“আওয়ামীলীগ
হটাও, দেশ বাঁচাও” বললেন খালেদা জিয়া ।
আওয়ামীলীগ
নামের দলটি হটাত করেই গঠন হয়নি । এর পেছেন রয়েছে অনেক ত্যাগের ইতিহাস । তৎকালীন আওয়ামীলীগের
কর্ণধার বঙ্গবন্ধুর অনেক ত্যাগ ও রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার জন্য আজ আমরা পেয়েছে
স্বাধীন বাংলাদেশ ।
আওয়ামীলীগের
অতীত ও বর্তমান রাজনৈতিক দিক বিশ্লেষণ করলে একটা দিক বারবার চলে আসে , যা হল দেশ
গরার কারিগর । দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য , ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করা ।
৩০ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্য ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জেনারেল জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি
রাষ্ট্রপতির পদের জন্য
নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রীক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়।জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয় । এই হল ক্ষমতার লোভ ও অপব্যাবহার ।
স্বাধীনতার
পরে বিএনপি যতবার ক্ষমতায় ছিল , দেশকে ব্যাবহার করেছে নিজেদের সম্পদের মত । দেশের
সম্পদ লুটে নিয়েছে ইচ্ছেমত । নিজেদের অপরিপক্ব রাজনৈতিক কলাকুশলীর জন্য দেশকে
করেছে জঙ্গিবাদ । মদদ দিয়েছে তাদের, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের ভাইবোন কে করেছে
খুন , ধর্ষণ, করেছে লুট, অগ্নিসংযোগ । বারবার
ধংস করেছে গণতন্ত্রকে ।
সেই
বিএনপি আজকে যখন রাজনৈতিক ভাবে দেওলিয়া তখন বলছে “আওয়ামীলীগ হটাও, দেশ বাঁচাও” । এ দেশে বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার কতটুকু
আছে তা নিজেদের একবার ভাবা উচিত । রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যাবহার করে ফায়দা নিতে
চেয়েছে শুরু থেকেই । এখনও তাই করছে ।
বিএনপির
প্রত্যক্ষ মদদে জামাতের চলছে দেশব্যাপী তাণ্ডবলীলা , সঙ্গে যোগ হয়েছে হেফাজতে
ইসলাম ।
উনার কথার রেশ ধরেই বলতে হয় “বিএনপি হটাও, দেশ বাঁচাও” । বিএনপির এ দেশে রাজনীতি করার কতটুকু অধিকার আছে
তা এখন ভাববার বিষয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন