Finch
শব্দটির অর্থ ছোট আকারের গানের পাখি। বৈজ্ঞানিক নাম Taeniopygia
guttata।
এই
পাখি অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের একটি নির্দিষ্ট সীমায় উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের ঠাণ্ডা
আদ্রতা থেকে দূরে থাকে। এদেরকে ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তাইমুরেও দেখা যায়। পুয়েরতো
রিকো, পর্তুগাল, ব্রাজিল ও আমেরিকাতেও পরিচিত।
ছোট্ট পাখি ফিঞ্চ তার নিজগুনে এই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং
অন্যান্য সৌখিন পাখির মতই ফিঞ্চএর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ফিঞ্চের অনেকগুলো
প্রজাতি আছে যেমন ডায়মন্ড ফায়ার টেইল ফিঞ্চ, লং টেল ফিঞ্চ, বাংলিশ
ফিঞ্চ, জেব্রা ফিঞ্চ ও লেডি গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ এদের মধ্যে
অন্যতম। এদের মধ্যে জেব্রা ফিঞ্চ ও লেডি গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ অনেক জনপ্রিয়। এদের
আদিনিবাস অস্ট্রেলিয়া। তবে সৌখিন পাখি হিসেবে এটি সারা বিশ্বে দেখা যায়।
ফিঞ্চের প্রজাতিঃ
1. Gouldian Finch
2. Zebra Finch
A.
Black
Cheek Zebra Finch
B. Black
Face Zebra Finch
C. Black
Face Black Cheek Zebra Finch
D.
Chestnut Flanked White Zebra Finch
E.
Crested Zebra Finch
F. Fawn
Zebra Finch
G.
Florida Fancy Zebra Finch
H.
Orange Breast Zebra Finch
I. Pied
Zebra Finch
J.
Recessive Silver Zebra Finch
K.
Silver Isabel Zebra Finch
L.
Yellow Beak Zebra Finch
3. Strawberry Finch
4. European Goldfinch
5. Society
(Bengalese) Finch
6. Owl
(Bicheno) Finch
7. African
Red Headed Finch
8. Long-Tail Grass finch
9. Cordon Blue (Bleu) Finches
10. Black Masked Grass finch
ফিঞ্চ পাখির স্ত্রী-পুরুষ চেনার উপায়ঃ
১/জেব্রা ফিঞ্চঃ
ফিঞ্চ পাখির অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে জেব্রা ফিঞ্চের স্ত্রী-পুরুষ খুব সহজেই নির্ধারণ করা যায়।
পুরুষঃ ছেলে জেব্রা ফিঞ্চের চোখের কাছে গোল্ডইন রঙের একটি স্পট থাকে যা মেয়ে জেব্রা ফিঞ্চে দেখা যায় না।এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ জেব্রা ফিঞ্চের ঠোঁট গাঁঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে।
স্ত্রীঃ প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী জেব্রা ফিঞ্চের ঠোঁট হালকা কমলা বর্ণের হয়ে থাকে...এদের পুরুষদের মতো চোখের কাছে গোল্ডইন রঙের স্পট থাকে না।
ফিঞ্চ পাখির অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে জেব্রা ফিঞ্চের স্ত্রী-পুরুষ খুব সহজেই নির্ধারণ করা যায়।
পুরুষঃ ছেলে জেব্রা ফিঞ্চের চোখের কাছে গোল্ডইন রঙের একটি স্পট থাকে যা মেয়ে জেব্রা ফিঞ্চে দেখা যায় না।এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ জেব্রা ফিঞ্চের ঠোঁট গাঁঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে।
স্ত্রীঃ প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী জেব্রা ফিঞ্চের ঠোঁট হালকা কমলা বর্ণের হয়ে থাকে...এদের পুরুষদের মতো চোখের কাছে গোল্ডইন রঙের স্পট থাকে না।
২/সোসাইটি ফিঞ্চ/ব্যাঙ্গলিঃ
পাখির বয়স ৩ মাস না হওয়া পর্যন্ত সোসাইটি ফিঞ্চ/ব্যাঙ্গলি ফিঞ্চের স্ত্রী-পুরুষ চেনা খুব কষ্টকর...তবে কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে আমরা খুব সহজেই এদের স্ত্রী-পুরুষ নির্ধারণ করতে পারি-
পুরুষঃ পুরুষ পাখি চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে...পাখি গান করবে...এদের ডাক স্ত্রী পাখির তুলনায় স্পষ্ট হবে এবং পাখির মাঝে চাঞ্চল্যভাব একটু বেশি থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখি গান করবে না, এদের ডাক পুরুষ পাখির মতো স্পষ্ট হবে না, এদের একটিভিটি ও কম হবে।
তবে যদি আপনার পাখি যদি গান না করে সেক্ষেত্রে আপনি একটি কাজ করতে পারেন-আপনি যে জোড়াটির স্ত্রী-পুরুষ চিনতে পারছেন না সেই জোড়াটির খাঁচায় অন্য একটি সোসাইটি ফিঞ্চ ছেড়ে দিন, খাঁচায় যদি আগে থেকে পুরুষ পাখি থেকে থাকে তাহলে তা ডেকে উঠবে, সেইটিকে তখন আলাদা করে রিং পরিয়ে দিন, আর যদি পাখি না ডাকে সেক্ষেত্রে আপনার বুঝতে হবে যে আপনার জোড়াটির দুইটি পাখিই ফিমেল।
পাখির বয়স ৩ মাস না হওয়া পর্যন্ত সোসাইটি ফিঞ্চ/ব্যাঙ্গলি ফিঞ্চের স্ত্রী-পুরুষ চেনা খুব কষ্টকর...তবে কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে আমরা খুব সহজেই এদের স্ত্রী-পুরুষ নির্ধারণ করতে পারি-
পুরুষঃ পুরুষ পাখি চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে...পাখি গান করবে...এদের ডাক স্ত্রী পাখির তুলনায় স্পষ্ট হবে এবং পাখির মাঝে চাঞ্চল্যভাব একটু বেশি থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখি গান করবে না, এদের ডাক পুরুষ পাখির মতো স্পষ্ট হবে না, এদের একটিভিটি ও কম হবে।
তবে যদি আপনার পাখি যদি গান না করে সেক্ষেত্রে আপনি একটি কাজ করতে পারেন-আপনি যে জোড়াটির স্ত্রী-পুরুষ চিনতে পারছেন না সেই জোড়াটির খাঁচায় অন্য একটি সোসাইটি ফিঞ্চ ছেড়ে দিন, খাঁচায় যদি আগে থেকে পুরুষ পাখি থেকে থাকে তাহলে তা ডেকে উঠবে, সেইটিকে তখন আলাদা করে রিং পরিয়ে দিন, আর যদি পাখি না ডাকে সেক্ষেত্রে আপনার বুঝতে হবে যে আপনার জোড়াটির দুইটি পাখিই ফিমেল।
৩/গোলডিয়ান ফিঞ্চঃ
পুরুষঃ গোলডিয়ান ফিঞ্চের পুরুষ পাখি চেনার উপায় হল এটি গান করবে,শিস দেবে,ব্রিডিং এর সময়ে courtship নাচ করবে এবং পাখির মাঝে চাঞ্চল্যভাব একটু বেশি হয়ে থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখি সাধারনত গান করবে না, শিস দেবে না,পাখির মাঝে চাঞ্চল্যভাব একটু কম হয়ে থাকবে।
পুরুষঃ গোলডিয়ান ফিঞ্চের পুরুষ পাখি চেনার উপায় হল এটি গান করবে,শিস দেবে,ব্রিডিং এর সময়ে courtship নাচ করবে এবং পাখির মাঝে চাঞ্চল্যভাব একটু বেশি হয়ে থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখি সাধারনত গান করবে না, শিস দেবে না,পাখির মাঝে চাঞ্চল্যভাব একটু কম হয়ে থাকবে।
৪/স্টার ফিঞ্চঃ
একটু ভালভাবে লক্ষ্য করলেই আমরা অতি সহজেই স্টার ফিঞ্চের স্ত্রী-পুরুষ চিনতে পারি, এদের African Red Headed Finch হিসাবেও আমরা চিনি ।
পুরুষঃ পুরুষ পাখির ঠোঁট, চোখ এবং মাথার আশেপাশে পুরোটা জুড়েই টকটকে লাল বর্ণ হয়ে থাকে।অন্যান্য পুরুষ ফিঞ্চ পাখি মতো এটি গান করবে এবং চাঞ্চল্যভাব থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ঠোঁট,চোখ এবং মাথা টকটকে লাল বর্ণ হয়ে থাকে কিন্তু এক্ষেত্রে মাথার পুরোটা অংশ(বিশেষ করে মাথার উপরিভাগ)পুরুষ পাখির মতো টকটকে লাল রঙের হবে না।স্ত্রী পাখি গান করবে না সেই সাথে চাঞ্চল্যভাব কম হয়ে থাকবে।
একটু ভালভাবে লক্ষ্য করলেই আমরা অতি সহজেই স্টার ফিঞ্চের স্ত্রী-পুরুষ চিনতে পারি, এদের African Red Headed Finch হিসাবেও আমরা চিনি ।
পুরুষঃ পুরুষ পাখির ঠোঁট, চোখ এবং মাথার আশেপাশে পুরোটা জুড়েই টকটকে লাল বর্ণ হয়ে থাকে।অন্যান্য পুরুষ ফিঞ্চ পাখি মতো এটি গান করবে এবং চাঞ্চল্যভাব থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ঠোঁট,চোখ এবং মাথা টকটকে লাল বর্ণ হয়ে থাকে কিন্তু এক্ষেত্রে মাথার পুরোটা অংশ(বিশেষ করে মাথার উপরিভাগ)পুরুষ পাখির মতো টকটকে লাল রঙের হবে না।স্ত্রী পাখি গান করবে না সেই সাথে চাঞ্চল্যভাব কম হয়ে থাকবে।
৫/ Owl ফিঞ্চঃ
Owl ফিঞ্চের ক্ষেত্রে স্ত্রী-পুরুষ চেনা একটু কষ্টকর তবে-
পুরুষঃ সাধারনত Owl ফিঞ্চের গলার নিচ থেকে অর্থাৎ বুকে দুইটি সমান্তরাল দাগ থাকে...এই দাগ দুটির মধ্যে দ্বিতীয় দাগ টি পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে একটু মোটা হয়ে থাকে।অন্যান্য পুরুষ ফিঞ্চ পাখি মতো এরাও গান করবে এবং চাঞ্চল্যভাব থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে বুকের দাগ দুইটির মধ্যে দ্বিতীয় দাগটি পুরুষ পাখির চেয়ে অপেক্ষাকৃত চিকন হবে।পাখি গান করবে না এবং চাঞ্চল্যভাব থাকবে না।
Owl ফিঞ্চের ক্ষেত্রে স্ত্রী-পুরুষ চেনা একটু কষ্টকর তবে-
পুরুষঃ সাধারনত Owl ফিঞ্চের গলার নিচ থেকে অর্থাৎ বুকে দুইটি সমান্তরাল দাগ থাকে...এই দাগ দুটির মধ্যে দ্বিতীয় দাগ টি পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে একটু মোটা হয়ে থাকে।অন্যান্য পুরুষ ফিঞ্চ পাখি মতো এরাও গান করবে এবং চাঞ্চল্যভাব থাকবে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে বুকের দাগ দুইটির মধ্যে দ্বিতীয় দাগটি পুরুষ পাখির চেয়ে অপেক্ষাকৃত চিকন হবে।পাখি গান করবে না এবং চাঞ্চল্যভাব থাকবে না।
৬/লং টেইল ফিঞ্চঃ
লং টেইল ফিঞ্চের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গান শুনে স্ত্রী-পুরুষ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়...কেননা এই ফিঞ্চের স্ত্রী- পুরুষ উভয়েই গান করে থাকে। তবে একটি বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হল-
পুরুষঃ লং টেইল ফিঞ্চের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এদের গলার নিচে একটি বিব(গোলাকার দাগ)থাকে পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে এই বিবটি একটু বড় হয়ে থাকে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে এই বিবটি পুরুষ পাখির তুলনায় ছোট হয়ে থাকে।
লং টেইল ফিঞ্চের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গান শুনে স্ত্রী-পুরুষ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়...কেননা এই ফিঞ্চের স্ত্রী- পুরুষ উভয়েই গান করে থাকে। তবে একটি বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হল-
পুরুষঃ লং টেইল ফিঞ্চের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এদের গলার নিচে একটি বিব(গোলাকার দাগ)থাকে পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে এই বিবটি একটু বড় হয়ে থাকে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে এই বিবটি পুরুষ পাখির তুলনায় ছোট হয়ে থাকে।
৭/জাভা স্প্যারোঃ
পুরুষঃ শুধুমাত্র পুরুষ জাভা গান করে। ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই এরা গান করা শুরু করে। যে পাখিটি গান করবে সে পাখিটিকে আলাদা করে একটি প্লাস্টিকের রিং পায়ে পরিয়ে দিলে স্ত্রী পুরুষ চেনা সহজ হয়। একই রংয়ের পাখির বাম পায়ে রিং এবং অন্য রংয়ের পাখির ডান পায়ে রিং পরাতে হয়। তবেই সনাক্তকরণে সুবিধা হয়। স্ত্রী ও পুরুষ ভেদে শব্দের মধ্যে তারতম্য লক্ষ করা যায়। প্রজনন উপযোগী পুরুষ জাভার চোখের বৃত্ত গাঢ় রংয়ের হয়। জাভা পাখির ডাক অনেকটা ছিপ্ছিপ্ছিপ্ছিপ্ এর মতো শোনা যায়।
স্ত্রীঃ স্ত্রী জাভার ক্ষেত্রে-পাখি গান করবে না... চাঞ্চল্যভাব পুরুষের তুলনায় কম হয়ে থাকবে।
পুরুষঃ শুধুমাত্র পুরুষ জাভা গান করে। ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই এরা গান করা শুরু করে। যে পাখিটি গান করবে সে পাখিটিকে আলাদা করে একটি প্লাস্টিকের রিং পায়ে পরিয়ে দিলে স্ত্রী পুরুষ চেনা সহজ হয়। একই রংয়ের পাখির বাম পায়ে রিং এবং অন্য রংয়ের পাখির ডান পায়ে রিং পরাতে হয়। তবেই সনাক্তকরণে সুবিধা হয়। স্ত্রী ও পুরুষ ভেদে শব্দের মধ্যে তারতম্য লক্ষ করা যায়। প্রজনন উপযোগী পুরুষ জাভার চোখের বৃত্ত গাঢ় রংয়ের হয়। জাভা পাখির ডাক অনেকটা ছিপ্ছিপ্ছিপ্ছিপ্ এর মতো শোনা যায়।
স্ত্রীঃ স্ত্রী জাভার ক্ষেত্রে-পাখি গান করবে না... চাঞ্চল্যভাব পুরুষের তুলনায় কম হয়ে থাকবে।
৮/ স্ট্রাবেরি ফিঞ্চঃ
এই ফিঞ্চের ক্ষেত্রে পুরো শরীর লাল বর্ণের হয়ে থাকে এবং এই লাল বর্ণের উপরে সাদা বর্ণের স্পট থাকে।এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করেই স্ত্রী-পুরুষের মাঝে পার্থক্য করা যায়।
পুরুষঃ পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে গাঁয়ের রঙ অনেক গাঁঢ় হয়ে থাকে...স্পট অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে।সাধারনত এরা বর্ষাকালকেই ব্রিডিং এর জন্য উপযুক্ত মনে করে...তাই এসময় এদের গাঁয়ের রঙ সবচেয়ে বেশি গাঁঢ় হয়ে থাকে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে গাঁয়ের রঙ তেমন গাঁঢ় নয়...মানে কম হয়ে থাকে...এবং শরীরে সাদা স্পটও পুরুষ পাখির তুলনায় কম হয়ে থাকে।
এই ফিঞ্চের ক্ষেত্রে পুরো শরীর লাল বর্ণের হয়ে থাকে এবং এই লাল বর্ণের উপরে সাদা বর্ণের স্পট থাকে।এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করেই স্ত্রী-পুরুষের মাঝে পার্থক্য করা যায়।
পুরুষঃ পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে গাঁয়ের রঙ অনেক গাঁঢ় হয়ে থাকে...স্পট অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে।সাধারনত এরা বর্ষাকালকেই ব্রিডিং এর জন্য উপযুক্ত মনে করে...তাই এসময় এদের গাঁয়ের রঙ সবচেয়ে বেশি গাঁঢ় হয়ে থাকে।
স্ত্রীঃ স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে গাঁয়ের রঙ তেমন গাঁঢ় নয়...মানে কম হয়ে থাকে...এবং শরীরে সাদা স্পটও পুরুষ পাখির তুলনায় কম হয়ে থাকে।
9. European Goldfinch:
10. Cordon Blue (Bleu) Finches
11. Black Masked Grass finch
কেন
ফিঞ্চ বেশি জনপ্রিয়ঃ
সব সৌখিন পাখি পালকেরা সব সময় এক রকম পাখি পালন করেনা। বাজরিগার দিয়ে শুরু করলেও অনেকেই পরে আস্তে আস্তে ককাটেল, ডাভ, লাভ বার্ড বা ফিঞ্চের দিকে যায়। এর কারণ যেটা হতে পারে, ফিঞ্চ মুল্যবান পাখি, সহজেই পোষ মানে, ব্রিডিং সহজ এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভজনক। আর বিচিত্র বর্ণের ফিঞ্চ সহজেই যে কোন পাখি প্রেমিককে কাছে টানে।
সব সৌখিন পাখি পালকেরা সব সময় এক রকম পাখি পালন করেনা। বাজরিগার দিয়ে শুরু করলেও অনেকেই পরে আস্তে আস্তে ককাটেল, ডাভ, লাভ বার্ড বা ফিঞ্চের দিকে যায়। এর কারণ যেটা হতে পারে, ফিঞ্চ মুল্যবান পাখি, সহজেই পোষ মানে, ব্রিডিং সহজ এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভজনক। আর বিচিত্র বর্ণের ফিঞ্চ সহজেই যে কোন পাখি প্রেমিককে কাছে টানে।
বাংলাদেশে
কেইজ বার্ড হিসেবে পরিচিত পাখির মধ্যে জেব্রা ফিঞ্চ বেশ জনপ্রিয়। এই
পাখি ঘাসভূমি ও বনাঞ্চলের প্রশস্থ অঞ্চল ও পানির কাছাকাছি জায়গায় বাস করে।
ছোট
এ গানের পাখির গানের শব্দ স্ত্রী-পুরুষভেদে পার্থক্য আছে। প্র্রাকৃতিক পরিবেশে ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
খাঁচাতে কেইজ বার্ড হিসেবে এদের ৫ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত বাঁচতে দেখা গেছে।
এরা
ছোট দানাজাতীয় খাবার যেমন চিনা, কাউন, তিল, গুজিতিল—
এ ধরনের ছোট বীজদানা খেয়ে থাকে। ৩ মাস বয়স হলেই এরা প্রজনন শুরু
করে। ২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ডিম দেয়। ডিমের রং সাদা।
ডিম
ফুটে বাচ্চা বের হতে ১৪ থেকে ১৬ দিন সময় লাগে। বাচ্চা ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই
বাসা থেকে বের হয়।
ফিঞ্চের জীবনচক্রঃ
Clutch size:
|
3-8 eggs (4-6 most common)
|
Incubation date:
|
After all eggs are laid (some pairs begin incubating after
3 eggs)
|
Hatch date:
|
After 14-16 days of incubation
|
Fledge date:
|
At 20 days of age
|
Wean date:
|
6 weeks of age
|
Begin molt:
|
8-10 weeks of age
|
Complete molt:
|
5-6 months of age (sometimes as early as 14-16 weeks)
|
Sexual maturity:
|
Although Gouldians may become sexually mature before they
obtain their adult plumage, many breeders recommend waiting until the birds
are at least 6-9 months of age before breeding them
|
Life Cycles: Breeding Time Tables:
Parameter
|
Species
|
|||
Gouldian
|
Cordon Bleu
|
Zebra
|
Society
|
|
Clutch size:
|
4-6 eggs
|
4-6 eggs
|
4-6 eggs
|
3-9 eggs
|
Incubation starts:
|
after all eggs are laid
|
after the fourth egg is laid
|
after the 3rd egg is laid
|
after the 3rd egg is laid
|
Incubation period:
|
14-16 days
|
12-14 days
|
12-14 days
|
16 days
|
Fledging age:
|
20 days
|
14-16 days
|
18 days
|
19 days
|
Weaning age:
|
6 weeks
|
4 weeks
|
4 weeks
|
4 weeks
|
First molt:
|
2-6 months
|
5-6 months
|
2 months
|
3 months
|
Sexual maturity:
|
May become sexually mature before they obtain their adult
plumage; however, wait until they are 6-9 months of age before breeding them
|
May become sexually mature before they obtain their adult
plumage; however, wait until they are 6-9 months of age before breeding them
|
May become sexually mature by 2-3 months of age; however, wait
until they are 6-9 months of age before breeding them
|
May become sexually mature before they obtain their adult
plumage; however, wait until they are 6-9 months of age before breeding them
|
পালন পদ্ধতিঃ
জেব্রা
ফিঞ্চ সাধারণত মধ্য অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার উপযোগী।
বর্তমানে আমাদের দেশে শৌখিন ও বাণিজ্যিকভাবে পালিত হচ্ছে। পালনের জন্য প্রশিক্ষণের
প্রয়োজন নেই। শখের জন্য পালতে চাইলে পাখির দোকানে গেলেই হবে।
ডিম
পাড়ার পাত্র হিসেবে বাঁশের ঝুড়িও ব্যবহার করা যায়। ঝুড়িটি খাঁচার এক কোণে ঝুলিয়ে
রাখলেই চলবে। এর মধ্যে শুকনো দূর্বাঘাস ও নারকেলের ছোবড়া দিয়ে রাখলে ওরা সুন্দর
করে হাঁড়ির মধ্যে বাসা বাঁধবে। এছাড়া পাটের বস্তা বৃত্তাকারে কেটে ঝুড়িতে বসিয়ে
দেওয়া যায়।
প্রাথমিক
অবস্থায় বাণিজ্যিকভাবে পালন করতে তেমন খরচ হবে না। প্রতিজোড়া পাখির জন্য একটি করে
ছোট আকারের খাঁচা ব্যবহার করাই ভালো। বড় খাঁচায় একসঙ্গে কয়েক জোড়া পালন করা যায়।
তবে এতে ঝুঁকি আছে। কারণ এরা প্রচুর পরিমাণে মারামারি করে। ফলে পাখি ও ডিমের ক্ষতি
হয়।
জেব্রা
ফিঞ্চঃ
অন্যান্য ফিঞ্চের তুলনায় এই ফিঞ্চ সহজলভ্য। এটির দামও অনেক কম এবং পাখিপ্রেমিকদের কাছে বেশি দেখা যায়। এটি খুবই মিশুক প্রকৃতির পাখি। এদের বর্ণিল রঙ এবং সুমিষ্ট ডাক পাখিপ্রেমিকদের কাছে টানে। যারা প্রথম বারের মত ফিঞ্চ পালন করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য জেব্রা ফিঞ্চ আদর্শ কারণ জেব্রা ফিঞ্চ লালন-পালন এবং ব্রিড করাটা তুলনামূলক সহজ । যদিও জেব্রা ফিঞ্চ খাঁচার মধ্যে ব্রিড করা সম্ভব , তবুও একটু বড় সেটআপ নেয়াটা ভালো। জেব্রা ফিঞ্চ খাঁচা কিংবা কলোনি দুভাবেই ব্রিড করানো সম্ভব।
অন্যান্য ফিঞ্চের তুলনায় এই ফিঞ্চ সহজলভ্য। এটির দামও অনেক কম এবং পাখিপ্রেমিকদের কাছে বেশি দেখা যায়। এটি খুবই মিশুক প্রকৃতির পাখি। এদের বর্ণিল রঙ এবং সুমিষ্ট ডাক পাখিপ্রেমিকদের কাছে টানে। যারা প্রথম বারের মত ফিঞ্চ পালন করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য জেব্রা ফিঞ্চ আদর্শ কারণ জেব্রা ফিঞ্চ লালন-পালন এবং ব্রিড করাটা তুলনামূলক সহজ । যদিও জেব্রা ফিঞ্চ খাঁচার মধ্যে ব্রিড করা সম্ভব , তবুও একটু বড় সেটআপ নেয়াটা ভালো। জেব্রা ফিঞ্চ খাঁচা কিংবা কলোনি দুভাবেই ব্রিড করানো সম্ভব।
জেব্রা ফিঞ্চের প্রকারবেদঃ
1. Black Cheek Zebra Finch
2. Black
Face Zebra Finch
3. Black
Face Black Cheek Zebra Finch
4.
Chestnut Flanked White Zebra Finch
5.
Crested Zebra Finch
6. Fawn
Zebra Finch
7.
Florida Fancy Zebra Finch
8.
Orange Breast Zebra Finch
9. Pied
Zebra Finch
10.
Recessive Silver Zebra Finch
11.
Silver Isabel Zebra Finch
12.
Yellow Beak Zebra Finch
ফিঞ্চের খাদ্যঃ
খাবার হিসেবে মিলেট, অঙ্কুরিত শিম ,এগ ফুড কিংবা সবুজ শাক-সব্জি ফিঞ্চের খুব পছন্দ কিন্তু ক্যাটল বোন এবং গ্রিট পছন্দের তালিকায় আছে ।ব্রিড করার উপযুক্ত সময়ঃ ফিঞ্চ ব্রিড করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষাকাল কারণ বর্ষাকালে খাদ্যের প্রাচুর্য বেশি থাকে তবে খাঁচার জেব্রা ফিঞ্চ সারা বছরই ব্রিড করে ।
প্রজনন এ
ফিঞ্চঃ
জেব্রা ফিঞ্চ সাধারণত ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই প্রজননের সক্ষমতা অর্জন করে। তবু বেশিরভাগ ব্রিডারই ব্রিড শুরু করার জন্য ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। এতে মা এবং উভয়েই সুস্থ থাকে। এক একটি ফিঞ্চ প্রতি বারে ৩-১২ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে । মধ্যবয়সে ৮-১২ টি পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে ।
জেব্রা ফিঞ্চ সাধারণত ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই প্রজননের সক্ষমতা অর্জন করে। তবু বেশিরভাগ ব্রিডারই ব্রিড শুরু করার জন্য ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। এতে মা এবং উভয়েই সুস্থ থাকে। এক একটি ফিঞ্চ প্রতি বারে ৩-১২ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে । মধ্যবয়সে ৮-১২ টি পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে ।
বিশেষ সতর্কতাঃ
একটি খাঁচায় এক থেকে তিন জোড়া পর্যন্ত জেব্রা ফিঞ্চ পালন করা যায়, কিন্তু ৪ অথবা ৫ জোড়া পালন করলে এরা প্রায় সবসময়ই ঝগড়া মারারিতে জড়িয়ে পড়বে । কলোনি ব্রিডের ক্ষেত্রেও মাত্রাঅতিরিক্ত পাখী রাখা উচিত নয়।জেব্রা ফিঞ্চ গোসল করা খুব পছন্দ করে তাই খাঁচায় পালন করার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রেখে করতে হবে।
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চঃ
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চকে লেডী গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ অথবা রেইনবো ফিঞ্চও বলা হয়। ফিঞ্চ প্রজাতিগুলোর মধ্যে গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ।
গোল্ডিয়ান
ফিঞ্চ সাধারণত
তিন ধরনেরঃ
1. The Red-headed
2. The Black-headed
3. The Yellow-headed
2. The Black-headed
3. The Yellow-headed
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চের খাদ্যঃ
গোল্ডিয়ান
ফিঞ্চ খাবার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন,স্লাইস করা আপেল, কলা,পেয়ারা, আম, তরমুজ,
কমলা, আনারস সহ সবুজ সব্জি যেমন,
অঙ্কুরিত শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি,গাজর ( স্লাইস করা), স্লাইস করা আঙ্গুর, সবুজ শিম ( রান্না এবং
ভর্তা করা), মটরশুটি ( রান্না এবং ভর্তা করা), কুমড়ো, ছাড়াও সেদ্ধ ডিম, গোল আলু ( সেদ্ধ এবং খোসা ছাড়া), মিষ্টি আলু
(সেদ্ধ এবং খোসা ছাড়া) এবং ভাত ( সেদ্ধ ) গ্রহণ করে থাকে ।
ব্রিড করানোর উপযুক্ত সময়ঃ
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ সাধারণত ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে প্রজননের সক্ষমতা অর্জন করে থাকে। প্রতিটি গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ প্রতিবারে সর্বনিন্ম ৩ টি থেকে সর্বোচ্চ ৮টি ডিম দিয়ে থাকে । মুক্ত বন্য গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ যেখানে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিড করে থাকে সেখানে উপযুক্ত ব্রিড করার পরিবেশ পেলে খাঁচার গোল্ডিয়ান সারা বছরই ব্রিড করে থাকে ।
ফিঞ্চ ব্রিড
করানোর পূর্বে করনীয়ঃ
গোল্ডিয়ানকে ব্রীড করানোর পূর্বে আপনাকে ব্রিডিং করার মত যথেষ্ট জায়গা, পর্যাপ্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে । ব্রিডিং করানোর জন্য অপেক্ষাকৃত তরুণ, বয়স কমপক্ষে ৬ থেকে ৯ মাস, শারীরিক ভাবে সুস্থ সবল আঘাতমুক্ত পাখি বেছে নেয়া উচিত যেটা অবশ্যই ব্রিড করতে পারে এবং তারপর সেটার জন্য আলাদা খাঁচার ব্যাবস্থা করতে হবে। তারপর আপনাকে স্থির করতে হবে কি প্রক্রিয়ায় আপনি ব্রিডিং করবেন খাঁচার মধ্যে রেখে করবেন না কলোনি ব্রিডিং করবেন ।
গোল্ডিয়ানকে ব্রীড করানোর পূর্বে আপনাকে ব্রিডিং করার মত যথেষ্ট জায়গা, পর্যাপ্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে । ব্রিডিং করানোর জন্য অপেক্ষাকৃত তরুণ, বয়স কমপক্ষে ৬ থেকে ৯ মাস, শারীরিক ভাবে সুস্থ সবল আঘাতমুক্ত পাখি বেছে নেয়া উচিত যেটা অবশ্যই ব্রিড করতে পারে এবং তারপর সেটার জন্য আলাদা খাঁচার ব্যাবস্থা করতে হবে। তারপর আপনাকে স্থির করতে হবে কি প্রক্রিয়ায় আপনি ব্রিডিং করবেন খাঁচার মধ্যে রেখে করবেন না কলোনি ব্রিডিং করবেন ।
ফিঞ্চ
খাঁচা ও কলোনি করে দুই ভাবেই পালন করা যায় । খাঁচায় পালন করলে জোড়া মিলানো একটু
কঠিন হয়ে পরে । তাই কলোনিতে পালন করলে এই সমস্যা থাকে না ।
One Pair Per Cage খাঁচায় পালনে
সুবিধা বা অসুবিধা
|
|
Advantages:
|
No fighting with or
disturbances from other pairs, easier to observe the birds and perform nest
checks, more control over breeding outcome since you control who each bird
mates with.3
|
Disadvantages:
|
May not stimulate
those pairs which seem to breed best in the colony situation.
|
|
Colony Breeding কলোনিতে পালনে
সুবিধা বা অসুবিধা
|
|
Advantages:
|
May help to encourage breeding in those individuals which are
stimulated by group interaction.
|
Disadvantages:
|
Less control over breeding outcomes, may lead to increased
aggression among the inhabitants, may not stimulate those birds which seem to
need seclusion from other pairs to breed.
|
|
ব্যাবসায়িক দিকঃ
ফিঞ্চ
পাখি খুব অল্প জায়গায় অল্প খরচে পালন করা যায় । এই পাখির খাবার ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
খুব কম ।
সঠিক
রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক পরিচর্যা করলে প্রতি
তিন মাস অন্তর অন্তর প্রতি জোড়া পাখি থেকে ৩ থেকে ৬ টি বাচ্চা পাওয়া যাবে ।