প্রোবায়োটিক পদ্দতিঃ ০১
এই মিশ্রণটি ১ বৎসর রাখা যায় ।
এখানে ১০ কেজির (অটো কুড়া হিসাবে) হিসাব দেখানো
হয়েছে। আপনি ২০ কেজি বানালে সব উপাদান ২ গুন করবেন। ৫ কেজির বানালে সব উপাদান
অর্ধেক করবেন।
উপাদানঃ
১। অটো কুড়া - ১০ কেজি
২। আনারস - ২ কেজি
৩। ইস্ট - ১০০
গ্রাম
৪। ছোট তাজা চিংড়ি মাছ – ৫০০ গ্রাম
৫। মোলাসেস - ৪ লিটার
৬। রুমেন - ২-৪ লিটার
(গরুর ছোট ভুরির ভিতরের খাদ্য পানিতে মিশিয়ে চিপে রস নিতে
হবে)
পদ্দতিঃ
১। আনারস ছিলে ব্লেন্ডার দিয়ে ভাল করে করে পেস্ট বানাতে
হবে।
২। তাজা ছোট চিংড়ি মাছ ব্লেন্ডার দিয়ে ভাল করে পেস্ট করতে
হবে ।
(এই দুইটি উপাদান পেস্ট করতে যদি পানি লাগে তবে, পানি গরম করে ঠাণ্ডা করে ৫০
গ্রাম কাঁচা লবণ মিশিয়ে নিতে হবে)
এখন সবগুলি উপাদান একত্রে মিশিয়ে, ড্রামে রেখে ঘড়ির কাটার দিকে
১৫/২০ মিনিট ঘুড়িয়ে ড্রামের মুখ এয়ার টাইট করে বেধে ঘরের ভিতর ২১-৩০ দিন রেখে দিতে
হবে। ২১-৩০ দিন পরে ড্রামের মুখ খুলে যদি দেখেন ভাল মজার গ্রান বের হয়েছে, বুঝবেন প্রোবায়োটিক তৈরি হয়ে গেছে।
প্রয়োগঃ
প্রতি শতাংশে প্রস্তুতকৃত প্রোবায়োটিক থেকে ৮০ গ্রাম নিয়ে
১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট ঘড়ির কাটার দিকে ঘুড়িয়ে ৩/৪ ঘণ্টা রেখে দিয়ে
সূর্যের আলোতে পুকুরের পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
এই মিশ্রণ প্রতি ১০ দিন অন্তর অন্তর ছিটাতে হবে ।
প্রোবায়োটিক পদ্দতিঃ ০২
এই মিশ্রণটি ১ বৎসর রাখা যায় ।
উপাদানঃ
১। আতপ চাল - ২৫০ গ্রাম
২। পানি – ২৫০ মিলি.
৩। দুধ – পানির ১০ গুন
৪। মোলাসে - ?
৫। বাঁশ ঝাড়ের মাটি – ১ কেজি
পদ্দতিঃ
১। হাল্কা কুসুম গরম ২৫০ মিলি পানির সহিত ২৫০ গ্রাম আতপ চাল
প্লাস্টিক বা কাঁচের বোতলে ভরে, ভাল করে (১০০ বার) ঝাঁকিয়ে বোতলের মুখ
সুতির কাপড় দিয়ে বেধে ৪-৫ দিন রেখে দিতে হবে ঘরের ভিতর।
২। ৪/৫ দিন পরে পানি মিশ্রিত চাউল থেকে ছেকে পানি আলাদা
করতে হবে ।
৩। এই পানির সঙ্গে ১০ গুন (১:১০) কাঁচা গরুর দুধ মিশিয়ে ৫-৭
দিন প্লাস্টিক বা কাঁচের পাত্রে রাখতে হবে, পাত্রের মুখ সুতি কাপড় দিয়ে ভাল করে ঢেকে
রাখতে হবে।
৪। ৫-৭ দিন পরে দেখা যাবে পানি দুধ মিশ্রণের উপরে এক ধরনের
আস্তর পড়েছে ও নীচে নীলাভ পানি রয়েছে। উপরের আস্তরণটি ফেলে দিয়ে নিচের নীলাভ পানি
সংগ্রহ করতে হবে।
৫। সংগৃহীত পানির সঙ্গে সম পরিমাণ মোলাসেস ও ১০০ গ্রাম বাঁশ
ঝাড়ের মাটি মিশিয়ে এয়ার টাইট ড্রামে ৪/৫ দিন রেখে দিতে হবে।
৬। ৪/৫ দিন পর ভাল করে ছেকে যে তরল পাবেন সেটাই হল
প্রোবায়োটিক। এই তরল আপনি কোন প্লাস্টিক বা কাঁচের বোতলে এয়ার টাইট করে রেখে
দিবেন।
প্রয়োগঃ
১ বিঘা জমির পানিতে ৩০ মিলি প্রোবায়োটিক + ৩০ মিলি মোলাসেস
+ ১ লিটার পানি ভাল করে মিশিয়ে ৩/৪ ঘণ্টা রেখে দিয়ে ছিটিয়ে দিবেন। প্রতি ১০ দিন অন্তর অন্তর ছিটাতে হবে।
LACTO প্রোবায়োটিক পদ্দতিঃ ৩
বায়োফ্লোক(Biofloc) পদ্ধতির জন্য কিভাবে লেকটো( LACTO) প্রোবায়োটিক তৈরি করবেন?
কি কি
উপাদান লাগবেঃ-
1.অরগানিক
চা্উল(আতব)-150গ্রাম
2. .অরগানিক
চিনি(লাল চিনি)-45গ্রাম
3. .অরগানিক
লবন (সামুদ্রিক লবন)-15গ্রাম
4.খাবার
পানি-1.5 লিটার
কি কি
উপকরন লাগবেঃ-
1.পরিমান
যন্ত্র বা ওজন মেশিন.
2.ফানেল.
3.প্লাটিকের
বোতল 2 লিটার.
4.ছাকনি.
প্রথমে
উপরের উপদান গুলো 2 লিটার .প্লাটিকের বোতলে মিশাতে হবে,তার পর উহা 8-10 মিনিট ভাল ভাবে জাকাতে হবে।এই ভাবে প্রতি দিন সকাল বিকাল 2বার 7 থেকে 8 দিন জাকাতে হবে এবং প্রতি বার জাকানোর পর বোতলের ছিপি অল্প খোলে বোতলের 90%গ্যাস বের করে দিতে হবে।7 থেকে 8 দিন পর অন্য আর একটি বোতলে ছাকনি দ্বারা ছেকে চাউল থেকে পানি আলাদা
করতে হবে .এই আলাদা পানিই লেকটো( LACTO) প্রোবায়োটিক।
যে ভাবে
সক্রিয় করতে হয় :-- লেকটো( LACTO) প্রোবায়োটিক = ৫%, চিটাগুড় = ৫%, পানি = ৯০% । লেকটো( LACTO)প্রোবায়োটিক 1 লিটার+চিটাগুড় 1 লিটার+ পানি 18লিটার।
প্রথমে
চিটাগুড় এবং লেকটো( LACTO) প্রোবায়োটিক এক সাথে মিশ্রণ করে, তারপর
পানির সাথে মিশিয়ে প্লাস্টিকের পাত্রে ৮ থেকে ১০ দিন বায়ুশুন্য অবস্থায় রেখে এটিকে
ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে হবে।ইহাই পানির ট্যাংকে ব্যবহার উপয়োগী EM-1
Micro magic /প্রোবায়োটিক (Effective
microorganisms/ উপকারী অনুজীবসমুহ)।
প্রয়োগঃ
১০০০ লিটার পানিতে ১০ মিলি প্রোবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে, ১০ দিন পর পর।