ওলামা
মাসায়েখ এর আলেমরা বললেন “জামাত শুধু দেশেরই শত্রু না ওরা ইসলামেরও শত্রু” ।
ঘোষণা
দিলেন জামাত- শিবির নিষিদ্ধ করার জন্য মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের, এই
সমাবেশে সকল ইসলাম প্রেমি ও ইসলামের আদর্শের সকল দল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ও মুক্তিযোদ্ধাদের
উপস্তিত হয়ে সামাবেশ সফল করার আহ্বান
জানান ।
জামাত-
শিবির তাদের রাজনৈতিক গুরু মওদুদিকে হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর সঙ্গে তুলনা করেছে __
নাওজুবিল্লাহ ।
দেশের
সর্ব স্তরের মানুষ যখন জামাত- শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ, তখন হেফাজতে
ইসলাম নামের একটি দল প্রজন্ম চত্বর তথা সর্ব স্তরের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে
জামাত- শিবিরের পক্ষ নিয়েছে ।
ইসলামকে
হেফাজত করার জন্য সবাইকে বাদ দিয়ে হেফাজতে ইসলামকে এই দায়িত্বটা কে দিল আজ আমার
জানতে বড় সাধ হচ্ছে । হেফাজতে ইসলাম কি ইসলামের হেফাজত করছেন না জামাত- শিবিরকে
হেফাজত করছেন তা বোধ করি বুঝতে আর কারো বাকি নাই । আমি যতদূর জানি জামাত- শিবিরের
সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের বিরোধিতা রয়েছে অনেক আগে থেকেই । কিন্তূ হটাত ১৩ই মার্চ
থেকে তাদের এই সখ্যতার ব্যাপারটি সন্দেহ জনক ।
হেফাজতে
ইসলাম জানলেন কিভাবে ব্লগাররা নাস্তিক বা মুরতাদ । আমার জানা মতে ইসলামের আদর্শের
অনেক আলেম ও বুজুর্গ ব্লগে লেখালেখি করেন । এ প্রসঙ্গে ফিরে যেতে হয় আমাকে ব্রিটিশ শাসনামলের সময় । তখন
এই হেফাজতে ইসলামের মত কিছু বিভ্রান্ত আলেম ইংরেজি শিক্ষা গ্রহন করলে কাফের হয়ে
যাবে বলে ফতোয়া জারি করেছিল । একি সঙ্গে ফারসি, উর্দু জানলে বেহেস্ত নসীব হবে
প্রচারনা চালান । তার মানে দাড়ায় আমেরিকা, ইউরোপ এর মুসলমানরা তখন কাফের ছিল ,
কারন তাদের অনেকেরই ভাষা ছিল ইংরেজি এবং উনারা উর্দু ও ফারসি ভাষা জানতেন না ।
ঠিক
তেমনি এখনকার প্রজন্ম চত্বর বা জনতার মঞ্চের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ।
বাংলাদেশে
প্রায় ১৫ কোটি মুসলমান আছেন । এর মধ্যে জামাতে ইসলাম ও হেফাজতে ইসলাম মিলে প্রায়
১০ লক্ষ মুসলমান আছে । বাকি মুসলমানরা কি তাহলে সব নাস্তিক-মুরতাদ ?
আমার
ধারনা জামাতে ইসলাম-বিএনপি-হেফাজতে ইসলাম একি বৃন্তে ৩ টি ধূতরা ফুল । ধূতরা ফুল
খেলে মানুষ যেমন পাগল বা বেহুস হয়ে যায় , তেমনি এই ৩ টি দল এখন বেহুস । বিএনপি আর
হেফাজতে ইসলাম বেহুস জামাতের অর্থ পাওয়ার জন্য । জামাত- শিবির বেহুস তাদের কুলাঙ্গারদের
বাচাবার জন্য ।
জামাত-
শিবির জানে বাংলার মানুষ জাগলে বিজয় না নিয়ে ঘড়ে ফিরে না । তাই তারা অস্থির । একের
পর এক মিথ্যা প্রচারানা চালিয়েও সাময়িক ফায়দা ছাড়া তেমন কোন কিছু করতে পারছে না । তাই
এখন ভর করেছে বিএনপি ও হেফাজতে ইসলাম এর
ঘাড়ে ।
হেফাজতে
ইসলামকে জানিয়ে রাখছি , প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন অহিংস আন্দোলন । বাধ্য করবেন না
সহিংস হতে । পালাবার পথ খুজে পাবেন না । ইসলাম আপনাদের একার সম্পত্তি না । সারা
বাংলার মুসলমানরা জেগে উঠেছে । তারা জানে কোনটা ইসলামের সঠিক ও সুন্দর পথ ।
সরল পথে
চলুন , সঠিক কথা বলুন, বাঁকা পথে হাটা বন্ধ করুন । আমাদের সাধারন জনগণকে বাধ্য
করবেন না আঙ্গুল বাঁকা করতে ।