জামাতের যা করার ছিল তা তারা করে ফেলেছে ।
জামাতের কাজ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের
বিষয়টির নজর ঘুরিয়ে দেওয়া । তারা তা পেরেছে । গত কয়েকদিন যাবত হেফাজত নিয়ে মাঠ গরম
।
অথচ এই মাসেই ২ টি রায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে
। জনগণকে যদি অন্যদিকে ব্যাস্ত রাখা যায় , তা হলে ফাকা মাঠে তাণ্ডব চালাতে তাদের
খুব সহজ হবে ।
এদিকে সরকার সহ সকল রাজনীতিবিদরা
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি নিয়ে যত না মাথা ঘামাচ্ছে , তার চেয়ে বেশি চিন্তিত
দেখাচ্ছে হেফাজতকে নিয়ে । যদিও সকলেই জানে বা বুঝে গেছে হেফাজত জামাতের দ্বারা
পরিচালিত বা জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই মাঠে নেমেছে , তার পরেও হেফাজত এখন
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু । জামাত নিজেদের দিক থেকে চোখ ফিরানোর জন্য হেফাজতকে তাদের
মত করে জঙ্গি আচরন করতে উস্কানি বা বাধ্য করছে ।
জামাত-হেফাজত কোরআন শরিফ পুড়িয়ে এর দায়
আওয়ামীলীগের উপর চাপিয়ে মুসলমানদের উস্কে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে
করতে চেয়েছিল । কিন্তূ ঘটনা ঘটলো বিপরীত । জামাত-হেফাজত আশা করেছিল ছাত্রলীগ মাঠে
নামবে , আর এই ফাকে কোরআন শরিফে আগুন দিয়ে তা চাপিয়ে দিবে তাদের উপর ।
কোরআন শরিফ পুড়ানোর দায় কারো উপর চাপাতে
পারছে না বিধায় তারা এখন চুপ মেরে আছে । চেষ্টা করছে নতুন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি
করতে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন