আব্দুল হামিদ ১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিকলী জিঃ মিঃ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাশ করেন। সেন্ট্রাল “ল” কলেজ থেকে এল,এল,বি পাশ করেন । পেশায় তিনি একজন এডভোকেট। কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে ওকালতি করেছেন।
দাম্পত্য জীবনে তিনি স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা খানমের সাথে সংসারধর্ম পালন করছেন। রাশেদা খানম কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী । তিনি তিন ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসাবে। কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি এবং ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৭ বার একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে জাতীয় সংসদে তিনি ডেপুটি স্পিকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধী দলীয় উপ-নেতা ছিলেন।
১৯৫৯ সালে মাত্র ১৫
বছর বয়সে কিশোরগঞ্জে রাজনৈতিক কর্মী থেকে গুরুদয়াল কলেজের সেক্রেটারি ও ভিপি হন ১৯৬৫
সালে । ১৯৬১ সালে স্বৈরশাসক
আ্ইউব বিরোধী আন্দোলনে ও ১৯৬৩ সালে ছাত্র আন্দোলনের কারাবরণ করেন এই ছাত্রনেতা । ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন । ১৯৬৬-৬৭ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি
ছিলেন ।
১৯৬৯
সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করেন । বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ১৯৭৬-১৯৭৮ কারাবরণ
করেন । ১৯৭৮- ২০০৯ এই ৩১ বছর কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন । কিশোরগঞ্জ
জেলা বারের ১৯৯০-১৯৯৬, ৫ বার
প্রেসিডেন্ট ছিলেন ।
১৯৭০ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হন
ময়মনসিংহ-১৮
আসন থেকে । ১৯৭১ এর
মুক্তিযুদ্ধে মেঘালয়, ভারত এর রিক্রুটিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন । ১৯৭৩ এর সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন । ৬ বার
জাতীয় সংসদ সদস্য হন তিনি । বঙ্গবন্ধু
হত্যার প্রতিবাদে ১৯৭৬-১৯৭৮
কারাবরণ করেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন