স্বল্প পরিসরে অল্প বিনিয়োগে কম পরিশ্রমে আঙ্গুর চাষ করা যায় ।
স্বল্প পরিসরে আঙ্গুর চাষের জন্য বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় যে স্থানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রৌদ্র থাকে অথচ পানি দাঁড়ায় না এমন জায়গা নির্বাচন করে আঙ্গুর চাষ করা যায়।আমাদের এই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ৩–৩ মিটার পদ্ধতিতে গাছ লাগানো যায়। যেহেতু আঙ্গুর গাছ ৪০- বছর বাঁচে সেজন্য লোহা বা সিমেন্টের পিলার ও জিআই তার দ্বারা মাচা তৈরী করা উচিত। যদি একর প্রতি ৫৪৪টি গাছ লাগানো যায় এবং প্রতি গাছে বছরে গড়ে কমপক্ষে ৪ কেজি করে আঙ্গুর উত্পাদিত হলে মোট আঙ্গুরের পরিমাণ হবে ২১৭৬ কেজি। বর্তমান বাজারমূল্য প্রতি কেজি ২০০ টাকা হিসাবে মোট মূল্য দাঁড়াবে ৪,৩৫,২০০ টাকা। এক একর জমিতে আঙ্গুর চাষ করতে খরচ হবে আনুমানিক ১,৫০,০০০ টাকা। খরচ বাদে মোট লাভ দাঁড়াবে ২,৮৫,২০০ টাকা, যা অন্য যে কোনো ফল ও ফসলের তুলনায় বেশ লাভজনক।
এটা মিষ্ট এবং উপাদেয় ফল। তবে সঠিক পরিচর্যা এবং জমিতে প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে আঙ্গুরের স্বাদ টকও হতে পারে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আঙ্গুর চাষের তেমন প্রসার ঘটেনি। সমপ্রতি গাজীপুর জেলার কাশিমপুরে বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে সীমিত পরিমাণে আঙ্গুরের চাষ হচ্ছে। এদেশের আবহাওয়া এবং জলবায়ু কিছু কিছু জাতের আঙ্গুর চাষের উপযোগী বিধায় এর উত্পাদন বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আঙ্গুর চাষের জন্য একদিকে যেমন উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন হয়, তেমনি প্রয়োজন অল্প বৃষ্টিসহ শীতল আবহাওয়া। যে সময়ে আঙ্গুরের ফুল আসে সে সময়ে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে আঙ্গুরের ফলন বেড়ে যায়।
শীতকালে আঙ্গুরগাছের পাতা ঝরে পড়ে এবং বসন্তের
আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন লতাপাতা গজাতে থাকে। এসময় গাছে ফুল আসে এবং কালক্রমে তা ফলে রূপান্তরিত হয়। পরিমিত
বৃষ্টিপাত এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন স্থানই আঙ্গুর চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়া
শুষ্ক এবং উষ্ণ আবহাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াস থাকা উত্তম। তবে সূর্যকরোজ্জ্বল শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু আঙ্গুর চাষের জন্য অনুকূল। তবে আঙ্গুর গাছের দৈহিক
বৃদ্ধির সময় ঠাণ্ডা জলবায়ু এবং ফল ধারণের সময় শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু আবশ্যক। জাতের ভিন্নতা হেতু আঙ্গুর কম-বেশি নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়াতেও
জন্মে থাকে।
অপেক্ষাকৃত হালকা দোআঁশযুক্ত লাল মাটি যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়াতে পারে না অথচ নিষ্কাশন সহজ এমন জমি আঙ্গুর চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত। তাছাড়া জৈবিক সারসহ কাঁকড় জাতীয় মাটি এবং পাহাড়ের পাললিক ভূমিতেও আঙ্গুর চাষ করা যায়। যেহেতু রৌদ্র ব্যতীত আঙ্গুর গাছে ফুল ও ফল ধরে না, সেজন্য ছায়ামুক্ত রৌদ্রজ্জ্বল স্থানই নির্বাচন করা উত্তম।
অপেক্ষাকৃত হালকা দোআঁশযুক্ত লাল মাটি যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়াতে পারে না অথচ নিষ্কাশন সহজ এমন জমি আঙ্গুর চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত। তাছাড়া জৈবিক সারসহ কাঁকড় জাতীয় মাটি এবং পাহাড়ের পাললিক ভূমিতেও আঙ্গুর চাষ করা যায়। যেহেতু রৌদ্র ব্যতীত আঙ্গুর গাছে ফুল ও ফল ধরে না, সেজন্য ছায়ামুক্ত রৌদ্রজ্জ্বল স্থানই নির্বাচন করা উত্তম।
সারা পৃথিবীতে মোট ১২ ধরনের ৬০০ প্রজাতির আঙ্গুর উত্পাদিত হয়ে থাকে। তন্মধ্যে বেশ কিছু জাত উপমহাদেশীয় জলবায়ুতে লাগসই হওয়াতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও থাইল্যান্ডে এর চাষ হয়ে থাকে। এসব জাতের মধ্যে উন্নতমানের হলো : (১) থম্পসন (বীজশূন্য), (২) পুসা (বীজশূন্য), (৩) বিউটি (বীজশূন্য), (৪) পারলেট (দু্রত পাকে), (৫) আনার-ই-শাহী, (৬) চিমা সাহেবি, (৭) কালি সাহেবি (কালো), (৮) ভোকাবি, (৯) খলিলি (দ্রুত পাকে), (১০) আর্লি মাস্কাট, (১১) ডিলাইট, (১২) কার্ডিনাল (কালো), (১৩) হোয়াইট মালাগা (থাই) ইত্যাদি। এসব জাতের মধ্যে বীজহীন এবং বীজযুক্ত উভয়ই রয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযোগী জাতের নাম ‘পার্পেল’। এ জাতটি এদেশে সবচেয়ে ভালো জন্মে। চাষের প্রসারতা বাড়ানোর জন্য সঠিক জাত নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আঙ্গুরের বীজ ও শাখা কাটিং দ্বারা বংশবিস্তার করা যায়। ভালো জাতের আঙ্গুর গাছ নির্বাচন করে তা থেকে এক বছরের পুরাতন শাখা যা তামাটে রং ধারণ করছে এমন শাখা থেকে কাটিং করে কলম তৈরি করা যায়। এই পদ্ধতি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য। রোগবিহীন সুস্থ -সবল আঙ্গুর গাছের শাখা বংশবিস্তারের জন্য উপযোগী। শীতকালে অর্থাত্ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আঙ্গুর গাছ সুপ্তাবস্থায় চলে যায়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে শাখা কর্তন পদ্ধতিতে ৩টি গিরাসহ কাটিং করতে হবে, যা লম্বায় ১৩ সেমি. হবে। কাটিংগুলো একত্রে বেঁধে ২৪ ঘণ্টা ধরে নিচের অংশ উপরের দিক করে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রাখা উচিত। কারণ কাটার পর থেকে এক ধরনের আঠা নির্গত হয় যা সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লাগালে চারা নাও গজাতে পারে। বীজতলায় কাটিং বসানোর পর এক মাসের মধ্যে চারা উত্পন্ন হয়। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে উক্ত কলম নির্বাচিত জমিতে রোপণ করা যায়। তবে কলমের জন্য ডাল কেটে নেয়ার পর ভিজে কাপড় দ্বারা ১৫ দিন জড়িয়ে রেখে তারপর বীজতলায় বসালে তাড়াতাড়ি শিকড় গজায়। প্রথমে নির্বাচিত জমিটি উত্তমরূপে চাষ দিতে হবে। তারপর ৭০–৭০–৭০ সেমি. মাপের গর্ত করতে হবে। উক্ত গর্তে ১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১০০ গ্রাম পটাশ একত্রে মিশ্রিত করে খননকৃত মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে উক্ত গর্তটি ভরাট করে দিতে হবে। এভাবে ২০ দিন উক্ত গর্তটিতে প্রয়োজনানুযায়ী পানি দিতে হবে, যাতে প্রয়োগকৃত সারগুলো পচে যায়। অতঃপর চারা রোপণের জন্য গর্তটি তৈরি হবে। পরে বীজতলা থেকে সংগৃহীত শক্তিশালী একটি চারা এনে উক্ত গর্তে রোপণ করতে হবে। চারাটি সোজাভাবে রোপণ করে একটা লাঠি দ্বারা আটকে দিতে হবে। উক্ত চারার গোড়ায় হালকাভাবে পানি সেচ দিতে হবে।
আঙ্গুর গাছ যেহেতু লতানো সেজন্য এ গাছে প্রচুর সার প্রয়োগের ব্যবস্থা থাকা দরকার। আমাদের এই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ৩–৩ মিটার পদ্ধতিতে গাছ লাগানো যায়। রোপণের পর এক মাসের মধ্যে রোপণকৃত গাছ যদি সতেজ না হয় তবে গাছটির গোড়ায় মাটি আলগা করে কিছু পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। আবহাওয়াজনিত কারণে বাংলাদেশে আঙ্গুর গাছ রোপণের উত্কৃষ্ট সময় হলো মার্চ ও এপ্রিল মাস। এক থেকে তিন বছরের প্রতিটি গাছে প্রতি বছর ৩ কেজি গোবর সার, ১০ গ্রাম ইউরিয়া ও ১০ গ্রাম পটাশ দিতে হবে। ৫ বছরের উপরে প্রতি গাছে ৫ কেজি গোবর সার ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হবে। পটাশ বেশি দিলে আঙ্গুর মিষ্টি হয় এবং রোগবালাই প্রতিরোধ করে। তাছাড়া প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর প্রতি গাছে আধাকেজি করে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আঙ্গুর গাছের ডাল ও কাণ্ড ছাঁটাই করা অতি আবশ্যক। এর ব্যতিক্রম হলে গাছের ফলন অনেক কমে যায়। আঙ্গুর গাছের নতুন ডালে ফুল ও ফল ধরে বিধায় সময়মত এর অঙ্গ ছাঁটাই না করলে ফুল ও ফল ধরবে না। আঙ্গুর গাছের ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। ছাঁটাইয়ের আগে বা পরে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই। গাছ রোপণের পর থেকে মাচায় ওঠা পর্যন্ত প্রধান কাণ্ড ছাড়া অন্যসব পার্শ্বশাখা ছেঁটে ফেলতে হবে।
ক) প্রথম ছাঁটাই : মাচায় কাণ্ড ওঠার পর -৪০ সেমি. লম্বা হলে প্রধান কাণ্ডের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে, যাতে ওই কাণ্ডের দু’দিক থেকে দুটি করে ৪টি কাণ্ড গজায়।
খ দ্বিতীয় ছাটাইঃ ১৫-২০ দিন পর যখন কাণ্ডগুলো ৪৫ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হবে তখন উক্ত ৪টি কাণ্ডের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে, যাতে প্রতিটি শাখার দু’দিক থেকে আগের মতো ২টি করে ৪টি কাণ্ড গজায় । এভাবে মোট ১৬টি কাণ্ড গজাবে।
গ তৃতীয় ছাঁটাই -২০ দিন পর যখন প্রতিটি শাখা ৪৫ সেমি. লম্বা হবে তখন পুনরায় শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে, যাতে করে প্রতিটি শাখার দু’দিকে দুটি করে ৪টি কাণ্ড এবং এভাবে ১৬টি শাখা থেকে সর্বমোট ৬৪টি কাণ্ড গজাবে। অনেক সময় গাছের দুর্বলতার কারণে ৬৪টি কাণ্ড নাও পাওয়া যেতে পারে। কাণ্ড গজানোর পর দুর্বল কাণ্ডগুলো মারা যেতে পারে। ফলে ৪০টি সতেজ কাণ্ড থাকে এবং এর প্রশাখার ৩টি গিরার মধ্যেই ফুল ও ফল ধরবে। পরবর্তী সময়ে ছাঁটাইয়ের সময় খুব সাবধানে কাণ্ড কর্তন করতে হবে, যাতে ৫ম গিরার পর ছাঁটাই হয়, অন্যথায় আঙ্গুর ধরবে না। আঙ্গুরের জাতের ভিন্নতার কারণে অনেক গাছে ৫ম ও ৬ষ্ঠ গিরাতেও আঙ্গুর ধরে। এমতাবস্থায় ৭ম গিরার পর ছাঁটাই করতে হবে।
এ ছাঁটাই পদ্ধতিতে কলম রোপণের ৬৫ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল এসে যায় এবং তাতে আঙ্গুর ধরে। ফুল থেকে আঙ্গুর পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ১১০ দিন। প্রথম বছর ফল পাওয়ার পর শাখাগুলোকে ১৫ থেকে ২০ সেমিলম্বা রেখে শীতের প্রারম্ভেই ছেঁটে দিতে হবে। ফলে বসন্তের প্রাক্কালে নতুন শাখা গজাবে এবং ফুল ধরবে। এই পদ্ধতিতে মূল কাণ্ডটিকে সামান্য গোড়া খেকে ছেঁটে দিলে আবার নতুন কাণ্ড ও শাখা গজাবে এবং তাতে ফুল ও ফল ধরবে।
মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অর্থাত্ ফুল আসার পর থেকে ৭০ দিনের মধ্যে আঙুর পাকতে শুরু করে। তবে মিষ্টি করার প্রয়াসে পরিপূর্ণভাবে পাকাতে আরও প্রায় ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। এ সময় আঙুরের রং গাঢ় বাদামি বা হলদে বর্ণ ধারণ করবে ও আঙ্গুরের থোকার বোঁটা সবুজ বর্ণ থেকে গাঢ় তামাটে বর্ণ ধারণ করবে। এ সময় গাছে ঝাঁকুনি দিলে দু’চারটি আঙুর নিচে পড়ে যাবে। তখনই বুঝতে হবে আঙুর মিষ্টি হয়েছে এবং সংগ্রহ করার সময় হয়েছে। সব থোকার আঙুর একই সময়ে পাকবে না। সুতরাং ভিন্ন ভিন্ন সময় আঙুর সংগ্রহ করা যাবে। আঙুরের মিষ্টতা যাচাইয়ের জন্য ‘ব্রিস্ক মিটার’ ব্যবহার করা যায়। উক্ত যন্ত্র দ্বারা আঙুরের মধ্যে চিনির পরিমাণ (টিএসএস) মাপা যায়। তবে আঙুরের মধ্যে ১৬ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ সুগার পাওয়া গেলে তা মিষ্টি বলে ধরে নেয়া যায় এবং তা বাজারজাত করার যোগ্য।
উল্লেখ্য, লতা জাতীয় গাছের ফল কাটার সঙ্গে সঙ্গে এর ভেতরে মিষ্টি তৈরির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য লতা জাতীয় গাছের ফল গাছেই সম্পূর্ণভাবে পাকাতে হবে। আঙুর সঠিকভাবে বড় ও মিষ্টি না হলে ফল ধরার পর পরিমিত পরিমাণ জীবরেফিক এসিড ও ইথরেল মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ১ বার ছিটালে উপকার পাওয়া যায়। সম্পূর্ণভাবে পাকা আঙুরের থোকা কাঁচি দ্বারা সাবধানে কেটে নিতে হবে। থোকা এমনভাবে কাটতে হবে যাতে আঙুরের উপরিভাগে রক্ষিত পাউডারী আবরণ হাতের স্পর্শে নষ্ট হয়ে না যায়। কারণ, ওই পাউডারি আবরণ বাজারজাতকরণের সময় বাণিজ্যিক মূল্যায়নে মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
রোগবালাই দমন : সাধারণত বৃষ্টির দিনে বা বাতাসে আর্দ্রতা থাকলে আঙুর গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হয়। তাছাড়া পাতার মধ্যে ফোস্কার ন্যায় অংশবিশেষ শুকিয়ে যায় এবং মেঘলা আবহাওয়ায় পাতার নিচে পাউডারের ন্যায় সাদা গুঁড়ো দেখা যায়। এর ফলে গাছের ফুল ও ফলের যথেষ্ট ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। উপরোক্ত রোগগুলো দমনের জন্য রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে ১৫ দিন পরপর দু’বার গন্ধকের খুব মিহি গুঁড়ো বা দ্রবণীয় গন্ধক পানিতে মিশিয়ে তা গাছের পাতায় ছিটিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
সাবধানতা : আঙ্গুর চাষে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তা হলো— করৌদ্রকরোজ্জ্বল জায়গায় গাছ রোপণ করা। (খ) পরিমাপমত সার ও পানি প্রয়োগসহ মাটিতে যেন পানি দাঁড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। (গ) সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে কাণ্ড ছাঁটাই করতে হবে। (ঘ) গাছের গোড়ার মাটি মাঝে মাঝে আলগা করে পরিমাণমত চুন ও পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।
তথ্য সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন