেতে হবে। রোজ সকালে ১ বার করে ১ মাস।
মিশিয়ে খেতে হবে। রোজ সকালে ১ বার করে ১ মাস।
২৫। জটিল আমাশায় – আদা শুকিয়ে গুড়ো করে ১ গ্রাম পরিমান ইষৎ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে দুবার করে ভাল না হওয়া পর্যন্ত।
২৬। হিক্কা বা হেঁচকির জন্য – এক কাপ
ছাগলের দুধের সাথে ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে হেঁচকি কমে যাবে।
২৭। বসন্ত – ১ চামচ আদার রস ও ১
চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে দুবার খেলেই বসন্তের গুটি বের হয়ে যাবে।
২৮। মাইগ্রেনের ব্যথা , কিডনির জটিলতা দূর করতে আদার ভূমিকা অপরিসীম ।
২৯। বমি
বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খান ।
৩০। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আদা সাহায্য করে।
টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করার, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।
৩১। আদা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৩২। আদা মল পরিষ্কার করে।
৩৩। আদার রস শরীর শীতল করে।
৩৪। আদা লিভারের শক্তি, কৃমি নিঃসরণ
করে, নাক,
কান, গলা জনিত রোগের উপশম করে।
৩৫। হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করে ।
৩৬। খাবার খাওয়ার পর
পুষ্টি-উপাদানসমূহ যদি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষগুলোতে পর্যাপ্ত
পরিমাণে না পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টি
উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহকে সহায়তা করে।
৩৭। আদায় থাকা কিছু উপাদান মানসিক চাপ দূর করেতে
সাহায্য করে।
৩৮। মোশন সিকনেসের কারণে বাসে কিংবা ট্রেনে উঠলে
বমি হয় কিংবা বমির ভাব হয়। এ সমস্যা এড়াতে ভ্রমণের আগেই এক টুকরা
আদা মুখে ফেলে দিন।
৩৯। মাসিকের সময় অনেকেরই তল পেট ব্যথা ও শারীরিক
অস্বস্তি দেখা দিতে পারে, এ
ধরনের সমস্যা এড়াতেও আদা খেয়ে দেখতে পারেন।
৪০। কোলন ক্যানসার রোধ করতে আদা উপকারী।
৪১। প্রতিদিন মাত্র ১ ইঞ্চি পরিমানের
আদা কুচি খাওয়া অভ্যাস সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪২। ত্বকে পড়ে যাচ্ছে বয়সের ছাপ? এক কাজ করুন প্রতিদিন সামান্য আদা কাচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস
করুন। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিএইজিং উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের
টক্সিন দূর করে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে
অনেকটা সময়।
৪৩। আদা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কার্যকরভাবে কমাতে সাহায্য
করে।
৪৪। ক্লান্ত মাংসপেশি ও শীতে কুঁচকে
যাওয়া ত্বকের চিকিৎসায়, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করার জন্য আদা’র রসের
ভূমিকা অতুলনীয়। গরম পানিতে চার টেবিল চামচ আদাকুচি ফেলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই
পানিতে গোসল করুন। দেখবেন ক্লান্ত মাংশপেশি, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও রক্ত সঞ্চালন ধীরে ধীরে
স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
৪৫। ডায়রিয়ার
ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও আদার বিকল্প নেই।
৪৬। ফুড পয়জনিং হলে আদার রস খান বার বার। খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে
পেটের সমস্যা।
৪৭। অপারেশনের পর কাঁচা আদা খান। দ্রুত
সেরে উঠবেন।
৪৮। শ্বেতী
রোগ? আদা
বেটে দিনে তিন থেকে চারবার লাগান। চার থেকে ১২ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন।
কিভাবে আদা খাবেনঃ
১. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন।
২. আদা ছিলে , সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।
৩. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আদা চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান।
৪. পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠাণ্ডা জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাট খেতে পারেন।
৬. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন