করমচা, টক জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ফলের নাম।
এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারিস ক্যারোন্ডাম। কনটোরটি বিভাগে
অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করমচা ফলের আদি নিবাস ক্যারোনডাস প্রজাতির ভারতবর্ষ, গ্রান্ডিফ্লোরা
প্রজাতির দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এডুইলিস প্রজাতির মিসরে। তবে
ভারতবর্ষে এসব প্রজাতির করমচা দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে।
অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণীতে ১৫৫ বর্ণের প্রায় এক
হাজার গোত্রের করমচা গাছ দেখা যায়। করমচা গাছ বেশ ঝোপতলা ধরনের শক্ত জাতের কাঁটাওয়ালা
গুল্ম। বড় সাদা ও ফিকে গোলাপি রঙের সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত করমচা ফুল দেখতে কিছুটা কুন্ধ ফুলের
মতো। এর ফলের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ, পাকায় লাল হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে এবং
ফল ধরে এপ্রিল-মে মাসে। বর্ষায় ফল পাকে। করমচা চাষে জমি উঁচু হলেই ভালো, তবে নিচু জমিতেও
চাষ করা চলে যদি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকে। করমচা খুব শক্ত ধরনের গাছ
এবং দেহে আঠালো রস থাকায় রোগ ও পোকায় সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
ইংরেজিতে করমচাকে Bengal currant বা Christ's thorn বলা হয়। Carissa গণভুক্ত কাঁটাময়
গুল্মজাতীয় করমচা উদ্ভিদটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়। কাঁচা ফল সবুজ, পরিণত
অবস্থায় যা ম্যাজেন্টা লাল-রং ধারন করে। অত্যন্ত টক স্বাদের এই ফলটি খাওয়া যায়,
যদিও এর গাছ বিষাক্ত। করমচার ঝোপ দেখতে সুন্দর। টক স্বাদের ফল
করমচা।
করমচা
|
|
(শ্রেণীবিহীন)
|
|
(শ্রেণীবিহীন)
|
|
(শ্রেণীবিহীন)
|
|
C. carandas
|
|
Carissa carandas
|
করমচার পুষ্টিমানঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছেঃ
উপাদান
|
পরিমাণ
|
শর্করা বা এনার্জি
|
৬২ কিলো ক্যালোরি
|
কার্বোহাইড্রেট
|
১৪ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
০.৫ গ্রাম
|
ভিটামিন ‘এ’
|
৪০ আই ইউ
|
ভিটামিন ‘সি’
|
৩৮ মিলিগ্রাম
|
রিবোফ্লেভিন
|
০.১ মিলিগ্রাম
|
নিয়াসিন
|
০.২ মিলিগ্রাম
|
আয়রন
|
১.৩ মিলিগ্রাম
|
ম্যাগনেসিয়াম
|
১৬ মিলিগ্রাম
|
পটাশিয়াম
|
২৬০ মিলিগ্রাম
|
কপার
|
০.২ মিলিগ্রাম
|
জলীয় রস
|
১৮.২ ভাগ
|
খনিজ
|
৯.৬ ভাগ
|
চর্বি
|
৯.৬ ভাগ
|
করমচার উপকারিতাঃ
1 টি মন্তব্য:
করমচা খুব মুখোরুচক টক ফল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন