মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

তিন মিনিটের জন্য থমকে গেল সারাদেশ

তিন মিনিটের জন্য থমকে গেল সারাদেশ, প্রজন্মের ডাকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবির প্রতি সংহতি জানালো জাতিঃ ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৩ | 


যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ চত্বরের তরুণ প্রজন্মের আহবানে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে তিন মিনিটের জন্য থমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। তরুণ প্রজন্মের আহ্বানে অভূতপূর্ব এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গেল যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণের অনুভূতি। এদেশের সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়ে আবারো জানান দিল তারা যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসি চায়।

ঠিক বিকেল চারটার এই দৃশ্য ছিল অভূতপূর্ব। মাত্র তিন মিনিটের জন্য রাস্তায় নীরবে দাঁড়িয়ে গেল গোটা দেশের মানুষ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তারা জানিয়ে দিল যুদ্ধাপরাধের গ্লানি থেকে তারা মুক্তি চায়। তারা চায় এদেশের ঘৃন্য যুদ্ধাপরাধিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।

এসময় শাহবাগ চত্বরে তরুণ প্রজন্মের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরাও।

ঢাকা মহানগর ১৪ দল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে, সংসদ সদস্যরা সংসদ চত্বরে, গার্মেন্টস শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকরা, শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমের কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে ও কারওয়ানবাজারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচিতে শামিল হন।
এছাড়া ব্যাংক-বীমা, সরকারি অফিস-আদালত যে যেখানে ছিলেন সেখানেই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে তাদের সংহতি প্রকাশ করেন। এমন কি সাধারণ পথচারীরাও হাঁটা থামিয়ে দিয়ে পথেই দাঁড়িয়ে যান। এভাবেই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে তিন মিনিটের জন্য স্থির হয়ে গিয়েছিল পুরো দেশ।

কোন মন্তব্য নেই: