সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির গঠনতন্ত্র




বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির  পটভূমি
১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন ৩০ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্য ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন জেনারেল জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রীক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয় এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার

 
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয় রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ []১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল কালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লহ্ম্য জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
দলের প্রথম আহ্বায়ক কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেয়া হলো :
আহ্বায়ক : জিয়াউর রহমান সদস্য : . বিচারপতি আবদুস সাত্তার . মশিউর রহমান যাদু মিয়া . মোহাম্মদ উল্লাহ . শাহ আজিজুর রহমান . ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল হালিম চৌধুরী . রসরাজ মন্ডল . আবদুল মোনেম খান . জামাল উদ্দিন আহমেদ . ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১০. মির্জা গোলাম হাফিজ ১১. ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হক ১২. এম. সাইফুর রহমান ১৩. ওবায়দুর রহমান ১৪. মওদুদ আহমদ ১৫. শামসুল হুদা চৌধুরী ১৬. জেড এম এনায়েতউল্লাহ খান ১৭. এসএ বারী এটি ১৮. . আমিনা রহমান ১৯. আবদুর রহমান ২০. ডা. এম মতিন ২১. আবদুল আলিম ২২. ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত ২৩. আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ২৪. নুর মোহাম্মদ খান ২৫. আবদুল করিম ২৬. শামসুল বারী ২৭. মুজিবুর রহমান ২৮. ডা. ফরিদুল হুদা ২৯. শেখ আলী আশরাফ ৩০. আবদুর রহমান বিশ্বাস ৩১. ব্যারিস্টার আবদুল হক ৩২. ইমরান আলী সরকার ৩৩. দেওয়ান সিরাজুল হক ৩৪. এমদাদুর রহমান ৩৫. এডভোকেট আফসার উদ্দিন ৩৬. কবীর চৌধুরী ৩৭. . এম আর খান ৩৮. ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাত আলী ৩৯. তুষার কান্তি বারবি ৪০. সুনীল গুপ্ত ৪১. রেজাউল বারী ডিনা ৪২. আনিসুর রহমান ৪৩. আবুল কাশেম ৪৪. মনসুর আলী সরকার ৪৫. আবদুল হামিদ চৌধুরী ৪৬. মনসুর আলী ৪৭. শামসুল হক ৪৮. খন্দকার আবদুল হামিদ ৪৯. জুলমত আলী খান ৫০. এডভোকেট নাজমুল হুদা ৫১. মাহবুব আহমেদ ৫২. আবু সাঈদ খান ৫৩. মোহাম্মদ ইসমাইল ৫৪. সিরাজুল হক মন্টু ৫৫. শাহ বদরুল হক ৫৬. আবদুর রউফ ৫৭. মোরাদুজ্জামান ৫৮. জহিরুদ্দিন খান ৫৯. সুলতান আহমেদ চৌধুরী ৬০. শামসুল হুদা ৬১. সালেহ আহমেদ চৌধুরী ৬২. আফসার আহমেদ সিদ্দিকী ৬৩. তরিকুল ইসলাম ৬৪. আনোয়ারুল হক চৌধুরী ৬৫. মাইনুদ্দিন আহমেদ ৬৬. এমএ সাত্তার ৬৭. হাজী জালাল ৬৮. আহমদ আলী মন্ডল ৬৯. শাহেদ আলী ৭০. আবদুল ওয়াদুদ ৭১. শাহ আবদুল হালিম ৭২. ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরুদ্দিন সরকার ৭৩. আতাউদ্দিন খান ৭৪. আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী ৭৫. আহমদ আলী []


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির গঠনতন্ত্র

( ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত সংশোধিত)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
গঠনতন্ত্র
নাম:
দলের নাম হবেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইংরেজীতে সংগঠনকে ‘Bangladesh Nationalist Party :BNP) এবং সংক্ষেপে দলটিকেজাতীয়তাবাদী দলএবংবিএনপিবলে অভিহিত করা হবে দলের জাতীয় কার্যালয় তথা কেন্দ্রীয় সদর দফতর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হবে এবং দলের সদর দফতর বা কেন্দ্রীয় অফিসের সংগঠন চেয়ারম্যানের দায়িত্বাধীন থাকবে এবং অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পদবী, দায়-দায়িত্ব ক্ষমতা চেয়ারম্যান নিজে নিরূপণ করবেন
২। উদ্দেশ্য লক্ষ্য
জাতীয়তাবাদী দলের ঘোষণাপত্রে দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। সংক্ষেপে দলের কয়েকটি মৌলিক লক্ষ্য উদ্দেশ্য নীচে বর্ণিত হলো :
() বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভোমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা গণতন্ত্র সুরক্ষিত সুসংহত করা
() ঐক্যবদ্ধ এবং পুনরুজ্জীবিত জাতিকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ,নয়া-উপনিবেশবাদ,আধিপত্যবাদ বহিরাক্রমণ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা
() উৎপাদনের রাজনীতি,মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন
() জাতীয়তাবাদী ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন
সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা প্রকল্প রচনা বাস্তবায়নের ক্ষমতা দক্ষতা জনগণের হাতে পোঁছে দেওয়া
() এমন এক সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্তরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়
() এমন একটি সুস্পষ্ট স্থিতিশীল সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দেওয়া যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাঁদের মানবিক, সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নতি আনতে পারবেন
() বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করা এবং সুষম জাতীয় উন্নয়ন সমৃদ্ধি আনয়ন
() গণতান্ত্রিক জীবন ধারা গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপণ করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা
() রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজেন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানানো তার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা
() জাতীয় জীবনে মানবমূখী সামাজিক মূল্যবোধের পূনরুজ্জীবন এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনা
() বাস্তবধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ন্যায় বিচার ভিত্তিক সুষম অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন,বস্ত্র,স্বাস্থ্য,বাসস্থান শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়
() সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান করা সক্রিয় গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা
() নারী সমাজ যুব সম্প্রদায়সহ সকল জনসম্পদের সুষ্ঠু বাস্তবভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা
() বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপণা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা
() বাংলাভাষা সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি বাংলাদেশের ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন প্রসার সাধন
() বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা, বিশেষ করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণ বৃহত্তর জাতীয় জীবনে তাদের অধিকতর সুবিধা অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করা
() পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি সমতা রক্ষা করা। সার্বভোমত্ব সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সংগে,তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সাথে এবং ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সংগে প্রীতি সখ্যতার সম্পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ করা

৩। দলের পতাকা
এই দলের পতাকার উর্দ্ধার্ধ লাল এবং নিন্মার্ধ সবুজ রংয়ের হবে। পতাকার মধ্যস্থলে কালো রংয়ের একটি শিল্পচক্র থাকবে। এই চক্রবৃত্তের বিন্দু থেকে লাল সবুজের সঙ্গমস্থলে উদ্ভুত হবে একছড়া সোনালী ধানের শীষ এবং প্রসারিত হবে উপরের দিকে। ধানের শীষের উপরে থাকবে একটি শ্বেত বর্ণের তারকা। সবুজ হচ্ছে দেশের প্রতীক; লাল হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধ ত্যাগের প্রতীক;শিল্পচক্র হচ্ছে উন্নতি অগ্রগতির প্রতীক; ধানের শীষ হচ্ছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক এবং শ্বেত বর্ণের তারকা হচ্ছে আমাদের জাতীয় আশা- আকাঙ্খার প্রতীক
৪। শব্দার্থ
() ‘ওয়ার্ড’, ‘ইউনিয়ন’, ‘উপজেলা/থানা’, ‘পৌরসভা’, ‘মহানগরএই শব্দগুলো বাংলাদেশ সরকার/ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দেওয়া অর্থই বোঝাবে
() ‘গঠনতন্ত্রশব্দটি অপ্রাসঙ্গিক না হলে দলের গঠনতন্ত্রকেই বোঝাবে
() যদি গঠনতন্ত্রে অন্যভাবে বোঝানো না হয়ে থাকে তবেজেলাবলতে প্রশাসনিক জেলা বোঝাবে
() চেয়ারম্যান শব্দটি ক্ষেত্র বিশেষে চেয়ারপার্সনকেও বোঝাবে
() ‘দলশব্দটিবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বোঝাবে
() ‘সদস্যশব্দটি যদিকমিটিরপরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহƒ না হয়ে থাকে তা হলে দলের প্রাথমিক সদস্যকে বোঝাবে
৫। সদস্য পদ
() সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা
() ১৮ বছর বা ততোধিক বয়সের যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক দলের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবে। ইচ্ছুক ব্যাক্তিদেরকে সংগঠনের ঘোষনাপত্রের, গঠনতন্ত্র কর্মসূচীর প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে হবে
() প্রাথমিক সদস্য পদের আবেদনপত্র এই গঠনতন্ত্রের তপশীল -ফরমে করতে হবে। এই ফরম দলের অফিসে পাওয়া যাবে। সদস্য পদের আবেদনপত্র অন্য কোন ফরমে গ্রহণযোগ্য হবে না তবে কোন সময় যদি এই ফরম দলের অফিসে না পাওয়া যায় তাহলে অনুরুপ ফরম ছাপিয়ে নিয়ে সদস্য পদের আবেদন করা যেতে পারে
() বিবেচনার পর আবেদনপত্র গৃহীত হলে সদস্য পদের প্রমাণস্বরুপ পরিচয়পত্র (তপশীল-) ‘ফরমে প্রত্যেক সদস্যকে দিতে হবে
() দলের প্রাথমিক সদস্য চাঁদা /= (পাঁচ) টাকা মাত্র। সদস্য পদ লাভের পরবর্তী বছর থেকে দলের বাৎসরিক চাঁদা /= (পাঁচ) টাকা মাত্র সদস্যদের চাঁদা রসিদ মারফত গৃহীত হবে এবং রসিদ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা হবে
() প্রত্যেকটি উপজেলা/থানা অফিস তাঁদের স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যেক প্রাথমিক সদস্য পদের তালিকা সংরক্ষণ করবেন। জাতীয় সদর দফতরে অর্থাৎ দলের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় অফিসে দলের সর্বমোট সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের নাম ঠিকানাসহ বিধিসš§তভাবে সংরক্ষিত হবে
() সদস্য পদ লাভের অযোগ্যতা
() বাংলাদেশের আইনানুগ নাগরিক নন এমন কোন ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবেন না
() বাংলাদেশের স্বাধীনতায়, সার্বভোমত্ব অখন্ডতার বিরোধী, গোপণ সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাক্তি বা সমাজ বিরোধী গণবিরোধী কোন ব্যক্তিকে এই সংগঠনের সদস্য পদ দেয়া হবে না
() সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
দলের স্থায়ী কমিটি দলের কোন সদস্যের অসদাচরণের কারনে কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে কিংবা দলের নীতি আদর্শবিরোধী কোন কর্মকান্ডের কারনে তার সদস্যপদ বাতিল কিংবা সাময়িকভাবে সদস্যপদ স্থগিত কিংবা তার বিরুদ্ধে অন্য যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঙ্গত কারনে পুর্বে নেয়া যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবে। কোন কারণে স্থায়ী কমিটির সভা আহ্বান করা সম্ভব না হলে জরুরী প্রয়োজনে দলের চেয়ারম্যান নিজ বিবেচনায় শাস্তিযোগ্য মনে করলে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ এবং পুর্বে নেয়া যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবেন
তবে সকল ক্ষেত্রে যথাশীঘ্র সম্ভব জাতীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। চেয়ারম্যান অথবা স্থায়ী কমিটি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পুর্বে প্রয়োজনবোধে অভিযুক্ত সদস্যকে ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একটি নোটিশ ডাকে কিংবা তার হাতে হাতে জারী করতে হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় সংক্ষুদ্ধ ব্যাক্তি শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের চেয়াম্যানের বরাবরে আপিল করতে পারবেন এবং বিষয়ে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে
() সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ :
() দলের যে কোন সদস্য দলের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত চিঠির মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন
() দল কর্তৃক মনোনীত কোন সংসদ সদস্য যদি সংসদে দলের সংসদীয় দলের নেতা/নেত্রীর ¤মতি ছাড়া নিজের নির্দিষ্ট আসন পরিবর্তন করেন বা অন্যদলের সাথে জোট বাঁধেন বা ফ্লোরক্রস করেন বা সংসদের দলীয় অবস্থানের পরিপন্থী কোন কাজ করেন তাহলে উপরোক্ত যে কোন কার্যের কারণে সেই সংসদ সদস্য এই দল থেকে তাৎক্ষনিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবেন

() সাংগঠনিক নীতিমালা কাঠামো
জাতীয়তাবাদী দল দেশের মৌলিক স্তর ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সংগঠিত হয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। দলের সাংগঠনিক কাঠামো নিুরুপ হবে:
() ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাউন্সিল ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
() পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
() ইউনিয়ন কাউন্সিল ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
() উপজেলা/থানা কাউন্সিল উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি
() পৌরসভা কাউন্সিল পৌরসভা নির্বাহী কমিটি
() জেলা কাউন্সিল জেলা নির্বাহী কমিটি
() মহানগর ওয়ার্ড কাউন্সিল মহানগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
() মহানগর থানা কাউন্সিল মহানগর থানা নির্বাহী কমিটি
() মহানগর কাউন্সিল মহানগর নির্বাহী কমিটি
(১০) জাতীয় কাউন্সিল
(১১) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
(১২) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
(১৩) পার্লামেন্টারী বোর্ড
(১৪) পার্লামেন্টারী পার্টি
(১৫) প্রবাসে সংগঠন

() সাংগঠনিক কাঠামোর গঠন প্রণালী
() ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাউন্সিল ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে নূন্যতম ১০০জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, দুই জন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন প্রচার ¤পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত অনুর্দ্ধ ৫১ জনের একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি কমিটির অনুমোদন দিবে
() পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতিটি জেলার বা পৌরসভাভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যুনতম ১৫০ জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ ¤পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত৭১ জনের অনুর্দ্ধএকটি পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। কমিটি দলের ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে। পৌরসভা নির্বাহী কমিটি কমিটির অনুমোদন দিবে
() ইউনিয়ন কাউন্সিল ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
ইউনিয়নভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ সমন্বয়ে গঠিত হবে দলের ইউনিয়ন কাউন্সিল কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন-সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক,একজন প্রচার সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৭১ জনের অনুর্দ্ধ একটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। উপজেলা/থানা কমিটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে
() উপজেলা/থানা কাউন্সিল উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি
উপজেলা/থানাভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ নিয়ে দলের উপজেলা/থানা কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক,দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১০১ জনের অনুর্দ্ধ একটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে। জেলা কমিটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে
() সাংগঠনিক কাঠামোর গঠন প্রণালী
() ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাউন্সিল ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে নূন্যতম ১০০জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, দুই জন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন প্রচার ¤পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত অনুর্দ্ধ ৫১ জনের একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি কমিটির অনুমোদন দিবে
() পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতিটি জেলার বা পৌরসভাভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যুনতম ১৫০ জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ ¤পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত৭১ জনের অনুর্দ্ধএকটি পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। কমিটি দলের ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে। পৌরসভা নির্বাহী কমিটি কমিটির অনুমোদন দিবে
() ইউনিয়ন কাউন্সিল ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
ইউনিয়নভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ সমন্বয়ে গঠিত হবে দলের ইউনিয়ন কাউন্সিল কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন-সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক,একজন প্রচার সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৭১ জনের অনুর্দ্ধ একটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। উপজেলা/থানা কমিটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে
() উপজেলা/থানা কাউন্সিল উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি
উপজেলা/থানাভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ নিয়ে দলের উপজেলা/থানা কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক,দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১০১ জনের অনুর্দ্ধ একটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে। জেলা কমিটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে
() পৌরসভা কাউন্সিল / পৌরসভা নির্বাহী কমিটি
প্রত্যেকটি পৌরসভাভূক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দকে নিয়ে দলের পৌরসভা কাউন্সিল গঠিত হবে। কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্নসম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১০১ জনের অনুর্দ্ধ একটি পৌরসভা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। নির্বাহী কমিটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে। জেলা কমিটি এই কমিটির অুনমোদন দিবে
() জেলা কাউন্সিল জেলা নির্বাহী কমিটি
দলের জেলা কাউন্সিল প্রশাসনিক রাজনৈতিক জেলাভূক্ত প্রতিটি উপজেলা/থানার পৌরসভার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে। দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, সাতজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক,দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক, একজন সহ-প্রচার সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১৫১ জনের অনুর্দ্ধ একটি জেলা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে। চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে মহাসচিব জেলা কমিটির অনুমোদন দেবেন
() মহানগর ওয়ার্ড কাউন্সিল মহানগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট বরিশাল মহানগরীভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১৫০ জন প্রাথমিক সদস্যদের নিয়ে উপরোক্ত প্রতিটি মহানগরে দলের ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে। দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৭১ জনের অনুর্ধ্ব একটি মহানগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি উক্ত কাউন্সিল নির্বাচিত করবেন। কমিটি দলের ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে। মহানগর থানা নির্বাহী কমিটি কমিটির অনুমোদন দিবে
() মহানগর থানা কাউন্সিল মহানগর থানা নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট বরিশাল এই প্রতিটি মহানগরের অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্বাহী কমিটি সদস্যবৃন্দদের নিয়ে সেই মহানগরে দলের মহানগর থানা কাউন্সিল গঠিত হবে। এই কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক,দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১২১ জনের অনুর্ধ্ব একটি মহানগর -থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। মহানগর নির্বাহী কমিটি কমিটির অনুমোদন দিবে


() মহানগর কাউন্সিল মহানগর নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট বরিশাল এই প্রতিটি মহানগরের অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি থানা নির্বাহী কমিটি সদস্যদের নিয়ে সেই মহানগরে দলের মহানগর কাউন্সিল গঠিত হবে এই কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে একজন সভাপতি, সাতজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক,দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক,একজন প্রচার সম্পাদক, একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক , একজন সহ-প্রচার সম্পাদক একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১৭১ জনের অনুর্দ্ধ একটি মহানগর নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে দলের মহানগর নির্বাহী কমিটি দলের জেলা নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে দলের মহাসচিব মহানগর নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেবেন
নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় কাউন্সিলসমূহ স্ব-স্ব এলাকায় প্রয়োজনবোধে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে যে সব বিষয়ে সম্পাদকীয় পদ রয়েছে তার মধ্য থেকে সংশ্লিষ্ট কমিটির কর্মকান্ডের জন্য প্রয়োজন এমন বিষয়সমূহের জন্য এক বা একাধিক ¤পাদক নির্বাচিত করতে পারেন, যদিও কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা কোনক্রমেই যার যার এলাকা-কমিটির সীমিত সংখ্যা অতিক্রম করতে পারবে না
২০২০ সালের মধ্যে সকল কমিটিতে মহিলা সদস্য সংখ্যা শতকরা ৩৩ ভাগে উন্নীত করতে হবে
দলের নির্বাচিত বিভিন্ন নির্বাহী কমিটিসমূহ স্ব স্ব এলাকায় দলের কর্মসূচী বাস্তবায়ন, তদারক নিয়ন্ত্রন করবেন
(১০) জাতীয় কাউন্সিল
() ‘জাতীয় কাউন্সিলনামে দলের একটি জাতীয় কাউন্সিল থাকবে যার গঠন পদ্ধতি নিুরুপ হবে :
() প্রতি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির (মহানগর থানাসহ) সভাপতি সাধারণ সম্পাদক;
() প্রতি পৌরসভার নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক;
() প্রতি জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক;
() প্রতি মহানগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক;
() প্রতি জেলা মহানগর নির্বাহী কমিটি কর্তৃক মনোনীত প্রতি জেলা মহানগর হতে দুইজন মহিলা সদস্য;
() পার্লামেন্টারী পার্টির সদস্যবৃন্দ;
() জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ;
() জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ;
() চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উপরে বর্ণিত হতে এর মোট
সদস্য সংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ
() জাতীয় কাউন্সিলের দায়িত্ব ক্ষমতা নিুরুপ হবে :
() জাতীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত প্রবর্তিত দলের নীতি কর্মসূচী বাস্তবায়ন কার্যকরী করা;
() দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা সদস্যগণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা
() দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা;
() দলের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা করা;
() মহাসচিবের রিপোর্ট বিবেচনা করা গ্রহণ করা;
() জাতীয় কাউন্সিলের / (এক তৃতীয়াংশ) সদস্যদের প্রস্তাবিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা
() বিষয় কমিটি
দলের চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনবোধে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দের মধ্য থেকে কয়েকজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন বিষয় কমিটি মনোনীত করতে পারবেন অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যে সমস্ত বিষয়ে ধরণের কমিটি গঠিত হতে পারে সেগুলো হচ্ছে জাতীয় পরিকল্পনা অর্থ, স্বাস্থ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ; বন্যা নিয়ন্ত্রণ;পল্লী উন্নয়ন, খাদ্য কৃষি, নিরক্ষরতা দূরীকরণ শিক্ষা, শ্রম কল্যাণ, মহিলা, যুব সম্প্রদায়, আন্তর্জাতিক বিষয় শিশু কল্যাণ এই সমস্ত কমিটি সমূহে দলের সদস্য নন অথচ বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শী, যোগ্যতাস¤পন্ন সুদক্ষ এমন ব্যাক্তিদেরকেও কো-অপ্ট করা যাবে, তবে কোন অবস্থাতেই এদের সংখ্যা কমিটির নির্ধারিত মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশী হবে না কমিটিতে কো-অপ্ট করা সদস্যবৃন্দ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা লাভ করবেন
 








continue 

কোন মন্তব্য নেই: