৫.১ পরনারী-পরপুরুষ
পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক শাস্ত্রে আছে,
অপরের
পরিণীতা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করা কদাচ উচিত নয়। মানুষের সমাজও
এর বিশেষ বিরোধী। মানুষ এ কাজকে খুব নিন্দনীয় বলে মনে করে। তবে বাৎস্যায়ন বলেন-
প্রেম ও ধন সম্পত্তির লোভে এরূপ কাজ করা যেতে পারে- তবে নিম্নলিখিত
বস্তুগুলি বিচার করতে হবে।
১। লাঞ্ছিত পর নারীকে সহজে পাওয়া যেতে পারে কি না।
২। তার সহিত সহবাস দুষ্ট ব্যাধি আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ঘটতে পারে
কিনা।
৩। তার সঙ্গে কোন শাস্ত্র বিরুদ্ধ সম্পর্ক আছে কিনা- যেমন মাসী,
পিসী,
গুরু পত্নী ইত্যাদি।
৪। বাঞ্ছিত স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসা করলে সত্যিই কোন ধন লাভ ঘটতে পারে
কিনা। ৫। যদি ইচ্ছা এত প্রবল হয় যে ঐ কাজ না করলে
মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
আকর্ষণের প্রাবল্যের প্রমাণ এই আকর্ষণ
প্রকৃত প্রবল কি না তা বিচার করা যায় নানা উপায়ে।
(১) প্রথম
দর্শনেই নারী প্রতি প্রেমের উদয়।
(২) মনে তার প্রতি দৃঢ় আকর্ষণ।
(৩) সর্বদা ঐ নারীকে মনে মনে চিন্তা করা।
(৪) চিন্তা করতে করতে যদি নিদ্রাহীন হতে হয়।
(৫) কিছুকাল বিনিদ্র থেকে যদি শরীর দুর্বল হয়ে যেতে থাকে।
(৬) জীবনের অন্যান্য সব কাজ যদি অরুচিকর বলে মনে হয়।
(৭) সব বাধা
বিপত্তি তুচ্ছ মনে হওয়া।
(৮) ঐ নারী ভাল না বাসলে স্নায়ুবিক রোগ উপস্থিত হ’তে পারে।
(৯) এমন অবস্থা যে, মাঝে মাঝে মৃগীরোগের মত দেখা দেখা দিতে পারে।
(১০) এ অবস্থার
জন্যে পরে মৃত্যু পর্য্যন্ত ঘটতে পারে।
(১১) ঐ নারীকে যথাসর্বস্ব দিয়ে দেওয়া যায়।
(১২) তাকে না পেলে নিজের জীবনই বৃথা বলে মনে হয়।
বিচার্য্য বিষয় পর নারীকে কাম
নিবেদন করার আগে যে সব বিষয়ে মনোযোগ সহকারে দেখা কর্তব্য, তা হলো:
(১) ঐ নারীর
মনোভাব কেমন?
(২) তার মতবাদ বিশ্বাসযোগ্য কিনা।
(৩) তার সতীত্ব দৃঢ় কিনা। সতীত্ব দৃঢ় না হলে তাকে সহজে পাওয়া যায়।
(৪) তাকে সহজে পাওয়া যেতে পারে কিনা।
(৫) তার কাম বাসনা উগ্রচিতা-যাতে সে পর পুরুষ কামনা করে।
(৬) নারীর দৃষ্টিভঙ্গীই তার মনোভাব ব্যক্ত করে। তা ছাড়া কথাবার্তা
হাবভাব দেখা উচিত।
(৭) সুসজ্জিত পুরুষ দেখে নারী আকৃষ্ট হয়- পুরুষও সুসজ্জিতা নারী দেখে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু নানা কারণে তাদের কাম নির্ধারিত হয়।
(৮) সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে যাতে স্বামী না জানতে পারে। যেন স্বামী
তাকে তাড়িয়ে না দেয়- তা হলে সে পর পুরুষ
প্রেমিকাটিকে ঘৃণা করবে।
(৯) নূতন প্রেমিক দু-একদিন পর উদাসীন হয়ে পড়লে নারী আবার নিজেকে সংযত
করে নেয়।
(১০) যে নারী যতো সহজলভ্য তার প্রতি পুরুষের ততো আগ্রহ বাড়ে না- যে যত দুর্লভ, তত তার প্রতি কামনা বাড়ে।
কি কারণে নারী
পরপুরুষ চায় নাঃ
১। যখন স্বামীর সঙ্গে গভীর ভালবাসা থাকে।
২। যখন তার কিছু ছেলে-পুলে থাকে।
৩। যখন তার বয়স বাড়ে।
৪। যখন সে কোন মনস্তাপ পায়।
৫। যখন সর্বদা স্বামীর কছে থাকে।
৬। যখন সে তার নতুন প্রেমিকের বিষয়ে সন্ধিদ্ধ চিত্ত।
৭। তার প্রেমিকের কাছে যেতে বিপত্তি থাকে।
৮। যখন সে বুঝতে
পারে, নতুন
প্রেমিক শুধু ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ায়।
৯। যখন সে বোঝে ঐ পুরুষ অন্য নারীর সঙ্গে প্রেম চালাচ্ছে।
১০। যখন সে সন্দেহ করে নব প্রেমিক তার গুপ্তপ্রেমের কথা সহজে ব্যক্ত
করতে পারে।
১১। যখন সে মনে করে নব প্রেমিকের প্রেম নিবেদন একটা ছলনা মাত্র।
১২। যদি সে মনে করে নবপ্রেমিক তার বন্ধু-বান্ধবদের দ্বারায় তাকে ভোগ
করাবে। ১৩। স্বামী টের পেতে পারে যদি এমন ভয় থাকে।
১৪। যখন নতুন প্রেমিক প্রচুর কাম ক্রীড়া অবগত, তখন তার সঙ্গে
মিলনে ভয় পায়।
১৫। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে শান্তিতে বাস করেছে। তখন যে নতুন প্রেমিকাকে ভয় পায়।
১৬। যদি হরিণী নারী বোঝে প্রেমিকের বৃষ বা অশ্ব জাতীয় লিঙ্গ।
১৭। যখন সে দেখে নতুন প্রেমিক স্থান কাল মানতে চায় না।
১৮। যখন সে দেখে নতুন প্রেমিকের সমাজে কোন স্থান নেই।
১৯। যখন দেখে নতুন প্রেমিক তার সংকেত বা ইশারা ইত্যাদি বোঝে না। খুব নির্বোধ।
২০। যখন হস্তিনী নারী দেখে তার প্রেমিকের শশক জাতীয় লিঙ্গ।
২১। যখন সে বুঝবে তার সঙ্গমে নবপ্রেমিকের শারীকির বা আর্থিক ক্ষতি
হবে।
২২। যখন সে বোঝে ধরা পড়লে আত্নীয়স্বজন মহলে বদনাম হবে।
২৩। যখন দেখে নব প্রেমিক তাকে সন্দেহ করেছে।
২৪। যখন তার মনে খুব ধর্মভাব বর্তমান ও এই সব বিষয় চিন্তা করে-যে লোক পরস্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমের কথা ভাবে, সে এই কাজে
প্রকৃত সফলতা লাভ করতে পারে।
পরনারীর কাম্য
পুরুষ পরনারী কোন কোন ধরনের পুরুষ বিশেষ ভাবে কামনা
করে তাও অবশ্য দেখা দরকার। নিম্নলিখিত
গুণবিশিষ্ট ব্যক্তিরা সহজেই পরনারীকে আকর্ষন করতে পারে।
১। যে কামশাস্ত্রে বেশ সুপণ্ডিত।
২। যে বেশ গুছিয়ে গল্প করতে পারে।
৩। যে বাল্যকালে খেলার সাথী ছিল।
৪। সুন্দর ও সুদর্শন যুবক।
৫। যে খেলার সঙ্গী।
৬। যে নারীর কথা বেশ মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং কোন যথোচিত ভাবে তার আবদার
শোনে।
৭। যে বুঝে সুঝে কথা বলে।
৮। নারী যা চায়,
তা
সহজে যে জোগাড় করে দিতে পারে।
৯। নারীর প্রেমিকের পূর্ববর্তী দূত।
১০। যে যুবক নারীর গুপ্ত কথা জানে।
১১। যে অনেক বিলাসিনী নারীর কেন্দ্রীভূত হয়।
১২। যে পুরুষ তার অভিলষিত নারীর সাথীদের সঙ্গে বেশ মেলামেশা করে।
১৩। যে তার সম্পত্তির জন্যে সুবিদিত।
১৪। যে একজন নারীর সঙ্গে একত্রে বয়সে বেড়েছে।
১৫। একজন কামুক বলে বিদিত। তার প্রতিপত্তি বা অর্থ আছে।
১৬। কামুক পরিচায়ক।
১৭। ধাত্রী কন্যার প্রেমিক বা স্বামী।
১৮। সংসারে যে নূতন বরস্বরূপ এসেছে।
১৯। যে পুরুষ বনভোজন ও উদ্যান উৎসবে কৃতি।
২০। একজন অপব্যয়ী বা ব্যয়ে মুক্ত হস্ত।
২১। আমোদপ্রিয় অর্থাৎ নাটক দেখতে ভালবাসে।
২২। যারা বৃষ জাতীয় পুরুষ- নারী বোঝে ওদের দ্বারা পূর্ণ কামতৃপ্তি
সম্ভব।
২৩। অতি সাহসী এবং মস্তান ধরনের লোক।
২৪। যে লোক নারীর স্বামীর থেকে বেশি বিদ্বান সুন্দরতর বা বেশি প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি।
২৫। যে খুব বাবুয়ানা করে বেড়ায়।
পুরুষ যেমন নানা হাবভাব করে নারীর মনোহরণ করতে পারে, তেমনি অনেক নারী ইঙ্গিত প্রকারে পুরুষের সুগম হতে পারে। সুলভ পরনারী
চেনার উপায় নারী নিম্নলিখিত প্রকার ইঙ্গিতে
পুরুষের সুলভ বলে প্রতীয়মান হয়।
১। যে নারী তাদে
গৃহদ্বারে পথিকদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
২। যে বাড়ীর ছাদ থেকে পথচারীদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
৩। যে পল্লী পুরুষেরা বেশি গুলতানি করে- যে নারী তাতে সহজে যোগ দেয়।
৪। যে বিদেশীর দিকে কটাক্ষনেত্রে তাকায়।
৫। বিদেশীরা তাকালে যে নারী তাদের দিকেও বারবার তাকায়।
৬। যে নারীর স্বামী কারণ ছাড়া অন্য নারীকে বিয়ে করেছে।
৭। যে নারী স্বামীকে ঘৃণা করে।
৮। স্বামী কৃর্তৃক ঘৃণিতা নারী।
৯। সে স্বভাবতঃই অতি অবগুন্ঠনবতী।
১০। যে নারী অপুত্রকা।
১১। যে নারী সর্বদা তার পিতৃগৃহে বাস করে।
১২। যে সব নারীর পুত্রকণ্যা প্রায়ই মারা যায়।
১৩। যে নারী তার নিজের বাড়িতে বা পল্লীর অন্য বাড়িতে বিভিন্ন সমিতিতে যোগদান করে।
১৪। যে প্রথমেই ইচ্ছা করে পুরুষদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করে।
১৫। কোন অভিনেতা বা নর্তকের স্ত্রী।
১৬। বাল্য বিধবা নারী।
১৭। যে নারী নিজে দরিদ্র হলেও বিলাসী জীবন যাপন করতে ভালবাসে।
১৮। যার স্বামীর অনেকগুলি কনিষ্ঠা প্রণয়িনী বা পত্নী আছে।
১৯। যে নারী স্বামীকে অপদার্থ বলে বিবেচনা করে কিন্তু নিজে বেশ
সুন্দরী।
২০। যে নারী নিজে বেশ গুণবতী কিন্তু স্বামী একেবারে অপদার্থ।
২১। যে নারী অন্য পতির সঙ্গে বিবাহ স্থির কিন্তু তখনও বিবাহিতা নয়।
২২। যে নারীর নায়কের স্বভাব প্রভৃতি তার গুপ্ত প্রেমিকের তুল্য।
২৩। যে নারী সর্বদা অপরিচিত লোকের মতে মত দিয়ে থাকে।
২৪। যে নারী বিনা কারণে স্বামী কর্তৃক অপমানিতা হয়েছে।
২৫। যে নারী সপত্নীদের দ্বারা অপমানিতা হয়েছে।
২৬। যে নারীর স্বামী প্রায়ই বিদেশে বাস করে।
২৭। যে নারী অতি কামুক।
২৮। যার স্বামী বেশি বাইরে সারাদিন থাকে।
২৯। যে নারীর স্বামী নিষ্ঠুর।
৩০। ভীরু, স্বভা, বেঁটে বিকলাঙ্গ
ও বৃদ্ধ যে নারীর স্বামী।
৩১। মনিখারে পত্নী বা পত্নীগণ।
৩২। কোনও কৃষক পত্নী- যে নগরে বাস করে।
৩৩। যে নারীর স্বামী যৌন শীতলযুক্ত।
৩৪। যে নারীর স্বামীর গা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে থাকে।
৫.২ পরনারী লাভের উপায়
পরনারীর সহিত কামকেলীর বিভিন্ন উপায় বাৎস্যায়ন বলেন,
যে
নারী তরুণী বা অবিবাহিতা, তাদের পেতে হলে ব্যক্তিগত চেষ্টায় এবং আত্নীয়স্বজনের চেষ্টায় পেতে পারে। কিন্তু যারা বিবাহিতা
সে সব নারীকে পেতে হলে, কামদূতী বা
ধাত্রী কন্যা পাঠিয়ে তাকে দিয়ে নানা গুণের কথা বলে, তার মন ভিজিয়ে
তাকে পেতে হয়। অবশ্য এর জন্যে প্রথম পরিচয়ের দরকার।
পরিচয় করার জন্যে অভিলাষিতা নারীর পরিচিতা ধাত্রী
কন্যা বা উপযুক্ত কোন ঘটকীয় প্রয়োজন হয়।
যখন কোন রকমে পরিচয় ঘটবে, তখন মাঝে মাঝে তার কাছে ঘোরাফেরা করা
একান্তভাবে প্রয়োজন। সে যে যে পথ
দিয়ে যায়, সেই পথে ঘোরাফেরা করা প্রয়োজন। একা পেলে কথাবার্তা বলা উচিত। তার যে সব সখী বা বান্ধবী আছে তাদের সঙ্গে গল্প করা
প্রয়োজন। সখীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে উক্ত নারীর সঙ্গে
গল্প করাও সুরু হয়ে যেতে পারে। সেই সময় এই নারীর সখীদের বা ঐ নারীকে কিছু বিলাস দ্রব্য উপাহার দেওয়া
উচিত। এইভাবে ক্রমশঃ তার সঙ্গে আত্নীয়তা শুরু হয়ে
যাবে।
যদি বিবাহিতা
তরুণী হয় তবে তাহার কোনও ভাইকে খুড়তুতো, জ্যেঠতুতো বা
মামাতো ভাইদের সঙ্গে কিছু ভাব করা দরকার। যদি সেই পরনারীর কোন ছোট শিশু থাকে, তখন তাকে কোল
থেকে তুলে নিয়ে নিজের কোলে দুলিয়ে আদর
করলে ভাল হয়। এতে অনেক ঘনিষ্ঠতা আসে। পরনারীর সহিত
ঘনিষ্ঠতা ক্রমে ক্রমে সামান্য ঘনিষ্ঠতার পর কথা বলার
সুযোগ আসে। তখন সেই নারীর পাশে এসে নানা সাধারণ
বা সামাজিক কথা বলবে। যখন দেখবে গল্প করতে তার কোন আপত্তি
নেই,
তখন
ক্রমশঃ রসের গল্প অবতারণা করবে। যেমন অমুক লোক তার কন্যাকে ্লেহবশতঃ চুমু খেলো। তারপর, তার স্ত্রীর
গালে মুখে চুমু খেলো। চুমু খেতে বেশ লাগে-এই সব
বলে তরুণীর মন রসসিক্ত করবে।
প্রায়ই প্রত্যহই সুযোগ মত নিভৃতে বসে তরুণীর সঙ্গে এই সব কথা বলবে।
বলতে বলতে মাঝে মাঝে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তরুণীর অঙ্গ
স্পর্শ করবে। যখন তরুণী বিশেষ আপত্তি করবে না তখন
তার একটু উপরে উঠবে। ক্রমশঃ ক্রমশঃ
তার কাছে প্রেমের কথা জানাবে। অবশ্য যদি এর আগে অঙ্গ স্পর্শে বাধা ন দেয় তবেই তা করবে। বসন নিয়ে
নাড়াচাড়া করলেও যদি সে ঐ পুরুষের কাছে লজ্জাবোধ না করে, তা হলে জানবে তার মনে কিছু কামভাব জাগ্রত হয়েছে। হঠাৎ যদি একদিন
ঐ পুরুষ এই নারীর গাল টিপে ধরে তাতে নারী লজ্জিত হয় বটে, আপত্তিও একটু
করে, কিন্তু
তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে
একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু এগিয়ে গেছে।
যখন অধিকাংশ সময় ঐ নারী পুরুষটির সঙ্গে একত্রে নির্জনে থাকতে
চাইবে-সরস গর্প গুনতে সে আগ্রহ প্রকাশ করবে। তারপর ক্রমশঃ ঐ নারীর সঙ্গে যৌন কথা বলা সম্ভব হ’তে পারে। পরনারীর সহিত যৌন সম্পর্ক যৌন ভাব প্রকাশ
করতে হলে পুরুষকে খুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে। প্রথমে নারীকে দু-একটা বিদেশী বই, নানা গল্পের বই
এবং সবার শেষে কোন যৌন বিষয়ক বউ উপহার
দেবে। তারপর থেকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি ও বই থেকে কি
পাঠ গ্রহণ করলে? তরুণী ধীরে ধীরে হয়ত উত্তর
দেবে। তখন তাকে বিসতৃতভাবে কাম বিষয়ক গ্রন্থের বিষয়ে বর্ণনা করে বুঝিয়ে দিতে হবে। ক্রমশঃ সেগুলি
গা সহ্য হলে বলবে-আচ্ছা ধর আমি যদি তোমাকে জড়িয়ে ধরি ত কেমন লাগতে পারে?
ধীরে ধীরে তরুণী নিরুত্তর থাকলে গালে গাল ঘষবে, হাতে হাত ঘষবে,
ধীরে
ধীরে তার অনুমতি নিয়ে দেহ মর্দন করবে। যে যখন বলবে, বেশ লাগছে। তখন তার অনুমতি
নিয়ে তার হাত পা জোর মর্দন করবে। দেখবে সে চুপ করে তা উপভোগ করছে। তারপর তাকে
সজোরে আলিঙ্গন করবে-খুব জোরে তা হবে। তারপরই আসবে চুম্বন। তাতেও যদি সে বাধা না দেয়, তখন তার সারা দেহ মর্দন চলবে, তার কামকেন্দ্র
জোরে জোরে মর্দন করবে। স্তন নিপীড়ন যৌন কেন্দ্র বা
যোনিতে হাত প্রয়োগ করবে। তখন নিশ্চয়ই
নারী পুরুষের পুরুষাঙ্গে হাত দেবে বা চাপ দেবে। এতে বুঝতে হবে সে নিশ্চয়ই কামার্তা হয়ে উঠেছে। তখন পুরুষ
নারীকে চিৎ করে শুইয়ে তার বুকের উপর উঠে শৃঙ্গার করবে। প্রথমে অন্য কোন আসন গ্রহণ করা উচিত নয়। এই আসন বেশ ধীরে
ধীরে এবং দীর্ঘক্ষণ করতে থাকবে। এই আসন হলে পরে
ধীরে ধীরে অন্য আসনও করা চলবে।
৫.৩ নারীর হাবভাব পরীক্ষা
নারীদের মধ্যে
অনেক রকম নারী দেখতে পাওয়া যায়। কতকগুলি নারী আছে যারা মনের ভাব গোপন করে রাখতে পারে। তারা হয়ত গোপনে পরপুরুষকে মনে মনে ভালবাসে,
মুখে কিন্তু প্রকাশ কখনও করে না। আর কতকগুলি নারী
আছে যারা ইংগিত দেখলেই রেগে ওঠে-গালাগালি করে। তাদের এড়িয়ে চলতে হবে। তবে যদি ঐ নারী একদিন গালাগালি দিয়ে পরে নীরব থাকে,
তখন
আর একবার চেষ্টা করে দেখা উচিত। তখন যদি ছুতা করে
থাকে ত বুঝতে হবে, তার মনে কামের বীজ বপন
হয়েছে কি না।
সাধারণতঃ কোন্
কোন্ নারী নতুন প্রেমিকের কুক্ষিগত খুব সহজে হয় ?
(১) যে নারী এর
আগে অনেক কাম চিহ্ন প্রকাশ করেছে।
(২) যে নারী
প্রেমিককে নির্জনে তার স্তন খুলে দেখায়।
(৩) যে নারী পাশে
শুয়ে কোন পুরুষের অঙ্গ মর্দন করে।
(৪) অঙ্গমর্দন
করতে করতে যে নারী মাঝে মাঝে বেশ উত্তেজিত হ’য়ে উঠে।
(৫) পুরুষ কর্তৃক
অঙ্গমর্দনে যে নারী বাধা দেয় না।
(৬) যে নারী পাশে
শুয়ে ঊরুদেশ টিপলে কোনও রকম লজ্জা অনুভব করে না। যে ঘুমানোর ভাব করে
চুপ করে পড়ে থাকে। এই সব হতে হতে
একটু এগালেই আপনা থেকেই নারী আলিঙ্গনের ইচ্ছা প্রকাশ করে।
অভিজাত নারীদের
কাম ইচ্ছা পূরণ অভিজাত রাজা
জমিদারদের বাড়িতে একাধিক কর্ত্রী থাকে। তাদের সবাইকে রাজা বা জমিদার তুষ্ট করতে পারে না। তাছাড়া ধনী নারীদের মধ্যে কামের ভাব বেশি
থাকে। রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়ির মেয়েরা বাড়ির
অন্তঃপুরে! তাই গোপনে কাম ইচ্ছা পূর্ণ করার পথ
খোঁজে। রাজবাড়িতে বা ধনীগৃহে নানা ধরণের নারী থাকে বা
আসে।
নাপতানী, মালিনী, দাসী বা দাসীর
বান্ধবী, প্রজাদের মেয়ে ও বৌ ইত্যাদি। এর কিন্তু আসলে
এক একজন এক একটি নারীর গোপন দূতী হ’য়ে ওঠে। দূতীকে অর্থের
দ্বারা হাত করে তার দ্বারা বাইরের মনোমত পুরুষ বা দূতীর বর্ণনা করা
পুরুষের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ স্থাপন করে। এই যোগাযোগের ফল
ভালই হয়। সাধারণত, ধনী সুন্দরী নারীদের দিকে গোপন আকর্ষণের সুযোগ পেলে তারা
রাজী হয়। দূর সম্পর্কের আত্নীয়, সুন্দর প্রজা,
সুন্দর
কর্মচারী, সুন্দর চাকর এদের সঙ্গেও অনেক সময়
গোপন প্রণয় স্থাপিত হয়।
দূতীদের মাধ্যমে
মনের ইচ্ছার আদান্তপ্রদান হয়। পরে গভীর রাতে খিড়কীর দরজা দিয়ে পারিয়ে
গিয়ে বাইরেও কোন গোপন স্থানে মিলিত হয়ে পূর্ণ উদ্যমে যৌন বাসনার তৃপ্তি
করে। অনেক সময় দেখা যায় ধনী সুন্দরী পরনারীকে হাত
করে অনুগৃহীত লোকেরা মোটা অর্থ উপার্জন করে
থাকে। এই ত গেল নারীদের কথা। রাজা ও
জমিদারদের কাম ইচ্ছা পূরণ পুরুষেরাও গোপনে
প্রজা বা গরীব লোকদের সুন্দরী স্ত্রী বা কন্যাকে উপভোগ করে। জমিদার তার কর্মচারী গোমস্তা বা চঞ্চুকীর দ্বারা খবর পাঠায়।
মোটা অর্থের প্রলোভনেও অনেক প্রজা তার স্ত্রী বা মেয়েকে রাজার দ্বারা ভোগ করায়। অনেকে এই সূত্রে সাহায্যে রাজদরবারে প্রতিষ্ঠাও পায়। আবার অনেক কর্মচারী রাজার এই প্রভাব জানলে তাকে সুন্দরী নারীর খবর
এনে দেয়। রাজা ছলে,
বলে,
কৌশলে
এই কর্মচারীর সাহায্য নিয়ে সেই কন্যাকে হাত করে উপভোগ করে। পরে সেই
কর্মচারীও এসব কথা প্রচার করার ভয় দেখিয়ে গোপনে উক্ত কন্যাকে ভোগ করে। প্রাচীন আমলে
তাই কামুক রাজাদের অধীনে প্রজারা সুন্দরী স্ত্রী বা মেয়ে নিয়ে বাস করতে খুব ভয় পেতো্। প্রাচীনকালে
নাকি এমনও নিয়ম ছিলো যে, কোন প্রজা বিয়ে করে এলে তার তরুণী বৌকে প্রথম রাত্রে রাজবাড়ীতে দিতে হতো। ঐ তরুণীকে রাজা
উপভোগ করবে।
এর পর পড়ুন:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন