লিচুকে বিবেচনা করা হয় চীন দেশের ফল বলে। চীনারা আবার একে
ভালোবাসা ও রোমাঞ্চের ফল হিসেবে মর্যাদা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, লিচু
চীনা এলাকায়ই প্রথম ফলের কদর পায় এবং চাষবাস শুরু হয়। চীন দেশের এক বংশের নাম ছিল
থাং। এই থাং সাম্রাজ্যের এক রাজা তার সৈন্যবাহিনীকে ৬০০ মাইল দূরে পাঠিয়েছিলেন
লিচু সংগ্রহে। এই লিচুর রঙ, গন্ধ, রস ও স্বাদ রাজা উপহার দিতে চেয়েছিলেন তার ভালোবাসার নারীকে। ইতিহাসে
লিচুর প্রথম ঘটনা এভাবেই বর্ণিত আছে।
লিচু’র
বৈজ্ঞানিক নাম Litchi chinensis। এটি মৌসুমি ফল।
বাংলাদেশের সব স্থানেই লিচু হয়, তবে উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও দিনাজপুর
অঞ্চলে এর ভাল ফলন হয়।
লিচু হলো Sapindaceae পরিবারের Litchi গণের একমাত্র সদস্য। এটি নিরক্ষীয় ও উপ-নিরক্ষীয় অঞ্চলে জন্মে থাকে। এর আদি নিবাস চীনে। বর্তমানে বিশ্বের বহু স্থানে লিচু চাষ করা হয়।
লিচু খুব ধীর গতিতে বড় হয়। ফুলের কুড়ি দিয়ে যখন গাছটি অলঙ্করিত
হয়, তখন গাছটি খুব আর্কষণীয় দেখায়। বসন্তের সময় যখন গাছটি ফলে ভরে যায় তখন
গাছগুলো আরও সুন্দর রুপ ধারণ করে। কাঠামোগত কারণে লিচুর আকৃতি ডিম্বাকৃতির হয়। এরা
৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৫ সেন্টিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট হয়। প্রতিটি লিচুর
ওজন প্রায় ১০ গ্রাম হয়।
পুষ্টিমানঃ
পুষ্টিগুণের দিক থেকে বলতে গেলে বলা যায়, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’। ক্যালসিয়াম দরকার হয় হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে। হিসাব করে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে শর্করা ১৩.৬ গ্রাম, ক্যালরি ৬১, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৩১ মিলিগ্রাম।
পুষ্টিগুণের দিক থেকে বলতে গেলে বলা যায়, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’। ক্যালসিয়াম দরকার হয় হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে। হিসাব করে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে শর্করা ১৩.৬ গ্রাম, ক্যালরি ৬১, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৩১ মিলিগ্রাম।
১০০ গ্রাম লিচু বলতে মাঝারি আকারের প্রায়
১০টি লিচুকে বোঝায়। মার্কিন ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ কিলোক্যালরি শক্তি ও ১৬ গ্রাম শর্করা
রয়েছে। চর্বি একেবারেই নেই। আরও আছে ৭১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৭০
মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফলেট এবং সামান্য
পরিমাণ (১মিলিগ্রাম) সোডিয়াম।
উপকারিতাঃ
১। ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিতভাবে লিচু খাওয়া ভালো।
২। বোলতা, বিছে কামড়ালে পাতার রস ব্যবহারে ভালো হয়।
৩। এতে দেহে শক্তি বাড়ে। কারণ এটা শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ বাড়ায়।
৪। এর ভিটামিন ‘সি’-এর পরিমাণ কমলালেবুর তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
৫। এ ছাড়া গাজরের তুলনায় বেশি বিটা ক্যারোটিনও আছে।
৬। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড রয়েছে।
৭। এটি বিটা ক্যারোটিনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।
৮। লিচু হজমে সহায়তা করে, কারণ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার।
৯। হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
১০। বয়স্ক নারী যাদের মেনোপজ হয়ে গেছে, তাদের জন্য লিচু যথেষ্ট উপকারী। কারণ এসব নারীর অতিমাত্রায় ক্যালসিয়ামের অভাব হয়।
১১। এটি মৌসুমি অসুখগুলো থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
১২। একই সঙ্গে ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগায়।
১৩। প্রচণ্ড ক্ষতিকর আলট্র্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
১৪। এতে রয়েছে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন নামক ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স।
১৫। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স শরীরের জ্বালাপোড়া, দুর্বলতা দূর করে।
১৬। লিচুর ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা কর্নিয়ার অসুখ, চোখ ওঠা, চোখের কোনা ফুলে লাল হয়ে যাওয়া দূর করে।
১৭। এ ছাড়া জ্বরঠোসা, জিহ্বার ঘা, জিহ্বার চামড়া ছিলে যাওয়া এসব রোগ প্রতিরোধ করে।
১৮। লিচু গরম ফল। এটি বেশি খেলে পেট গরম হয়ে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সিজন ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়।
১৯। বেশি মিষ্টি লিচু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পরিহার করা উচিত।
২০। কাশি, পেটব্যথা, টিউমার দমনে লিচু কার্যকর।
২১। চর্মরোগের ব্যথায় লিচুর বীজ ব্যবহৃত হয়।
২২। কচি লিচু শিশুদের বসন্ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২৩। বাকল ও শিকড়ের কস্ফাথ গরম পানিসহ কুলি করলে গলার স্বর ভালো হয়।
২৪। লিচুর রস চকোলেট জাতীয় খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২৫। এতে অবস্থিত
পটাসিয়াম এবং খনিজের মতো উপাদান হূদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
জাপানের কিয়োরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, লিচুতে
রয়েছে অলিগোনল নামের এক ধরনের উপাদান। একে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা
হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।
২৬। শরীরের
প্রদাহজনিত ময়লা পরিষ্কার করে। মস্তিষ্ক বিকাশেও সহায়তা করে। এছাড়া আমাদের হার্ট
সুরা করে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
২৭।
ত্বকের তৈলাকাততা দূর করে বিধায়, লিচু
খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।
২৮।
কপালের ভাজ পরা, ঠোটের চারপাশের বলি
রেখা, গলা এবং বুকের পিগমেন্টেশন দূর করতেও ভূমিকা রাখে।
২৯।
ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বকের যৌবন ধরে রাখে।
৩০। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালরি
রয়েছে। যা আঙ্গুরের তুলনায় অনেক কম। লিচুতে কোন সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই।
কিন্তু এতে ভাল পরিমাণে তালিকাগত ফাইবার,
ভিটামিন ও অ্যান্টি-অস্কিডেন্টসমূহ রয়েছে।
৩১। গবেষকরা বলেছেন, তারা লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ‘অলিগনাল’ নামক একটি আণবিক উপাদান রয়েছে। যা
পলিফেনলের আণবিক উপাদান। অলিগনাল এ অ্যান্টি-অস্কিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা
নামক ভাইরাস কর্ম রয়েছে। যা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও রক্ত পরিবহনের
মাত্রা উন্নত করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
৩৩। লিচু একটি লেবু জাতীয়
ফলের মত এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শরীরের
সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শরীরের প্রদাহজনীত ময়লা পরিস্কার করে
এবং মস্তিস্ক বিকাশে সহায়তা করে।
৩৪। থিয়ামিন, নিয়াসিন ও ফলেটস এর মত ভিটামিন বি
কমপ্লেক্র এর সব থেকে ভালো উৎস হচ্ছে লিচু। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য অনেক
উপকারী। এসকল উপাদানে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বি রয়েছে যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
৩৫। লিচুতে খুব ভালো
পরিমাণ পটাসিয়াম ও কপারের মত খনিজ রয়েছে। পটাসিয়াম আমাদের শরীরের কোষের জন্য খুবই
উপকারী । এছাড়াও আমাদের হার্টের সুরক্ষা প্রদান করে এবং স্ট্রোকের ঝুকি কমায়।
৩৬। লিচু ক্যান্সার থেকে মানবদেহকে দেয় সুরক্ষা।
এটি ক্যান্সার তৈরিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভনয়িডস বা ভিটামিন ‘পি’ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩৭। ওজন কমাতেঃ লিচুতে
প্রচুর ফাইবার এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে। যা মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া
বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম শক্তি কম হলেই মানুষের দেহে চর্বি বেড়ে যায়। লিচু
এই মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা পালন করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন হ্রাসে
সাহায্য করে।
৩৮। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ লিচু ভিটামিন ‘সি’
এর একটি অসাধারণ উৎস। প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে
লিচু বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধ করে। যেমনঃ সর্দির সমস্যা, ফ্লু,
কাশি। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে লিচু কার্যকরী
একটি ফল।
৩৯। বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেঃ
সময়ের সাথে মানুষ বৃদ্ধ হয় স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে দূষণ, কালো ধোঁয়া, ভেজাল খাদ্য সহ আরো নানা কারণে মানুষ খুব দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছে। মুখে
বয়সের ছাপ আসার যে প্রধান কারণ তা আমাদের শরীরে উৎপন্ন হওয়া ফ্রি রেডিকেল। এই ফ্রি
রেডিকেল রোধ করতে সবচেয়ে কর্মক্ষম হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একটি গবেষণায় দেখা
গেছে, যারা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল
খায় তাদের চেহারায় বয়সের ছাপ কম পড়ে। লিচুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
থাকায় এটি ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৪০। হৃদরোগ থেকে রক্ষা করেঃ
The Journal of Nutrition এর মতে, লিচুতে প্রায় ১৫% polypheols আছে
যা এটিকে polyphenols সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে দ্বিতীয় আসনে
রেখেছে। অন্যান্য যে সব ফল পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে লিচু হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে
অন্যান্য ফলের চেয়ে বেশি উপকারী। লিচু শরীরের খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল (LDL)
কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এর
মাত্রা বাড়ায়। ফলে এতে হৃৎপিণ্ডের রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং হার্ট এটাক,
স্ট্রোক ও হাইপার টেনশনের ঝুঁকি কমে। আগ্রহী পাঠকদের জন্যে বলে
রাখা ভাল, polypheols থাকা ফলের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার
করেছে আঙুর।
৪১। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করেঃ
লিচুতে প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবার থাকার কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা রোধ
করে। এছাড়া লিচু পাকস্থলি এবং কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য
রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগে যারা ভুগছেন
তাদের জন্যে লিচু যে খুব উপকারী হবে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
৪২। লিচু
ত্বক ভালো রাখে। সেই সঙ্গে ত্বকের কালো
দাগ দূর করার ক্ষমতা আছে লিচুর।
৪৩। লিচুতে থাকা ভিটামিন
সি, নিয়াসিন,
থায়ামিন চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে চুলকে দিঘল কালো করে তোলে।
৪৪। লিচুর জলীয় অংশ
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
রূপচর্চাঃ লিচু দিয়ে তৈরি করা যায় ফেসিয়াল মাস্ক।
তৈরির পদ্ধতিঃ ৩টি লিচু ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে ২ চা চামচ টক দই এবং ১ চা চামচ আটা মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়। এই ফেস মাস্ক মুখে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
তৈরির পদ্ধতিঃ ৩টি লিচু ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে ২ চা চামচ টক দই এবং ১ চা চামচ আটা মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়। এই ফেস মাস্ক মুখে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
লিচুর শরবতঃ
যা লাগবেঃ ১০ টুকরো
লিচু, আস্ত লিচু (বিচি ছাড়া) সাত-আটটি, এক টেবিল
চামচ চিনি, এক চা চামচ লবণ, ৩/৪
চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া, এক চা চামচ লেবুর রস, এক কাপ পানি।
যেভাবে বানাবেনঃ আস্ত লিচু ছাড়া সব
উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন।
পরিবেশনের আগে আস্ত লিচুগুলো গ্লাসে দিয়ে পরিবেশন করুন।
লিচুর পায়েসঃ
যা লাগবেঃ দুই লিটার
দুধ, দুই কাপ চাল, ৩/৪ কাপ মাওয়া, আধা কাপ চিনি, এলাচ দুই-তিন টুকরা, দারুচিনি এক-দুই টুকরা, ৩/৪ কাপ হেভি ক্রিম,
সাত-আটটি লিচু কুচি।
যেভাবে বানাবেনঃ দুধ জ্বাল দিন।
দুই-তিন মিনিট পর চাল ধুয়ে দুধে দিন। চিনি,
এলাচ, দারুচিনি দিন। চাল সিদ্ধ হলে এবং
দুধ কমে ঘন হয়ে এলে মাওয়া, হেভি ক্রিম দিয়ে চুলার জ্বাল
কমিয়ে দিয়ে লিচু দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন