আর কত কাঁদবো আমরা , আর কত লাশ হবে আমাদের
শ্রমিক ।
আমি তদন্ত বুঝি না । আজকের সাভারের এই
হত্যাকাণ্ডের ( আমি একে হত্যাকাণ্ড বলছি কারন , কাল যখন এই বিল্ডিঙটি ব্যাবহারের
অনুপযোগী ঘোষণা দেওয়া হয় , তার পরেও কেন গার্মেন্টস খোলা রাখা হল ) জন্য বিল্ডিঙের
মালিক সোহেল রানা সহ ৫ টি গার্মেন্টসের মালিককে এরেস্ট করে এদের সমস্ত সম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত করে নিহত ও আহতদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ব্যায় করা হোক ।
সাভারের স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ভেঙ্গে
পড়ার পর এর কোন শাস্তি বা ক্ষতিগ্রস্তদের কতটুকু ক্ষতিপুরন দেওয়া হয়েছে তা জাতি
জানে না ।
সাভারের তারজিন গার্মেন্টসের হতাহতদের
ব্যাপারে গার্মেন্টস করতিপক্ষের তেমন কোন
সাজা বা ক্ষতিগ্রস্থদের কতটুকু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তা আমরা দেখেছি ।
স্পেকট্রাম গার্মেন্টস, তারজিন
গার্মেন্টস, সহ আজকের ঘটনার জন্য আমাদের দেশ বাইরের দেশ থেকে অর্ডার পাওয়া কঠিন
থেকে কঠিনতর হচ্ছে এবং হবে । যা আমাদের দেশের জন্য অর্থনৈতিক হুমকির শামিল ।
যে সব অসাধু ব্যাবসায়ির জন্য আমাদের দেশ
অর্থনৈতিক হুমকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে , লাশ হচ্ছে অসংখ্য শ্রমিক, তাদের কঠিন
শাস্তির মুখমুখি না করলে এই গার্মেন্টস শিল্প অচিরেই ধংস হয়ে যাবে , বেকার হয়ে
যাবে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক । অর্থনীতি মুখথুবড়ে পরবে , দেশ যাবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের
দিকে ।
এখনি সময় কঠোর হওয়ার । বিজিএমই সহ এই
শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এক হয়ে । নিরাপদ কর্মক্ষেত্র চাই
আমার জন্য, আমার ভাই- বোনের জন্য, আমার সন্তানের জন্য, আমার দেশের ভবিষ্যতের
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য । কর্মক্ষেত্রে আর লাশ চাই না ।
(ছবিগুলি সংগৃহীত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন