পরিকল্পিতই
হোক আর অপরিকল্পিতই হোক , বিএনপি হরতাল ডেকেছে মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা ।
আবারো হরতাল ডেকেছে ১৮ ও ১৯ সে মার্চ একটানা ৪৮ ঘণ্টা । এখন এক দাবি সরকারের পতন ।
তত্বাবদায়ক সরকারের ইস্যু নিয়ে হরতাল দিয়ে কোন
লাভ হবে না এটা বিএনপি জানে । জনগনের দল বিএনপি, জনগণকে দিল কান মোচড় । জনগনের
রায়ের তোয়াক্কা করে না বিএনপি । এই সরকারকে ক্ষমতায় বিসিয়েছে জনগন , আবার ক্ষমতায়
বসাবে বা নামিয়ে দিবে এই জনগন । জনগন কোন হরতাল মানে না জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ।
নির্বাচনের এখনও প্রায় ৮ মাস বাকি । কে ক্ষমতায় যাবে তা নির্ধারণ করবে জনগন, তত্বাবদায়ক
সরকার না ।
এখন যদি
আওয়ামীলীগ সরকার তত্বাবদায়ক সরকারের ইস্যু মেনে নেয় বিএনপি কি যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারিক আদালতের পক্ষে ও বিচারিক আসামীদের বিপক্ষে অবস্থান নিবে ! জামাত- শিবিরকে
নিষিদ্ধ করতে রাজি হবে ? আজকের হরতালকে সমর্থন করে জামাত- শিবির বিভিন্ন জায়গায়
মিছিল করছে । তাহলে এই হরতাল কি জামাতের হরতাল ?
গত
কয়েকদিন যাবত বিএনপি-জামাত যে সব গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙছে এসব কি জামাত-বিএনপির
সম্পত্তি ? কোন গণতন্ত্রের বলে গাড়ি, বাড়ি, মসজিদ, মন্দির পোড়াচ্ছে তারা । ককটেল
ফাটাচ্ছে কাকে মারার বা ভয় দেখাবার জন্য ।
যাদের গাড়ি,
বাড়ি, মসজিদ, মন্দির পোড়াচ্ছে তারা কি এই গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক নয় ? নাকি
আগামি নির্বাচনে জনগনের ভোট ছাড়াই বৈতরণী পার হতে চান তারা ।
জনগন
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্যই একক সরকার গঠনের লক্ষ্যে ভোট দিয়েছিল আওয়ামীলীগকে
। তাই এই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে ও জনগন তা বারবার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ।
আশা করি বিএনপি গত কয়েকটি রায় দেখে বুঝতে পেরেছে । জামাত- শিবির বুঝে গেছে তাদের
অবস্থান ।
জামাত-
শিবির ইতিমধ্যে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে দেশে ও বিদেশে । জামাত- শিবিরের
রাজনীতি নিষিদ্ধ করনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । কিন্তূ, বিএনপি বারবার তাদের ফাঁদে
পা দিয়ে জামাতের এজেন্টা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে । বিএনপির সুভবুদ্ধির উদয় না হলে আগামি নির্বাচনে
নিশ্চিত হার থেকে জামাত-শিবির আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন