বাদাম শক্তি ও পুষ্টির
যথাযথ উৎস। এরা প্রধানত মনো-আন্স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যেমন অলিইক এসিড এবং
পালমিটোলিইক এসিডের এসিডের আদর্শ উৎস,যা শরীরের এলডিএল বা বদ কোলেষ্টেরলকে কমাতে
সাহায্য করে এবং পাশাপাশি এইচডিএল বা ভালো কোলেষ্টেরলকে বাড়াতে সাহায্য করে।
গবেষণায় প্রকাশিত, মনো-আনস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটি এসিড
সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে স্বাস্থ্যকর লিপিড প্রোফাইল তোইরী করে করোনারী আর্টারী ডিজিজ
এবং ষ্ট্রোক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
কাঠ বাদামের উপকারিতা
সীমাহীন। এটা কে ঠিক বাদাম বলা যাবে না, এটা এক ধরনের খাদ্য বীজ। ভালো মানের কাঠবাদাম
পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়াতে। কাঠ বাদাম
ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর। তাছাড়া কাঠ বাদামে আছে ডায়েট ফাইবার যেটা হার্ট কে
সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঠ বাদাম শরীরের কলেস্ট্রল কমায়, ক্যানসার রোধ করে, শক্তি সঞ্চার করে, ত্বক কে উজ্জ্বল রাখে।
যারা কখনোই বাদাম খান না
তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে একবারেরও কম
বাদাম
খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ৭ শতাংশ, যারা সপ্তাহে অন্তত একবার বাদাম খান তাদের ঝুঁকি ১১ শতাংশ,
যারা সপ্তাহে ২ বা ৪ বার বাদাম খান তাদের ১৩ শতাংশ এবং যারা প্রতিদিন বাদাম খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ৭ শতাংশ, যারা সপ্তাহে অন্তত একবার বাদাম খান তাদের ঝুঁকি ১১ শতাংশ,
যারা সপ্তাহে ২ বা ৪ বার বাদাম খান তাদের ১৩ শতাংশ এবং যারা প্রতিদিন বাদাম খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
১.৫ আউন্স বাদামে
বিদ্যমান পুষ্টিঃ
উপাদন
|
পরিমাণ
|
||||||||
সাধারণ বাদাম
|
পোস্ত বাদাম
|
বিদেশী বাদাম
|
বড় বাদাম
|
কাজু বাদাম
|
বাদুর বাদাম
|
আখরোট
|
ম্যাকাড্যামিয়াস
|
পেক্যান্স
|
|
ক্যালোরি
|
২৪৯ গ্রাম
|
২৪৩ গ্রাম
|
২৫৪ গ্রাম
|
২৭৯ গ্রাম
|
২৪৪
গ্রাম
|
২৭৫
গ্রাম
|
২৭৮ গ্রাম
|
৩০৫ গ্রাম
|
৩০২ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
২১.১ গ্রাম
|
১৯.৬ গ্রাম
|
২২.৫ গ্রাম
|
২৭৯ গ্রাম
|
১৯.৭
গ্রাম
|
২৬.৫
গ্রাম
|
২৭.৭
গ্রাম
|
৩২.৪
গ্রাম
|
৩১.৬
গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১০.১
গ্রাম
|
৯.১ গ্রাম
|
৯.৪
গ্রাম
|
৬.১
গ্রাম
|
১৯.৭
গ্রাম
|
৬.৪
গ্রাম
|
৬.৫
গ্রাম
|
৩.৩ গ্রাম
|
৪.০ গ্রাম
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাদামের
উপকারিতাঃ
১।
বাদাম মানবদেহের জন্য অসম্ভব উপকারী। বাদাম ভিটামিন-ই'র সবচেয়ে বড় উৎস। এতে আছে
ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রোটিন। এ উপাদানগুলো দেহের শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে
থাকে।
২।
গবেষকদের তথ্যানুযায়ী, আঙ্গুরে ফেনোলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নামে যে পদার্থ আছে, বাদামেও তা বিদ্যমান। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৩।
বাদামে আরও আছে মনোআনসেটারেটেড ফ্যাট। এ ফ্যাটকে বলা হয় গুড ফ্যাট।
সাধারণত দেহের খারাপ কোলেস্টেরল [এলডিএল] কমাতে এ চর্বি সাহায্য করে থাকে।
৪।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন অন্তত দুই আউন্স পরিমাণ
বাদাম খেলে দেহে গ্গ্নাইসেমিকের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা
দেহের অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তে পানির
ভারসাম্য রাখতেও সাহায্য করে বাদাম। ফলে টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিস অনেকাংশে
নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া এটি রক্তে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
৫।
বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে এবং
হজমশক্তিকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৬।
নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বাদাম থাকলে কোলন ক্যান্সার শরীরের ধারে-কাছে মোটেও
ঘেঁষতে পারবে না বলে মত দেন চিকিৎসকরা।
৭।
বয়স যত বাড়ে দাঁত এবং হাড়ের সমস্যাও তত বৃদ্ধি পায়। ক্ষয় হতে শুরু করে
হাড় এবং শখের শুভ্র সুন্দর দাঁতগুলো। কিন্তু বাদাম খেলে এ সমস্যা খুব সহজেই
এড়িয়ে চলা সম্ভব। কারণ বাদামে আছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি, যা বাত রোগীদের জন্যও উপকারী।
৮।
বাদাম উপকারী। তবে এলার্জি থাকলে বাদাম না খাওয়াই ভালো। তাতে হিতে বিপরীত
হওয়ার সম্ভাবনা মোটেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৯। পেস্তাবাদামে রয়েছে
মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।
১০। পেস্তা লো-গ্লিসেমিক ইনডেক্স ধরনের খাবার। অর্থাত্ পেস্তা থেকে কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় থাকে।
১১। পেস্তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬।
১২। নানা ধরনের বাদামের মধ্যে পেস্তাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল। পেস্তাবাদামে লুটেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বয়সের কারণে সৃষ্ট নানা শারীরিক সমস্যা যেমন মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১৩। পেস্তাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে ফ্যাটের পরিমাণও কম। ফলে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বজায় রাখতে পেস্তা সাহায্য করে।
১৪। দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যায় পেস্তাবাদাম বেশ উপকারী।
১০। পেস্তা লো-গ্লিসেমিক ইনডেক্স ধরনের খাবার। অর্থাত্ পেস্তা থেকে কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় থাকে।
১১। পেস্তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬।
১২। নানা ধরনের বাদামের মধ্যে পেস্তাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল। পেস্তাবাদামে লুটেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বয়সের কারণে সৃষ্ট নানা শারীরিক সমস্যা যেমন মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১৩। পেস্তাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে ফ্যাটের পরিমাণও কম। ফলে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বজায় রাখতে পেস্তা সাহায্য করে।
১৪। দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যায় পেস্তাবাদাম বেশ উপকারী।
ত্বকের যত্নে কাঠবাদামঃ
১। কাঠবাদামে আছে ভারী ময়েশ্চারাইজার। ভারী
হলেও এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক এ যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারে না, তাদের জন্য অনেক উপকারী।
২। কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই। তাই এটি
ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। ত্বকে এ নিয়মমিত তেল দ্বারা মাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন
বারে, তাতে করে ত্বক সুস্থ
থাকে।
৩। কাঠ বাদামে আছে ভিটামিন ডি। ছোট
শিশুদের এই তেল দিয়ে পুরা দেহ মাসাজ করলে,
হাড় মজবুত হয়।
৪। কাঠ বাদামে ভিটামিন ই আছে। ভিটামিন ই
ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি ত্বক কে সূর্যের হাত থেকে বাঁচায় এবং ত্বক কে
ড্যামেজ এর হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকে সান বার্ন আছে, তারা এটি থেকে পরিত্রাণ পেতে কাঠ বাদাম
তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৫। কাঠ বাদাম তেল খুব তাড়াতাড়ি শরীর শুষে
নেয়। তাই যেকোনো সিজনে কাঠবাদাম তেল শরীরে লোশনের পরিবর্তে দেওয়া যাবে।
৬। কাঠ বাদাম তেল হল প্রাকৃতিক
ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল অথবা প্রিজেরভেটিভ নেই। তাই এই তেল কে সিরাম
হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ পরিষ্কার করে চোখ সহ ,পুরা মুখ ঘড়ির কাটার উলটো দিকে মাসাজ
করুন। ফলাফল সরূপ নমনীয় এবং তুলতুলে ত্বক পাবেন। তাছাড়া এটি মুখের লোমগ্রন্থি বন্ধ
করে না। তাই ব্রণ হবারও ভয় থাকে না।
৭। কাঠ বাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড।
তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৮। কাঠ বাদাম তেল চোখের নীচে কালো দাগ
দূর করে। তাছাড়া কাঠ বাদাম বেটে, ওই পেস্ট রাতে ঘুমানোর সময় চোখে দিয়ে ঘুমালে, চোখের
নীচের কালো দাগ চলে যায়। চোখের বলিরেখা, চোখ ফুলা ভাবও
কমে যায়। কাঠ বাদাম চোখের নীচের দাগ দূর করতে যেকোনো ভালো আই ক্রিম এর থেকে ভালো।
৯। কাঠ বাদাম ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদামের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করলে , ত্বকের বলি রেখা কমবে। তাছাড়া মধু,
লেবু, কাঠ বাদাম তেল মিশিয়ে মুখে মাস্ক
হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময় এবং মুখের বয়সের ছাপ কমে যাবে।
১০। কাঠ বাদাম স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করে।
কাঠ বাদাম দানা দানা রেখে গুড়ি করে,
তার সাথে মধু, এবং টক দই দিয়ে মুখ আলতো
আলতো করে মাসাজ করলে, স্ক্রাব এর কাজ হয়ে যাবে।
১১। ভারী মেকাপ তুলতে কাঠ বাদাম তেল
সামান্য একটু নিয়ে
পুরা মেকাপ পরিষ্কার করা যাবে।
স্বাস্থ্যের যত্নে কাঠ বাদাম তেলঃ
প্রতিদিন ১০ গ্রাম কাঠ বাদাম খেলে, আমরা অনেক অসুখ থেকেই নিজেকে সুস্থ
রাখতে পারি।
১। কাঠ বাদামে আছে মনসেচুরেটেড ফ্যাট।
এটি শরীরে কলেস্ট্রল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে শরীরে HDL কলেস্ট্রল অথবা ভালো কলেস্ট্রল
বাড়াতে সাহায্য করে। একটি রিসার্চ এ দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ১ টি করে কাঠবাদাম
খেয়েছে তাদের কলেস্ট্রল ৪.৪% কমেছে এবং যারা প্রতিদিন দুটি করে খেয়েছে তাদের কমেছে
৯.৪% ।
২। কাঠ বাদামে এমন ফাইবার আছে যেটি কলন
ক্যানসার রোধে সহায়ক। তাছাড়া কাঠ বাদামে ভিটামিন ই, Phytochemicals এবং flavonoi আছে
যেটি ব্রেস্ট ক্যানসার রোধে সহায়তা করে।
৩। কাঠ বাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর
ব্যালেন্স রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
৪। কাঠ বাদাম তেল শরীরের শক্তি সঞ্চালন
করে। এতে আছে রিবফ্লাবিন, ফসফরাস,
কপার, যেটা শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য
করে।
৫। কাঠ বাদামে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন
ডি। এটি শরীরে হাড় এবং দাঁত মসবুত করে। তাছাড়া যাদের হাড় ক্ষয়, আরথাইটিস রোগ আছে, তাদের জন্য কাঠবাদাম তেলের
মালিশ অনেক ভালো।
৬। এছাড়াও কাঠ বাদাম এনিমিয়া, জন্ম গত ত্রুটি, মস্তিষ্ক এর শক্তি বাড়াতে সহায়ক।
চুলের যত্নে কাঠ বাদামঃ
১। কাঠ বাদামে রয়েছে চুল বান্ধব মনো
ফ্যাটি অ্যাসিড, তার
সাথে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১, বি২ এবং বি৬। এরা চুল কে পুষ্টি দেয়,
চুল কে শক্ত করে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুল কে সফট, সোজা এবং সিল্কি রাখে।
২। কাঠ বাদামে রয়েছে উচ্চ পরিমাণের
ফসফরাস। যেটি ভালো চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চুল পড়ে প্রধানত ফসফরাস এর
অভাবে। রেগুলার কাঠ বাদাম খেলে ফসফরাসের অভাব মিটবে। শরীর এর ফাংশন থেকে শুরু করে
চুলও প্রোটিন পাবে।
৩। যারা চুল এর খুশকি নিয়ে চিন্তিত, তারা ১:১ অনুপাতে কাঠ বাদাম তেল +
নিম তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। সারারাত রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলেন। আশা
করি খুশকির সমস্যা থাকবে না।
৪। কাঠ বাদাম তেল এর সাথে রস্মারি এবং
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার তালু মাসাজ করলে চুল পড়া কমবে।
৫। কাঠ বাদাম তেল, মেথি গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে
লাগালে চুল এর আগা শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে, চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।
যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর বা দেহের কোনো হাড়
ভেঙে গেলে, বাদাম
খেলে হাড় পুষ্টি পাবে দ্রুত।
লম্বা আকারের বাদাম, খোসা (পাতলা আবরণ) ছাড়িয়ে খেতে হয়। কাঁচা খেতে পারলে খুব ভালো। কাঁচা হজম করতে না পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন। বাদামের ওপর পাতলা বাদামি বা খয়েরি রঙের আবরণ থাকে। পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই খোসাটা উঠে যায়। চিবিয়ে বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া যায়।
লম্বা আকারের বাদাম, খোসা (পাতলা আবরণ) ছাড়িয়ে খেতে হয়। কাঁচা খেতে পারলে খুব ভালো। কাঁচা হজম করতে না পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন। বাদামের ওপর পাতলা বাদামি বা খয়েরি রঙের আবরণ থাকে। পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই খোসাটা উঠে যায়। চিবিয়ে বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া যায়।
গর্ভবতী মহিলা, বাড়ন্ত শিশু ও মেনোপোজ
(চিরতরে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে এমন নারীদের জন্যও
কাঠবাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আবার বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও এই বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিওপোরেসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব। এমন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
কাঠবাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আবার বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও এই বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিওপোরেসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব। এমন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
মেনোপোজ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাদের দেহে জরুরি অনেক হরমোন তৈরি হয় না। হরমোন শরীরের জন্য উপকারী উপাদান। এমন অবস্থায়ও কাঠবাদাম হতে পারে আপনার বন্ধু। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনটা খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের জন্য জরুরি অনেক উপকরণ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকে জোগায় পুষ্টি, সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে। দাঁত, হাড়, নখ, চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতেও এই বাদামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আগে মনে করা হতো, যেকোন বাদাম খেলেই ওজন বাড়ে, কিন্তু বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর ৪-৫টা আমন্ড বাদাম খেলেই পেট ভরে যায়।অনেক সময় ক্ষুধা পেলেই আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি আর তা নিয়ন্ত্রণ করে বাদাম।
বিভিন্ন রকমের বাদামের মধ্যে
আমন্ডের নিউট্রিশিয়ান ভ্যালু অনেক বেশি। অনেকের ধারণা ড্রাই ফ্রুট খেলে ওজন বেড়ে যায়। বলাবাহুল্য এই ধারণা একেবারেই
ভুল।এটা সত্যি যে, কোনো
কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হিতে বিপরীত হওয়ার
আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে
আপনি যদি বাদাম খেতে পারেন তাহলে এর মতো উপকারী ড্রাই ফুড আর দুটি নেই।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম
থাকার পাশাপাশি এতে রয়েছে
মোনোয়ানস্যাচুরেটেড ও পলি আনস্যাচুরেটেড অয়েল, প্রোটিন, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং প্রচুর পরিমান ভিটামিন-ই। এছাড়াও বাদামে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্যাভোনয়েড, যা বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
মনে রাখুনঃ
১। রোজ ৪-৫ টা বাদাম যথেষ্ট।
২। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আগেন দিন রাতে দুধে অথবা জলে ভিজিয়ে রাখা বাদাম
খান। খালি পেটে খেলে আমন্ডের মজুত পুষ্টিগুণ শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হবে।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন-বি থাকে। গর্ভাবস্থায়
যেকোন বাদাম খেলে গর্ভস্থ সন্তানের জন্ম-ত্রুটি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
১। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতেও বাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বাদামে উপকারিতা অনেক।
২। বাদামের ভিটামিন-বি চুল মজুবত করে এবং নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কেন খাবেনঃ
ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য আমন্ডের ভূমিকা অনন্য। প্রতিদিন সকালে তিন-চারটে
আমন্ড দুধে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন নিয়ম করে যেকোন বাদাম খেতে পারলে গুড কোলেস্টরেল অথবা এইচডিএল-এর
মাত্রা বাড়ে এবং ব্যাড কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আমন্ডে মজুত মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন এবং পটাশিয়াম হার্ট ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য আমন্ডের ভূমিকা অনন্য। প্রতিদিন সকালে তিন-চারটে
আমন্ড দুধে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন নিয়ম করে যেকোন বাদাম খেতে পারলে গুড কোলেস্টরেল অথবা এইচডিএল-এর
মাত্রা বাড়ে এবং ব্যাড কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আমন্ডে মজুত মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন এবং পটাশিয়াম হার্ট ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চিনাবাদামঃ
চিনা বাদামে অনেক প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন-এ, বি, সি ইত্যাদি রয়েছে।
চিনাবাদাম এর উপকারিতাঃ
১। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে শরীরে বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়।
২। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
৩। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
চিনা বাদামে অনেক প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন-এ, বি, সি ইত্যাদি রয়েছে।
চিনাবাদাম এর উপকারিতাঃ
১। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে শরীরে বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়।
২। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
৩। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আখরোট বাদামঃ
এ বাদামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম রয়েছে।
আখরোট বাদামের উপকারিতাঃ
১. এই বাদাম শরীরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
২. এই বাদাম ব্রেনে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে।
পেস্তা বাদামঃ
পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন রয়েছে।
পেস্তা বাদাম এর উপকারিতাঃ
১. পেস্তা বাদাম শরীরের রক্ত শুদ্ধ করে থাকে।
২. পেস্তা বাদাম লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাজু বাদামঃ
এবাদামে রয়েছে-আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন-এ।
কাজু বাদাম এর উপকারিতাঃ
১. এ বাদাম অ্যানিমিয়া ভালো করে।
২. ইহা ত্বক উজ্জ্বল করে।
৩. এ বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আমন্ড বাদামঃ
এ বাদামে রয়েছে-ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই।
আমন্ড বাদামের উপকারিতাঃ
১. শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব উপকারি। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
২. নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
৩.কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
৪. এই বাদাম ডায়বেটিসের জন্য বেশ উপকারী।
প্রাণশক্তিতে ভরপুরঃ খেলোয়াড় এবং শিশুদের
প্রচুর প্রাণশক্তির প্রয়োজন হয়। এর ভেতরে থাকা জিঙ্ক, ম্যাগ্নেশিয়াম,
ভিটামিন-বি মানুষের শরীরে
অফুরন্ত প্রাণ শক্তি যোগায়। তাই আপনার শিশুকে প্রানবন্ত রাখতে নিয়মিত বাদাম
খাওয়ান।
বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুনঃ সচরাচর আমরা একটা ভূল ধারনা করে থাকি যে, বাদাম খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু ২০০৮ সালে “The Journal of Nutrition” এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার
সাথে ওজন বৃদ্ধির সম্পর্ক খুব কম।
অধিকাংশ বাদামে যেমনঃ চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম এবং কাজুবাদামের মধ্যে ক্যালরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ অত্যন্ত কম যা, ১৬০ক্যালরি/আউন্স।
“The
American Journal of Clinical Nutrition ”
এর ৮ বছর ব্যাপী একটি গবেষণার ভিত্তিতে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি
রিপোর্টে দেখা গেছে, যেসব মিহিলারা সপ্তাহে দুই বা
ততধিকবার বাদাম খেয়েছেন তাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধির হার
অন্যদের তুলনায় কম।
রুচী কমানঃ আপনি কি মজার খাবার দেখলে লোভ
সামলাতে পারেন না? তাহলে আপনার জন্য বাদামই হতে পারে মহৌষধ। কীভাবে? এতে থাকা
ওমেগা-৩ সমৃধ ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন ও ফাইবার আপনার ক্ষিদে এবং খাবারের
রুচি কমিয়ে দেবে তাই পেট থাকবে ভরা। কমে যাবে আপনার খাবার চাহিদা। ফলে এর কল্যাণে আপনি থাকবেন স্লিম ও
আকর্ষণীয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ ব্রাজিলনাট নামের একধরনের বাদামে
রয়েছে সেলেনিয়াম, যা ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। ব্রাজিলনাট বোন, প্রোস্টেট এবং
ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
“The Journal of Medicinal Food” এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রাজিলনাটের সেলেনিয়াম প্রোস্টেট
ক্যান্সারের ক্ষতিকারক কোষ বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। তবে সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ রাজিলনাট
বেশি পরিমাণে খাওয়া, ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই প্রতিদিন
৩/৪টি ব্রাজিল নাট খাওয়াই যথেষ্ট।
সুস্থ রাখুন হৃদয়ঃ অপেক্ষাকৃত কম
ফ্যাটসমৃদ্ধ কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ও ম্যাকাডেমিয়া বাদামে রয়েছে
হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী এন্টি-অক্সিডেন্ট, মনো
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফসফরাস। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে ওয়াল নাটে।
এসকল উপাদান দেহকোষের ক্ষয় রোধ
করে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে আনে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ব্লাড সুগার নিয়ে যারা চিন্তিত
তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো কাঠবাদাম (Almond)। গবেষণায় দেখা গেছে
যারা ৪মাস ধরে তাদের খাবারের ২০% ক্যালরি কাঠবাদাম থেকে গ্রহণ করেছেন
তাদের ক্ষতিকর LDL কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে গেছে
এবং শরীরে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এছাড়া মেকাডেমিয়া (Macadamia nuts) এ আছে মনোআনস্যাচুরেটেড
ফ্যাট (MUFA) যা LDL লেভেলকে ১০% কমিয়ে আনে।
থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতাঃ যাদের শরীরে থাইরয়েড হরমনের
কার্যকারিতা কম তাদের জন্য ব্রাজিলনাট একটি ভালো সমাধান। ব্রাজিলনাটের
সেলেনিয়াম কার্যকরী থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে।
ব্রেইন পাওয়ার বুস্টারঃ কাজুবাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন, জিঙ্ক ও
ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি
বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়াকে কমিয়ে আনে। ১ আউন্স কাজুবাদাম দেহের
ম্যাগনেসিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২৫ভাগ পূরণ করে।
আয়রন মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে। এর
ফলে মস্তিষ্কের বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
বাড়বে দৃষ্টিশক্তিঃ ক্ষুদে মহৌষধ
বাদামের অনেক গুনাগুণের কথা আপনাদের জানা থাকলেও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকার
কথা জেনে অনেকেই অবাক হবেন। কাজুবাদামে থাকা জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর
ভূমিকা রাখে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি কাজুবাদাম জিঙ্কের চাহিদা পূরণের
জন্য যথেষ্ট।
শক্তিশালী হাড় গঠনেঃ কাজু বাদামের
শক্তিশালী ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উপাদান আপনার শরীরের হাড়ের সুষ্ঠু গঠন নিশ্চিত করে।
মজবুত আর শক্তিশালী হাড় গঠনে কাজু বাদামের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয়না। এছাড়া উষ্ণ
বাদাম তেলের মালিশ আপনার বাচ্চার দেহের হাড় মজবুত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদাম এইচডিএল অর্থাৎ হাই ডেনসিটি
লিপ্রোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়ায় এবং খারাপ কলেস্টোরল এলডিএল অর্থাৎ লো ডেনসিটি
লিপ্রোপ্রোটিনের মাত্রা কমায়। এতে করে সুস্থ থাকে হৃদপিণ্ড।
রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়ঃ
পেস্তা বাদামের ভিটামিন বি৬ উপাদান পাইরিডক্সিন রক্তের হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নার্ভের কর্মক্ষমতা বজায় রাখেঃ পেস্তা বাদামের
ভিটামিন বি৬ নার্ভের ফাইবার উন্নত করতে সহায়তা করে। এবং এর নিউট্রিয়েন্টস
মস্তিষ্কে এনডোরফিন, মেলাটোনিন, সেরেটোনিন এবং গামা
অ্যামিনোবিউট্রিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে যা নার্ভ সিস্টেম উন্নত করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়ঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড একটি
হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষাকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দূর করে।
বাদাম এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের বেশ ভালো একটি উৎস। সবচাইতে সহজলভ্য ও প্রধান
উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস বাদাম। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই।
ভিটামিন ই ধমনীতে প্লাক হওয়া প্রতিরোধ করে ও প্লাক কমাতে সাহায্য করে। ধমনীতে
প্লাকের কারনে বুকে ব্যথা, করোনারি
আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যা বাদামের ভিটামিন ই দূর করতে সক্ষম।
প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম শরীরে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর ঘাটতি কমায় ও
হার্টের সমস্যা জনিত রোগ থেকে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ বিভিন্ন
খাবারের ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হলেও বাদামের ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা। বাদামে বিদ্যমান অসম্পৃক্ত চর্বি বা ফ্যাট, ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরোল কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমায়। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য বাদাম অনেক কার্যকরী
একটি ওষুধ। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম কমিয়ে দেবে খারাপ
কোলেস্টোরল।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করেঃ বাদামের ফাইবার আমাদের
হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সুমসসা দূর হয়। প্রতিদিন ১
মুঠো বাদাম খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র উন্নত হয়। ফলে এইধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি
পাওয়া যায় সহজেই।
রক্ত জমাট বাঁধার হাত থেকে রক্ষা করেঃ বাদামে বিদ্যমান এল-আরজিনিন
অ্যামিনো অ্যাসিডটি ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ধমনীকে নমনীয় করতে সহায়তা করে
এল-আরজিনিন। বাদামের এল-আরজিনিন রক্ত জমাট বাধার হাত থেকেও রক্ষা করে। ধমনীতে
প্রবাহিত রক্তকে জমাট বাঁধাতে বাঁধা দেয় এই এল-আরজিনিন। এছাড়াও শরীরের যে কোন ক্ষত
বা কাঁটা-ছেঁড়া দ্রুত নিরাময়ে বাদামের এল-আরজিনিন অত্যন্ত কার্যকরী।
মাসট্রিখট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায়
বলা হয়েছে, ‘নাট বাটার’ বা
বাদামের মাখন না খেয়ে সরাসরি চীনাবাদাম বা কোনো গাছ-বাদাম খাওয়াটাই উপকারী। যে
নারী-পুরুষেরা প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১০ গ্রাম চীনাবাদাম বা কোনো গাছ-বাদাম খান
তাঁদের ক্যানসার ও হৃদরোগসহ নানা রকম মরণব্যাধি থেকে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাকিদের
তুলনায় কম।
নেদারল্যান্ডসের এই
গবেষকেরা বলছেন, চীনাবাদাম
ও নানা জাতের গাছ-বাদামে নানা ভিটামিন, আঁশ ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এ ছাড়া আছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেডর
ফ্যাটি অ্যাসিড। এসব পুষ্টি উপাদানের কারণে রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে
বাদাম।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বাদামের মাখনে থাকা লবণ ও ট্রান্স
ফ্যাটি অ্যাসিড বাদামের এসব রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে। যে নারীরা
নিয়মিত বাদাম খান তাঁদের শরীর হালকা থাকে, তাঁরা ধূমপানে
কম আসক্ত হন এবং তাঁদের মধ্যে ডায়াবেটিস দেখা যায় না বললেই চলে।
মাসট্রিখট বিশ্ববিদ্যালয়ের
গবেষক দলটির নেতৃত্ব দেন পিয়েত ফ্যান ডেন ব্রান্ট।
গবেষক অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, বাদামের এমন রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার
কারণে বেশি বেশি বাদাম খাওয়া শুরু করলে এসব মারণ ব্যাধি থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি
মাত্রায় কমতে থাকবে ব্যাপারটি সেরকম নয়। ফলে অল্প পরিমাণে কিন্তু নিয়মিত বাদাম
খেতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন